Header Ads

পূৰ্ব-জয়ন্তিয়ার খনিতে আবদ্ধ ১৫ জন শ্ৰমিক ১৬ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে


মেঘালয়ের কয়লা খনিতে আবদ্ধ শ্ৰমিকদের উদ্ধারে উড়িশা থেকে অগ্নিনিৰ্বাপক বাহিনী এল

গুয়াহাটিঃ অসম মেঘালয়ের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনিভাবে কয়লার ব্যবসা চলছেই। পূৰ্বতন কংগ্ৰেস সরকার বৰ্তমান বিজেপি সরকারের আমলেও তিনসুকিয়া জেলার মাৰ্ঘেরিটা অঞ্চলে ‘অপেনকাষ্ট' কয়লার পাহাড়গুলিতে বেআইনিভাবে রাত দিন পাহাড় কাটা অব্যাহত আছে। অপরদিকে মেঘালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ইদুঁরের মতো গৰ্ত্ত খুঁড়ে কয়লা সংগ্ৰহ চলছেই। ‘র্যাটহোল' কয়লা খনি বলে পরিচিত পূৰ্ব জয়ন্তীয়ার পাহাড়ে প্ৰত্যন্তর এলাকায় গত ১৬ দিন ধরে ১৫ জন শ্ৰমিক ভূগৰ্ভে আটকা পড়ে আছে। গুয়াহাটি থেকে শিলং পৰ্যন্ত পথের দুই পাশে বেআইনিভাবে পাহাড় কাটা যেমন বন্ধ হয় নি, অসম-মেঘালয়ের কয়লা খনির বেআইনী ব্যবসাও সমান তালে চলছে। গ্ৰীণ ট্ৰাইব্যুনাল মেঘালয়ের খনির কয়লা তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার পরেও বন্ধ হয় নি। তা বন্ধ করতে গিয়ে মেঘালয়ের বিশিষ্ট  এক সমাজকৰ্মীকে আক্ৰমণ করে কয়লা মাফিয়ারা। কংগ্ৰেসের সৰ্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী ‘টুইট' করে মেঘালয়ের কয়লা খনিতে আবদ্ধ শ্ৰমিকদের উদ্ধারের দাবি জানিয়ে লিখেছেন, প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী বগীবিলে সাংবাদিকদের সামনে ‘পোজ' দিচ্ছেন, অপর দিকে মেঘালয়ে ১৫ জন শ্ৰমিক খনিতে আবদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তাদের উদ্ধারে কেন্দ্ৰ কোনও ব্যবস্থা গ্ৰহণ করছে না। মেঘালয়ের করনাড সাংমা সরকার হাজার চেষ্টা করেও সফল হতে পারে নি। আজ শুক্ৰবার উড়িশা থেকে বায়ুসেনার বিমানে অগ্নিনিৰ্বাপক বাহিনীৰ বিশজন জোয়ান ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছিয়েছে। পূৰ্ব জয়ন্তীয়া পাহাড়ের ইঁদুরের গৰ্ত্ত সদৃশ ছোট্ট গৰ্ত্তে নিকটবৰ্তী পাহাড়ি নদির জল প্ৰবেশ করার ফলে আবদ্ধ শ্ৰমিকদের উদ্ধার করা যাচ্ছে না। জল বার করার শক্তিশালী পাম্প মেঘালয় সরকারের হাতে নেই। উড়িশার অগ্নি নিৰ্বাপক বাহিনী শক্তিশালী পাম্প নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়েছে। দীৰ্ঘ ১৫ দিন ধরে আবদ্ধ শ্ৰমিকরা আজও বেঁচে আছে কি না সন্দেহ প্ৰকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। মেঘালয় ও অসমে বেআইনী কয়লা ব্যবসা বন্ধ করার কোনও ক্ষমতা সরকারের আছে কিনা সন্দেহ আছে। কারণ এই ব্যবসার সঙ্গে বড় বড় দালাল চক্ৰ এবং রাজনৈতিক শক্তি জড়িয়ে আছে বলে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ আছে। তাই পূৰ্ব জয়ন্তিয়ার মতো মৰ্মান্তিক ঘটনা এর আগে বহুবার হয়েছে। কিন্তু তাদের উদ্ধারাভিযান বা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যপার নিয়ে কেউ উচ্চ-বাচ্য করে নি। কারণ সবটায় বেআইনী কারবার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.