Header Ads

দেশের দীৰ্ঘতম রেল কাম রোড বগীবিল সেতু উদ্বোধন করলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী

উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের উন্নয়ন ব্যতীত দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হতে পারে নাঃ প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী 

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি

দেশের মধ্যে দীৰ্ঘতম উজান অসমে ধলা-সদিয়া ৯ কিলোমিটার সড়ক উদ্বোধন করে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে প্ৰাক্তন প্ৰধান মন্ত্ৰী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্ম দিনেই সেই উজান অসমেই দেশের মধ্যে সৰ্ব প্ৰথম প্ৰায় ৫ কিলোমিটার দৈৰ্ঘ্য রোড কাম রেল সেতু উদ্বোধন করে নরেন্দ্ৰ মোদী আবার ইতিহাস গড়লেন। দেশবাসী এই ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী হয়ে রইল। সম্পূৰ্ণ ভারতীয় প্ৰযুক্তিতে গড়া প্ৰায় ৮০ হাজার মেট্ৰিক টন ইস্পাতের তৈরি এই অত্যাধুনিক রেল কাম রোড সেতু ব্ৰহ্মপুত্ৰের উত্তর পারের ধেমাজি-লখিমপুরের সঙ্গে ডিব্ৰুগড়কে এক সূত্ৰে বাঁধল। সেই সঙ্গে অরুণাচল প্ৰদেশের সঙ্গে অসমের দূরত্ব বহুগুণ কমে গেল। ভারত-চীন সীমান্তের দূরত্বও প্ৰায় ৫ ঘণ্টা হ্ৰাস পেল। এর ফলে অৰ্থনৈতিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নে এবং প্ৰতিরক্ষার ক্ষেত্ৰেও এই সেতু দেশের সৰ্বাঙ্গীন উন্নতির সোপান হবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ধেমাজি-লখিমপুর, ডিব্ৰুগড়-অরুণাচল প্ৰদেশের লক্ষ মানুষ আজ বগীবিলের দুই পাশে ব্ৰহ্মপুত্ৰের কিনারে আনন্দ উচ্ছাসে সামিল হয়েছিল। প্ৰধানমন্ত্ৰী এই সেতুর উপর এক টিভি চ্যানেলের জীপে উঠে দাঁড়িয়ে গামোছা উড়িয়ে দুই পাশের মানুষকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী সুধাকণ্ঠ ভূপেন হাজরিকার এক সঙ্গীত ‘মহাবাহু ব্ৰহ্মপুত্ৰ মহামিলনের তীৰ্থ .........' এই স্তবক উচ্চারণ করে অঙ্গীকার করেন, অসম তথা উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের সাৰ্বিক কল্যাণে কেন্দ্ৰীয় সরকার প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ। উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের উন্নয়ন ব্যতিরেক দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হতে পারে না। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী অসমে বিজেপি সরকার সুশাসন চালাচ্ছে বলে দাবি করে বলেন, গত ৬০-৭০ বছরে কংগ্ৰেস সরকার উত্তর পূৰ্বাঞ্চলে মাত্ৰ ৩ টি সেতু নিৰ্মাণ করেছিল। বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার সারে ৪ বছরের মধ্যে ৩ টি নিৰ্মাণ করল। বগীবিল নাম নিয়ে নানা বিতৰ্ক চলছিল সেই বিতৰ্কে না ঢুকে বগীবিলের নাম বগীবিলই ঘোষণা করে জাতীর উদ্দেশ্য উৎসৰ্গ করলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। অরুণাচল প্ৰদেশের রাজধানী ইটানগরের কাছে রেল শহর নাহরলগুন থেকে ডিব্ৰুগড় পৰ্যন্ত এক ট্ৰেনের শুভ সূচনা করলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। কারেং চাপরির এক বিশাল জনসভায় রাজ্যপাল জগদীশ মুখী, মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল, অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা, অরুণাচল প্ৰদেশের মুখ্যমন্ত্ৰী পেমা খাণ্ডু সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী অসম তথা উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের সাৰ্বিক উন্নয়নের অঙ্গীকার করে বলেন, দেশে ভ্ৰষ্টাচারমুক্ত, স্বচ্ছ প্ৰশাসন উপহার দিয়ে গরিবের অধিকারকে সুনিশ্চিত করেছে বিজেপি সরকার। তিনি অসম কন্যা হিমা দাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, হিমা দাস এই অঞ্চলের মহিলাদের আত্মনিৰ্ভরশীলতার প্ৰতীক। সদ্য প্ৰয়াত দীপালি বরঠাকুরের প্ৰতিও শ্ৰদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, তিনি তাঁর সুরকে দেশের সব প্ৰান্তে পৌঁছে দিয়েছিলেন। এই অঞ্চলের উন্নয়ন সম্পৰ্কে বলেন, ১৯ টি নদীর সাৰ্বিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে বিজেপি সরকার। ব্ৰহ্মপুত্ৰ-বরাক নদীর উন্নয়ন চলছে। বাংলাদেশের চট্টগ্ৰাম বন্দর থেকে যোগাযোগ সুনিশ্চিত করা হবে। এই অঞ্চলের ৫০০০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নিৰ্মাণ হয়েছে। ৪০০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলছে। উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের ৭ রাজ্যের রাজধানীর সঙ্গে রেল যোগাযোগের কাজ চলছে। তার জন্য ৩৭হাজার কোটি টাকা  ব্যয় হবে। অসমে উজ্জ্বল যোজনায় ২৪ লক্ষ এলপিজি কানেকশন দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে সফল করতে ৩২ লক্ষ শৌচালয় নিৰ্মাণ করা হয়েছে। সৌভাগ্য যোজনায় ২৪ লক্ষ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে অসমে কোনও চা শ্ৰমিকের ব্যাঙ্কে একাউন্ট ছিল না। জনধন যোজনায় ৭ লক্ষ একাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি ২৫ লক্ষ লোককে ঘর দেওয়া হয়েছে। দেশকে আৰ্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে তুলতে দেশের সাড়ে ৩ লক্ষ ভূয়া কোম্পানীকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যুবকদের আত্মনিৰ্ভরশীল করে তুলতে ৭ লক্ষ কোটি টাকা মুদ্ৰা যোজনায় ঋণ দিয়েছে। ৩ লক্ষ কোটি টাকা ভূয়া কোম্পানীগুলি থেকে আদায় করেছে। চিকিৎসা দুৰ্নীতি বন্ধ করেছে, হেলিকপ্টার দুৰ্নীতির প্ৰধান অপরাধীকে গ্ৰেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাঁর একটাই লক্ষ্য ভ্ৰষ্টাচারমুক্ত দেশ গড়া। তিনি পরিশেষে অসমের মানুষকে নতুন বড়দিনের এবং ভোগালী বিহুর শুভেচ্ছা গ্ৰহণ করেন।




কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.