Header Ads

মমতার সঙ্গে সমঝোতার পথে বঙ্গ বিজেপি


কিশোর ভরদ্বাজঃকলকতা
রাজনীতিতে সবই সম্ভব।না, এটা শুধু কথার কথা নয়।আসলে রাজনীতি এমন একটা মাধ্যম,  যেখানে কোনো রকম বালাই নেই নীতি আদর্শের।যেখানে দুর্নীতিই নীতি হিসেবে স্বীকৃতি পায়।বিশেষ করে পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতির হাল হকিকত দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। যেখানে ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য নিয়ত চলে টাকার খেলা।মানে, বিরুদ্ধ মত চলবে না। বিরোধী বলতে কিছু থাকবে না।আর সেই খেলায় মেতে উঠে নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে এই বঙ্গে এক ঘাটে জল খাচ্ছে বাঘ আর গরু। বিগত সাত বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতার তখতে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় একক লড়াইয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ চৌত্রিশ বছরের পুরনো বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে বাংলায় 
মা-মাটি মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমেই লাল বাংলা হয়ে ওঠে মমতাময়।আর সেই পরিবর্তনের পর বাংলার জনগন আশা করেছিল , এবার বুঝি সত্যিই রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।বাংলার একদা অগ্নি কন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশা জাগিয়ে বসেন বাংলার মসনদে। অথচ বামেদের বিরুদ্ধে বদলা না নিয়ে ক্ষমতায় এসেই বামেদের জার্সি বদলের জন্য দরজা খুলে দিলেন।দল বদলের পথ ধরে বাম আমলের অনেক দুর্নীতিপরায়ন নেতা এবং অগণিত বাম ক্যাডার ঢুকে পড়ে তৃণমূলে। অন্যদিকে, প্রকৃত তৃণমূল কর্মীদের একটা বড় অংশ হয়ে ওঠে কোনঠাসা।একদা প্রতাপশালী বাম নেতারা পেয়ে যান নিরাপদ আশ্রয়। ফলে, পশ্চিম বঙ্গে বামেরা ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যায়। বর্তমান বঙ্গ রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে সেই প্রবনতা।আর বিস্ময়কর ভাবে সেই প্রবনতা ক্রমশ প্রভাবিত করছে মানুষের অধিকারের কথা বলে বাংলার ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.