Header Ads

সরকারী আনুকুল্যে বরাকে ব্যাপক হারে চলছে কয়লার মাফিয়ারাজঃ কমলাক্ষ্য

 
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ বরাক উপত্যকায় ব্যাপক হারে চলছে কয়লার মাফিয়ারাজ। বৃহস্পতিবার মহানগরের এমএলএ হোস্টেলের সরকারী বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন কংগ্ৰেস বিধায়ক কমলাক্ষ্য দে পুরকায়স্থ। তিনি আরও বলেন- এতে পুলিশ প্ৰশাসন থেকে শুরু করে বিধায়ক সকলেই জড়িত রয়েছেন। তাঁর মতে মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল বিষয়টি নিয়ে সিবিআই তদন্তের প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিলেন কিন্তু আজ পৰ্যন্ত তদন্ত হয়নি। দলের বিধায়ক, নেতারা এতে জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে মুখ্যমন্ত্ৰী সিবিআই তদন্তের নিৰ্দেশ দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। মালিডহর, দিঘরখাল এলাকায় ২ থেকে ৩ হাজার মালবাহী ট্ৰাক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। জিএসটি নেই, ক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজনের মাল বহন করা হয়েছে এইসব অজুহাতে ট্ৰাকগুলিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি বিধায়কদের কাছ থেকে স্লিপ পাওয়ার পরই ট্ৰাকগুলিকে ছাড়া হবে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ট্ৰাকগুলি থেকে প্ৰতি মাসে ৩২ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা সংগ্ৰহ হয় এবং সেই টাকার ভাগ দিসপুর পৰ্যন্ত যাচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। প্ৰসঙ্গত, প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী আগামিকাল শিলচরের রামনগরের মাঠে আসছেন। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি সেই মাঠে জনসভায় বিভিন্ন প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিলেন। পাঁচগ্ৰামে অবিলম্বে কাগজকল ফের খোলা হবে, ডিটেনশন ক্যাম্প গুড়িয়ে দেওয়া হবে বহু প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজ অবধি সেই প্ৰতিশ্ৰুতি তিনি রক্ষা করতে পারেননি। আগামিকাল প্ৰধানমন্ত্ৰী বরাকবাসীদের উদ্দেশ্য কি ভাষণ দেন সেটা লক্ষ্যনীয়। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল, বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দত্ত, রাজ্যের অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা সেখানে শিবির পেতেছেন। আগামিকালের জনসভা সফল এবং সেখানে রেকৰ্ড সংখ্যক ভিড় হবে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।       



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.