Header Ads

তিনসুকিয়ায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরোধীতায় গুয়াহাটি প্ৰেসক্লাবে অসম নাগরিক সমাজের আলোচনা সভা


নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ তিনসুকিয়ার ধলায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরোধীতায় এবং অসমের সাম্প্ৰতিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার গুয়াহাটি প্ৰেসক্লাবে ‘অসম নাগরিক সমাজ’-এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ধলায় বৰ্বর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করা হয়। সেইসঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার সরকারের কাছে দাবী জানানো হয়। গণতান্ত্ৰিক সমাজে শান্তির লক্ষ্যে এদিন সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এদিন সভায় উপস্থিত থেকে প্ৰবীণ সাংবাদিক উদয়ন বিশ্বাস রাজ্যে বৰ্তমান শাসক দলের সমালোচনা করে বলেন- ‘শাসকগোষ্ঠীর বিভাজনের রাজনীতি আমাদের ফের সেই ভাতৃঘাতী সংঘৰ্ষের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। জাতের নামে বজ্জাতি আর বেশিদিন চলতে পারে না। তবে এই স্পৰ্শকাতর বিষয়গুলিকে নিয়ে শাসকগোষ্ঠীর নেতারা যে কুচকাওয়াজ শুরু করেছেন তাতে কিন্তু একটা কথা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, এবার তাঁদের নেতৃত্বে অসম অস্থির হয়ে উঠবে।’ তিনি এও বলেন, শুধু হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সাম্প্ৰদায়িক সংঘাতের আশংকাই নয়। বাঙালি- অসমিয়ার মধ্যেও যেন একটা সংঘাতের শীতল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এক সময় দুই জাতিরই বহু উদারমনের মানুষ আত্মত্যাগ করে আজকের বাঙালি-অসমিয়ার মধ্যে যে বলিষ্ঠ সম্পৰ্ক গড়ে তুলেছেন, তা কি অ্যাতোটাই ঠুনকো? সমাজের কাছে প্ৰশ্ন তোলেন তিনি। সংগীত শিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাস এবং সুধাকন্ঠ ড০ ভূপেন হাজরিকার অবদানের কথা তিনি উল্লেখ করেন। এদিনের আলোচনা সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব তথা ‘অসম নাগরিক সমাজ’-এর সভাপতি হরেকৃষ্ণ ডেকা বক্তব্য রাখেন। এদিনের সভায় সাংবাদিক অজিত কুমার ভুইঞা, প্রশান্ত রাজগুরু, হাইদার হুসেন ধীরেন্দ্ৰনাথ শইকিয়া, পরেশ মালাকার, অখিল রঞ্জন দত্ত প্ৰমুখ ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি ছিল।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.