Header Ads

কোচ রাজার সঙ্গে ভারত সরকারের চুক্তি উল্লেখ করে কমতাপুর রাজ্যের দাবী

২৯ আগষ্ট থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন : সমৰ্থন দিচ্ছেন চিলারায় সেনা ও কোচ-রাজবংশী মহিলা সমিতি

কমতাপুর রাজ্যের দাবীতে আন্দোলন। ফাইল ফটো
গুয়াহাটি : ৯০ দশকে ডাঃ জয়ন্ত রংপী, হলিরাম টেরাং প্ৰমুখ নেতারা কাৰ্বিআংলঙে ‘অট’নোমাস ষ্টেট ডিমাণ্ড কমিটি’ নামে সংগঠন গড়ে ভারতীয় সংবিধানের অধীন ২৪৪এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজ্যের মধ্যে স্বশাসিত রাজ্য গঠনের দাবীতে সোচ্চার হয়েছিলেন৷ তাদের দাবী পূরণ নাহলেও উত্তর বঙ্গের সাতটি জেলা এবং অসমের ৰ্ষোলটি জেলাকে নিয়ে কমতাপুর রাজ্য গঠনের দাবীকে ভিত্তি করে কমতাপুরকে ‘সি’ কেটাগরির রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এক প্ৰস্তাব দেওয়া হয়েছিল দীৰ্ঘদিন আগেই৷ কিন্তু প্ৰায় চল্লিশ লক্ষ কোঁচ-রাজবংশী জনগোষ্ঠীর বাসভূমি প্ৰস্তাবিত কমতাপুর রাজ্যকে ‘সি’ কেটাগরী অৰ্থাৎ রাজ্যের মধ্যে রাজ্য হিসেবে মানবেনা তারা, তাদের পৃথক রাজ্যই চাই৷ আজ সারা কোচ-রাজবংশী ছাত্ৰ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গকুল বৰ্মন পৃথক রাজ্যের দাবীতে অটল থাকেন৷ সে আরও বলেন, কোচবিহার এক সময় বৃহত্তর কামরূপ রাজ্যের অংগ ছিল৷ ১৯৪৯ সালের ১২ সেম্বের কোচবিহারের রাজা জগদ্বীপেন্দ্ৰ নারায়ণ ভারত সরকারের সঙ্গে এক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলেন৷ সে চুক্তি অনুযায়ী ভারত সরকারের তদানীন্তন স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰী বল্লভ ভাই প্যাটেল কমতাপুর রাজ্যের দাবী মেনেও নিয়েছিলেন৷ বৰ্তমান স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰী রাজনাথ সিঙও কোঁচ-রাজবংশী জনগোষ্ঠীকে তপশীলিভুক্ত করে কমতাপুর রাজ্যের দাবীর প্ৰতি সহানুভূতি প্ৰকাশ করেছিলেন বলে সাধারণ সম্পাদক গকুল বৰ্মন দাবী করেন৷ বিগত কংগ্ৰেস ও বৰ্তমানের বিজেপি সরকার বৃহত্তর কোচ-রাজবংশীকে শুধু মিথ্যা প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েই যাচ্ছেন৷ তাই তারা বাধ্য হয়ে আগামী ২৯ আগষ্ট থেকে ধারাবাহিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে৷ ২৯ আগষ্ট ভোর ৫টা থেকে ৩০ আগষ্ট সন্ধ্যা ৫টা পৰ্যন্ত রে’ল ও সড়ক অবরোধ, ১০ সেম্বের থেকে ১০০ ঘণ্টা চাকা বন্ধ, ২৭ সেম্বের শ্ৰীরামপুর এবং ছাগলীয়া গে’ট অবরোধ এবং আগামী ৭ অক্টোবর গুয়াহাটিতে নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত করার মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের মতামত গ্ৰহণ করার পর পরবৰ্তী সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করা হবে৷ কোচ-রাজবংশী ছাত্ৰ সংস্থা ছাড়া কোচ-রাজবংশী মহিলা সমিতি এবং চিলারায় সেনা এই প্ৰস্তাবিত আন্দোলন কাৰ্যসূচিকে সমৰ্থন জানিয়েছে৷ ছাত্ৰ সংস্থার সভাপতি অণ কুমার রায় এবং সাধারণ সম্পাদক গকুল বৰ্মন সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ১৯৯৬ সালে তদানীন্তন কেন্দ্ৰীয় সরাকার কোচ-রাজবংশী জনগোষ্ঠীকে তপশীলিভুক্ত করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করেছিল৷ পর পর চার বার এমন অধ্যাদেশ জারি করার পরও তাকে আইনে পরিণত করা হয়নি৷ নেতাদ্বয়-এ বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সোচ্চার হয়ে বলেন, বড়োল্যাণ্ডের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে কাৰ্বি-আংলঙের বড়ো-কাছাড়িদের স্বশাসন দেবার চেষ্টা চলছে৷ অথচ কোচ-রাজবংশী জনগোষ্ঠীর দীৰ্ঘদিনের ন্যায্য দাবী পূরণ করা হচ্ছে না৷

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.