Header Ads

আলোর উৎসবে আতশবাজি, শব্দবাজির জেরে পরিবেশ দূষণের কবলে গোটা দেশ


নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ দেওয়ালি মানেই আলোর উৎসব। গোটা দেশের সঙ্গে আলোর এই উৎসবে মাতলেন গুয়াহাটিবাসীও। মহানগরের পানবাজার, ফ্যান্সিবাজার, পল্টনবাজার, গণেশগুড়ি, কাহিলিপাড়া, কালাপাহাড়, নুনমাটি, নারাঙ্গি, পাণ্ডু-মালিগাঁও, আমিনগাঁও, লখড়া, বেলতলা এলাকার দোপানপাট, বিল্ডিং, সরকারী অফিস সৰ্বত্ৰই আলোর মালায় সেজে উঠেছে। এক ঝলমলে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে দেওয়ালির আগেই মহানগরের বিভিন্ন স্কুলে কচিকাঁচাদের মধ্যে গ্ৰীণ দেওয়ালি, সেভ দেওয়ালি সচেতনতা বাৰ্তা দেওয়া হয়েছে। শব্দদূষণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার লাগিয়ে, বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার বাৰ্তা দেওয়া হয়েছে। শব্দদূষণ এড়ানো এবং আতশবাজি পোড়ানোর ক্ষেত্ৰে অ্যাতো সচেতনা সত্ত্বেও পরিবেশ দূষণের তোয়াক্কা না করে কালীপুজোর রাতে মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় রীতিমতো আতশবাজি ফুটেছে। ফলে শব্দদূষণের জন্য অসুবিধায় পড়তে হয়েছে অসুস্থ রোগী, প্ৰবীণ নাগরিকদের। ছাড় পায়নি পশু পাখিরাও। দিনের বেলা যেমন তেমন, রাত যতো বেড়েছে চারদিকে বাজি পোড়ানোর আওয়াজও বেড়েছে। শব্দ তাণ্ডবের জন্য রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশের ঢিলেঢালা মনোভাবও অনেকটা দায়ী। অভিযোগ, যথেষ্ট নজরদারির অভাবে শব্দতাণ্ডব হয়েছে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবছর মহানগরে আতশবাজির শব্দ কিছুটা কম হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তার কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা ছিল, রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আতশবাজি পোড়ানো যাবে। পাশাপাশি, শব্দবাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়ও কালীপুজোর রাতে প্ৰচুর শব্দতাণ্ডবের অভিযোগ উঠেছে। রাত ১১ টা নাগদও বি সি রায় শিশু হাসপাতালের সামনে শব্দবাজি হয়েছে। এছাড়া নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, বেহালা, হরিদেবপুর, উল্টোডাঙা, সল্টলেক, জোকা, বাঙুর, দত্তাবাদ ইত্যাদি এলাকায় দেওয়ালির রাতে শব্দ তাণ্ডেবর অভিযোগ উঠেছে। এই সমস্ত অভিযোগ নথিপত্ৰ সহ সুপ্ৰিম কোৰ্টে যাচ্ছেন কলকাতার একাংশ পরিবেশকৰ্মী। পাশাপাশি দিল্লির দূষণের মাত্ৰা বৰ্তমানে সহনসীমার কুড়ি গুণেরও বেশি। যে বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া দৈনিক ১৮ থেকে ২০ সিগারেট খাওয়ার সমান। দূষণ নিয়ন্ত্ৰণে দিল্লি এবং সংলঘ্ন এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্ৰ ও ইটাভাটাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আগেই। দিল্লির বিভিন্ন গুরুত্বপূৰ্ণ রাস্তায় শুরু হয়েছে পাইপে করে জল ছিটানোর কাজ। একাধিক পধক্ষেপ করা হলেও পরিবেশবিদদের মতে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় আগাছা পোড়ানো বন্ধ না হওয়া পৰ্যন্ত এই অবস্থা এড়ানো অসম্ভব। তার উপরে দেওয়ালির শব্দতাণ্ডব। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি বৈঠক ডাকেন কেন্দ্ৰীয় পরিবেশমন্ত্ৰী হৰ্ষ বৰ্ধন। দেওয়ালির আগেই অত্যন্ত খারাপ পৰ্যায়ে পৌঁছে যায় দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্ৰা। দিনভর ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে দিল্লির আকাশ। সেইসঙ্গে রাজধানীতে চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে একে অপরকে দোষারোপের রাজনীতি।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.