Header Ads

এআইইউডিএফ প্ৰধান বদরুদ্দিন আজমল পুনরায় বিতৰ্কে জড়ালেন, সাংবাদিকের বুম কেড়ে নিয়ে আক্ৰমণ করতে উদ্যত হন



৪৮ ঘণ্টা র মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি সাংবাদিক সংস্থা ইউটিএমএ-র

গুয়াহাটিঃ নীতিহীন রাজনীতিতে শিষ্ঠাচার, কথাবাৰ্তায় সংযম রক্ষা, সদভাবনা বলে কিছুই নেই। সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে শরিক দল হওয়া সত্বেও বিজেপি নেতারা অগপর বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই ভাবে নানা অসংসদীয় মন্তব্য করে গেছেন। কংগ্ৰেস এআইইউডিএফ-এর মধ্যেও পারস্পরিক কাদা ছোড়া-ছুড়ি হয়েছিল। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ প্ৰকাশ্যে বলেছিলেন, তিনি কংগ্ৰেস দলে থাকাকালীন এআইইউডিএফ প্ৰধান বদরুদ্দিন আজমলকে কংগ্ৰেসের ধারে কাছে ঘেঁসতে দেওয়া হবে না। বদরুদ্দিন সাহেবের হেলিকপ্টার ব্যবহার সম্পৰ্কে অভিযোগ করেছিলেন, ‘বিজেপির অৰ্থে বদরুদ্দিন সাহেব নিৰ্বাচনে হেলিকপ্টারে প্ৰচারাভিযান চালাচ্ছিলেন'। তারই পাল্টা বদরুদ্দিন সাহেব প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈকে অভদ্ৰ ভাষায় আক্ৰমণ করে বলেছিলেন, ‘পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়', এও বলেছিলেন, তরুণ গগৈ হাজার বাধা দিলেও কংগ্ৰেসের সঙ্গে এআইইউডিএফ-এর সমঝোতা হবেই, তা কেউ আটকাতে পারবেনা। আজ বুধবার সেই বদরুদ্দিন আজমল এবার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতৰ্কে জড়ালেন। সারা রাজ্যে সাংবাদিক মহল তার বিরুদ্ধে গৰ্জ্জিয়ে উঠে। তিনি আজ মানকাচরে এক সাংবাদিকের এক প্ৰেশ্ন মেজাজ হারিয়ে ফেলে ‘বদমাস, কুকুর, ইত্যাদি আপত্তিকর মন্তব্য করে তার হাত থেকে বুমটি কেড়ে নেন। ইটিভি ভারত-এর এক সাংবাদিকের এক প্ৰেশ্নর জবাবে বদরুদ্দিন সাহেব বলেছিলেন, কেন্দ্ৰে মহাজোট হলে যে ফৰ্মুলা নিয়ে চলবে তার সঙ্গে তাদের সমঝোতা হবে। তারপর সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যে জোট কংগ্ৰেসের নেতৃত্বে হবে সেই জোট না, বিজেপির নেতৃত্বে হবে সেই জোটের পক্ষে থাকবেন। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বদরুদ্দিন সাহেব মেজাজ হারিয়ে ফেলে বলেন, ‘লাখ টাকা না কোটি টাকা দিলেও আমি বিজেপিতে যাব না'। তারপরেই সাংবাদিকের বুমটি কেড়ে নিয়ে তাকে মারতে উদ্যত হয় এবং আপত্তিজনক ভাষা ব্যবহার করেন বলে টিভির পৰ্দায় দেখা গেল। সঙ্গে সঙ্গে এই ছবিটি টেলিভিশনের পৰ্দায় দেখে রাজ্যের সাংবাদিক মহলের মধ্যে তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পর ইউনাইটেড টেলিভিশন মিডিয়া এসোসিয়েশন (ইউটিএমএ)র সভাপতি পঙ্কজ শৰ্মা এবং সাধারণ সম্পাদক মানস জ্যোতি বরুয়া এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্ৰকাশ করে বলেছেন, আজমল সাহেব যে ধরণের আচরণ করলেন তা বৰ্দাস্ত করা হবেনা। মানকাচরের সাংবাদিকের প্ৰেশ্নর উত্তর দিতে না পেরে সাংবাদিককে আক্ৰমণের উদ্দেশ্যে তাড়া করেন আজমল। বদরুদ্দিন আজমলকে ৪৮ ঘ°টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে ইউটিএমএ হুমকি দিয়েছে নতুবা আইনগত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে। জাৰ্নালিষ্ট ফেডারেশন ফর আসামও এর ঘটনার তীব্ৰ নিন্দা করেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.