Header Ads

আন্দামানে খুন মাৰ্কিন পৰ্যটক

পোৰ্ট ব্লেয়ারঃ আন্দামানে খুন হলেন আমেরিকার এক নাগরিক। দ্বীপপুঞ্জে সেন্টিনালিসদের জন্য সংরক্ষিত দ্বীপে অ্যালেন চাউ নামের ওই ব্যক্তি চলে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্ৰাচীন আদিবাসীদের অস্ত্ৰের আঘাতেই মৃত্যু হয় ওই পৰ্যটকের। তাঁকে সেখানে যেতে সাহায্য করার অভিযোগে সাত মৎস্যজীবীকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। বৰ্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যালেন চাউ গির্জার যাজক ছিলেন। ঘন ঘন আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে যাতায়াত ছিল তাঁর। সেন্টিনেল প্রজাতির মানুষের সঙ্গে যেচে আলাপ করতেন। চেষ্টা করতেন তাঁদের খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করতে। ‘আন্দামান শিখা’ সংবাদপত্রের দাবি, অতীতে মোট পাঁচবার আন্দামান ঘুরে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। দেখা করতে চেয়েছিলেন আদিবাসী নেতাদের সঙ্গে। যাতে তাঁদের কাছেও খ্রিষ্টান ধর্মের বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন। মৃত্যুর আগে গত পাঁচদিনে একাধিকবার নর্থ সেন্টিনেল আইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। গত বুধবারও নাকি নর্থ সেন্টিনেল আইল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করেন অ্যালেন। কিন্তু বিফল হন। দু’দিন পর ফের সেখানে হাজির হন স্থানীয় মত্স্যজীবীদের সাহায্যে। তাদের জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার নর্থ সেন্টিনেল আইল্যান্ডের কাছাকাছি পৌঁছে তাদের নৌকো থেকে নেমে যান অ্যালেন। ছোট ডিঙি নিয়ে একাই দ্বীপটির দিকে এগিয়ে যান। সেখানে পৌঁছনো মাত্রই ঝাঁকে ঝঁকে তির উড়ে আসে তাঁর দিকে। তা সত্ত্বেও হাঁটা থামাননি তিনি। এরপর তাঁকে বালির উপর ফেলে, গলায় দড়ি পেঁচিয়ে টানতে টানতে সমুদ্র সৈকতের দিকে নিয়ে যেতে শুরু করে একদল আদিবাসী মানুষ। সেই শেষবার তাঁকে দেখেছিল ওই মত্স্যজীবীরা। পোর্ট ব্লেয়ার পৌঁছে অ্যালেক্স নামের স্থানীয় এক পাদরিকে গোটা ঘটনা জানিয়েছিল। তিনিই অ্যালেনের বাড়ির লোকজনকে খবর দেন। তাঁরাই পরে দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। পর দিন সকালে নর্থ সেন্টিনেল আইল্যান্ডের কাছে গিয়ে ঘুরে এসেছিল ওই মত্স্যজীবীরা। কিন্তু অ্যালেনের দেহ চোখে পড়েনি তাদের। অ্যালেনের দেহের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান। ব্যবহার করা হচ্ছে হেলিকপ্টারও। তবে নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে হেলিকপ্টার নামানোর সাহস পাচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। কারণ তাতে আদিবাসী উপজাতিরা খেপে গিয়ে রণমূর্তি ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.