প্ৰাচীন কালের মন্দিরের আদলে হচ্ছে পাণ্ডু রেস্টক্যাম্পের দুৰ্গাপুজো প্যাণ্ডেলের থিম
রিংকি মজুমদার, গুয়াহাটিঃ মহানগরের সেরা দুৰ্গা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাণ্ডু রেস্টক্যাম্পের দুৰ্গাপুজো। ৭০ বছর পুরনো রেস্টক্যাম্প কালীবাড়ির এই পুজো আজও তার ঐতিহ্য বহন করে আসছে। প্ৰতিবছর ধৰ্মীয় রীতিনীতি অনুসারে মা দুৰ্গা পুজিতা হয়ে আসছেন এখানে। প্ৰাচীন কালের মন্দিরের আদলে হচ্ছে এবছরের পুজো প্যান্ডেলের থিম। জোরকদমে চলছে প্যাণ্ডেল তৈরির কাজ। রথযাত্ৰার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মূৰ্তী তৈরির কাজ। পুজো শেষে সব ঠাকুরই তো বিসৰ্জন যায় ব্ৰহ্মপুত্ৰের জলে। তাই নদের জলে দূষণ ঠেকাতে মূৰ্তীতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ইকো ফ্ৰ্যান্ডলি’ রঙ। এমনকি মায়ের গয়না, শাড়ি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতেই ব্যবহার করা হয়েছে জল রঙ। এবছর পুজোর বাজেট হচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা এমনটাই জানালেন পুজো কমিটির সদস্য শঙ্কর সুর। রাত পেরোলেই পঞ্চমী। তাই শেষ মূহুৰ্তে পঞ্চমীর আগে আগেই সহযোগীদের নিয়ে সময় মতো মূৰ্তী তৈরির কাজ শেষ করতে রাত দিন এক করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ার মৃৎশিল্পী হেমন্ত চিত্ৰকর। প্যাণ্ডেলের সাজসজ্জা করছেন ধূপগুড়ির বাসিন্দা রতন ঘোষ। পঞ্চমী অৰ্থাৎ রবিবার সন্ধ্যেবেলা ৭ টায় ভারত সেবাশ্ৰমের মহারাজের উপস্থিতিতে তথা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দুৰ্গার মুখ উন্মোচন করা হবে। দুৰ্গোৎসবের আনন্দকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিতে এবছর কলকাতা থেকে আনা হয়েছে আট জন ঢাকি। নিরাপত্তা এড়াতে প্যাণ্ডেলের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। পুজোকে সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নিতে তথা পুজোর কটাদিন জনগণের ভিড় সামলাতে কমিটির পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে ৩০ জন। এছাড়াও থাকবে ৭০ জন স্বেচ্ছাসেবী। তাছাড়াও প্ৰশাসনের পক্ষ থেকেও থাকবে নিরাপত্তা বাহিনী। 
 









 
   
   
 
 
 
 
কোন মন্তব্য নেই