আফগানিস্থানের নাগরিকের নামও এন আর সি তালিকায়
গুয়াহাটিঃ লক্ষ লক্ষ প্ৰকৃত বিদেশীর নাম এন আর সি তালিকায় অন্তভূক্ত হয়েছে এবং অপরদিকে কয়েক লক্ষ প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিকের নামও বাদ পড়েছে। আজ দিশপুর প্ৰেস ক্লাবে আমসুর এক নেতা এমদাদুল ইসলাম নথি পত্ৰ সহকারে অভিযোগ করলেন, গোলাপ খান নামে সুদূর আফগানিস্থানথেকে এই রাজ্যে আসা মানুষের নামও এন আর সিতে অন্তভূক্ত হয়েছে। মরিগাঁও জেলার ভূরাগাঁও থানার অন্তৰ্গত বালিডোংগা গ্ৰামে এসে বাস করতেন। আফগানিস্থানের সূদ ব্যবসায়ী গোলাপ খান এসে ঐ গ্ৰামের ইদ্ৰিস আলীর মেয়েকে নুর নেহারকে বিয়ে করে আফগানিস্থানে ফিরে যান সেখানে তিন সন্তানের বাবা হন। পরে তারা অসমে ফিরে আসেন। পরে তাদের আরও তিনটি সন্তান হয়। তাদের বিয়ের পর ২০০৮-০৯ সালে গোলাপ খানের এই গ্ৰামেই মৃত্যু হয়। তার পরেও তাদের নাম কি করে এন আর সিতে অন্তভূক্ত হন সে প্ৰশ্ন তুলেছেন এমদাদুল ইসলাম। তিনি মুখ্যমন্ত্ৰীসহ উৰ্দ্ধতন কৰ্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দাখিল করেও ফল পান নি। অপরদিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে বিনা দোষে সাহাবুল ইসলাম হুসেইনকে রাখা হয়েছিল। গোয়ালপাড়া জেলার মেন্দিপাথারের মাটিয়া থানার বহতিয়া গ্ৰামের আদিবাসিন্দা সাহাবুল ইসলাম। ‘বিদেশী' হিসাবে তাকে দীৰ্ঘ ৬ বছর বিনা অপরাধে আটকে রাখার পর আদালতে তিনি নিৰ্দোষ প্ৰমাণিত হন। গত পরশু তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চরম হেনস্থার আর এক ঘটনা, গোয়ালপাড়া জেলার ফফংগা ৰম খণ্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আহাদ আলীর পত্নী নবিরণ খাতুনকে তিন তিন বার বাংলাদেশী সাজিয়ে আটক করে জেলে রাখা হয়। গোয়ালপাড়া জেলায় প্ৰায় ৪০ বছর আগে থেকে বসবাস করছেন। আদালত নবিরণ খাতুনের পক্ষে রায় দেয়। এই ভাবেই এন আর সি নবায়নের পাশাপাশি রাজ্যে ধৰ্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষদের প্ৰশাসনিক হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই