Header Ads

১২ দিন ব্যাপী অসম প্ৰকাশন পরিষদের গ্ৰন্থমেলার সফল সমাপ্তি

 বই আমাদের শাশ্বত সঙ্গীঃ হর্ষ দত্ত
 দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ বই আমাদের শাশ্বত সঙ্গী বইয়ের মতো সঙ্গী আর কেউ নেই। গাছ যেমন মানুষের কাছে কিছু চায় না বই আমাদের কাছেও কিছু চায়না। বই আমাদের চির জীবনের সঙ্গী। বুধবার ৩২ তম গুয়াহাটি গ্রন্থমেলার সমাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথাই বললেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক তথা দেশ পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক হর্ষ দত্ত। তিনি আরও বলেন- বইমেলার উদ্দেশ্য হল হৃদয়ের প্রসারতা বৃদ্ধি করা। বই কেনার সংখ্যা ও বই পড়ার পাঠকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। লোকে বইয়ের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে দ্রুত, এটা খুব দুঃখের বিষয়। তাই নানাভাবে চেষ্টা করে মানুষের বইমুখো করার একটা প্ৰচেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন- মোবাইল আর টিভি তার মুখ্য কারণ। সমস্ত অভিভাকদের উদ্দেশ্যে তিনি এদিন বলেন - ছেলে মেয়েদের ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি শিশু সাহিত্য রচনা পড়ানোর জন্য। জন্মদিন এথবা যেকোনও উপলক্ষে বই উপহার দেওয়া, বাচ্চাদেরকে বই দিয়ে আগলে রাখার কথাও তিনি বলেন। তবেই বই মেলা সকলের জন্য সার্থক হয়ে উঠবে। গ্রন্থমেলার সমাপ্তির দিনে উমাকান্ত শর্মার রচনাবলীর প্রথম ভাগ উন্মোচন করেন  রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য। বইমেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস উপদেষ্টা ঋষিকেশ গোস্বামী। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য বলেন- মানুষের মনের অনুভুতি কে লিখিতভাবে প্রকাশ করা হয় যখন তখনই সৃষ্টি হয় গ্রন্থের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতির পরিবর্তন হতে থাকে কিন্তু মানুষের অনুভূতি এবং চিন্তার পরিবর্তন হয় না। গ্রন্থমেলার উত্তরণ হয়েছে কিন্তু তার যাত্রাপথ অক্ষুন্ন রয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস উপদেষ্টা ঋষিকেশ গোস্বামী বলেন- বই মানুষের প্রকৃত সঙ্গী । মানুষের নিঃসঙ্গতা দূর করে বই। অসম প্রকাশন পরিষদের অধ্যক্ষ সুমন চালিহা ছাড়াও আরও বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি এদিনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে থেকে চান্দমারির অসম অভিযান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ময়দানে শুরু হয়েছে গ্ৰন্থমেলা। অসম প্রকাশন পরিষদের আয়োজিত এই গ্রন্থমেলার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সৰ্বানন্দ সনোয়াল। মেলাতে এবারে বাংলাদেশ থেকে ১২টি প্রকাশন সংস্থা অংশগ্রহণ করে। এবার এই প্রথম এত বেশি সংখ্যক বাংলাদেশের প্রকাশন গোষ্ঠী বই মেলাতে অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়াও দিল্লি থেকে ৯ টি প্রকাশনা সংস্থা, কলকাতা থেকে ১০টি, ঝাড়খণ্ড থেকে একটি প্রকাশন সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। এর সাথে ৯৫টি অসমের প্রকাশন সংস্থা অংশগ্রহণ করে।
 ওদিকে প্রতিদিন বইমেলাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও তিওয়া ও নেপালি উৎসব, রাষ্ট্রীয় যুব লেখক সমারোহ, গ্রন্থ উন্মোচন অনুষ্ঠান, আলোচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় এক হাজার শিশু বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। প্ৰসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বইমেলাকে পঞ্চায়েত পর্যায়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে অসম প্রকাশন পরিষদ। বইমেলাতে নতুনত্ব আনার চেষ্টাও করা হয়েছে, বিভিন্ন নতুন নতুন গ্রন্থের উন্মোচন করা হয়েছে।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.