Header Ads

জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বিজেপি সরকার দ্বিচারিতায় লিপ্ত হয়েছে : বললেন সুস্মিতা দেব


গুয়াহাটি : ‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বিজেপি সরকার দ্বিচারিতা করছে৷ আগামী ২০১৯-এর লোকসভা নিৰ্বাচনকে সামনে রেখে হিন্দু ভোটারদের একজোঁট করার লক্ষ্যে বিজেপি হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের খেলায় মেতেছে৷ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল কোন দিনই পাস হবেনা, সংসদে উঠবেও না৷ অথচ বিজেপি এ বিলের নামে রাজনৈতিক মুনাফা লাভের চেষ্টা চালাচ্ছে৷ বিজেপি বরাক-ব্ৰহ্মপুত্ৰ নিয়েও রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছেন৷’ শিলচরের কংগ্ৰেস সাংসদ তথা মহিলা কংগ্ৰেসের সৰ্বভারতীয় সভানেত্ৰী সুস্মিতা দেব গুয়াহাটির রাজীব ভবনে অনুষ্ঠিত কংগ্ৰেসের ভাষিক সংখ্যালঘু বিভাগের এক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন৷ তিনি বলেন ‘হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে গিয়ে বিজেপি বলছে যে অবৈধ মুসলিমদের বিতারণ করতে এন আর সি করব, আবার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে গিয়ে বলছে অবৈধ বাংলাদেশীকে বিতারণ করব৷ এর দ্বারা এটা স্পষ্ট যে বিজেপি সম্পূৰ্ণ বিভাজনের রাজনীতি করছে৷’ প্ৰদেশ কংগ্ৰেসের সভাপতি রিপুন বরার পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত ভাষিক সংখ্যালঘু বিভাগের উক্ত বৈঠকে বিভাগের নব-নিৰ্বাচিত সভাপতি স্বপন করের ওপর তাঁর পূৰ্ণ আস্থা প্ৰকাশ করে এন আর সির উদ্ভুত পরিস্থিতি এবং এন আর সিতে নাম না উঠা বাঙালির নানা সমস্যা পৰ্যালোচনা করে এন আর সিতে নাম অন্তৰ্ভুক্তির জন্য সহযোগিতার জন্য জেলায় জেলায় ঘূরে দেখার নিৰ্দেশ দেন৷ সভাপতি রিপুন বরা বাঙালিদের অবদানকে স্বীকার করে বলেন যে কংগ্ৰেসের ভিত্তি মজবুত করতে বাঙালিদের যথেষ্ট অবদান আছে৷ সভাপতি তথা লামডিঙের প্ৰাক্তন বিধায়ক স্বপন কর বলেন যে ভাষিক সংখ্যালঘু সেলকে কাৰ্যকরী এবং ফলপ্ৰসূভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজ্য জুড়ে ৫টা মণ্ডল তৈরি করা হয়েছে৷ এবং বিভাষ চৌধুরীকে সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বপন কুমার ঘোষকে বরাক উপত্যকার, টুটু সরকারকে গুয়াহাটির, সঞ্জয় চক্রবৰ্তীকে মধ্য অসমের, চন্দন মজুমদারকে ডিব্ৰুগড়ের, বিজয় চক্রবৰ্তীকে হোজায়ের, ষষ্ঠি কুমার সাহাকে ধুবুরী, জয়ন্ত বিশ্বাসকে বরপেটার এবং স্বজল কুমার সিংহকে কোক্‌রাঝারের সময়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ বিরোধী দলপতি দেবব্ৰত শইকিয়া, বিধায়ক কমলাক্ষ দে’ পুরকায়স্থ প্ৰমুখরা বক্তব্য রাখেন৷ কমলাক্ষ দে’ দিল্লী থেকে এ প্ৰতিনিধিকে জানান তাঁরা এন আর সি কৰ্তৃপক্ষের বিভিন্ন বৈষম্যমূলক কাজের অভিযোগ তুলে সুবিচারের দাবীতে সুপ্ৰিম কোৰ্টের দ্বারস্থ হবে৷ সে আরও জানান, এন আর সি সেবা কেন্দ্ৰে নাম বাদ পরার কারণ জানতে চাইলে জানান হচ্ছে যে ‘কারিকরী সমস্যা’র কারণে নাম বাদ পড়েছে, অথবা নাম বাদ পড়ার ‘কোন কারণ’ই নেই৷ সাৰ্বিকভাবে রাজ্যের বাঙালিরা বিপন্ন, সে কথায় সুপ্ৰিম কোৰ্টকে বলা হবে৷ কংগ্ৰেসের অসমের পৰ্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াতও যে সব ভারতীয় নাগরিকের নাম এন আর সিতে অন্তৰ্ভুক্ত হয়নি তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য কংগ্ৰেস নেতাদের নিৰ্দেশ দেন৷

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.