Header Ads

এন আর সিঃ অসমবাসীর ভবিষ্যৎ সুরক্ষার ঐতিহাসিক দলিলঃসৰ্বানন্দ সনোয়াল, মুখ্যমন্ত্ৰী, অসম


মহামান্য সুপ্ৰীম কোটের নিৰ্দেশে আর জি আই-র তৎপরতায় তথা কেন্দ্ৰীয় ও রাজ্য সরকারের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য জাতীয় নাগরিকপঞ্জী সম্পূৰ্ণ খসড়া প্ৰকাশ করা হল। এই দিনটি আমাদের সকলের জন্য ঐতিহাসিক দিন হিসাবে চিহিত হবে। এই সফলতার জন্য এন আর সি উন্নতিকরণ প্ৰক্ৰিয়ার সঙ্গে ৫৫ হাজার অফিসার কৰ্মচারী ও বরাক-ব্ৰহ্মপুত্ৰ, পাহাড়-সমতল ও চর-চাপরির সমস্ত অসমবাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমি নিশ্চিত যে বৃহত্তর অসমের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার রক্ষা কবজ হিসাবে ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তুলবে । তাছাড়া এন  আর সির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অসমের জনগণনের সংগ্ৰামী সত্তার বৰ্হিঃপ্ৰকাশের বাস্তব ছবি। প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিকের আশা-আকাঙ্খা পূরণ হবে। সুদীৰ্ঘ ৬ বছর অসম আন্দোলনের ফলস্বরূপে অসম চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। যাতে এক বিদেশীমুক্ত শুদ্ধ জাতীয় নাগরিকপঞ্জী রূপায়ন করা বিষয়টি সন্নিবিষ্ট করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে ভারতীয় জনতা পাৰ্টি এবং মিত্ৰজোটের সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে এন আর সির কাজ সফলভাবে রূপায়নের লক্ষ্যে প্ৰথম দিনই আমি এন আর সি কাৰ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। একটি শুদ্ধ নাগরিকপঞ্জী প্ৰস্তুত করার জন্য কেন্দ্ৰীয় ও রাজ্য সরকার সম্পূৰ্ণভাবে সহযোগিতা করে আসছে। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি এবং স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী রাজনাথ সিং শুদ্ধ এন আর সি রূপায়নের উপর জোর দিয়ে আসছেন। এর জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকার প্ৰয়োজনীয় অৰ্থ সাহায্য করেছেন। অসম সরকারের গৃহ বিভাগ এবং কেন্দ্ৰীয় গৃহ মন্ত্ৰায়লয়ের অফিসাররা ঘন ঘন বৈঠক করে এন আর সিকে সফল করেছে। কেন্দ্ৰীয় সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য তা সফল হয়েছে। এন আর সি প্ৰথম খসড়া প্ৰকাশের পরেই বরাক-ব্ৰহ্মপুত্ৰ, পাহাড়-সমতল বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী ভাষাভাষি সব ধৰ্মালম্বীর মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তি প্ৰদৰ্শন করেছিল। আমি আশা করি সম্পূৰ্ণ খসড়া প্ৰকাশের পর রাজ্যের জনসাধারণ একই ভাবে শান্তিপূৰ্ণ পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখবে, ঐক্যবদ্ধভাবে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করবে। আমি রাজ্যবাসীকে জানাতে চাই, এটি সম্পূৰ্ণ খসড়া তালিকা, চুড়ান্ত তালিকা নয়, কারও নাম বাদ পড়লে শঙ্কিত বা চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিক সুনিৰ্ধারিত প্ৰক্ৰিয়ার মাধ্যমে দাবি আপত্তি জানিয়ে নিজের নাম অন্তৰ্ভূক্ত করার সুযোগ লাভ করবে। এই ক্ষেত্ৰে কেন্দ্ৰীয় এবং রাজ্য সরকার সকল ধরণের সহযোগিতা করবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্টমন্ত্ৰী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কারও নাম বাদ পড়লেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে না। এন আর সি রাষ্ট্ৰীয় কৰ্মসূচী তা সফল করা সকল ভারতীয় নাগরিকের দায়িত্ব ও কৰ্তব্য। রাষ্ট্ৰীয় নাগরিককে নিয়ে কোনও ধরণের সাম্প্ৰদায়িক উসকানিমূলক মন্তব্য না করার জন্য বার বার আহবান জানাচ্ছি। সমাজের কিছু দুষ্ট চক্ৰ এন আর সি সম্পৰ্কে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি প্ৰয়াস চালাচ্ছে। এই ধরণের সকল চক্ৰান্ত নিৰ্মূল করার জন্য সমাজের সকলমানুষ যাতে বদ্ধপরিকর হয় তার আহবান জানাচ্ছি। ভারতের স্বাধীনতার ৭০ বছর পর এন আর সি খসড়া অসমের প্ৰতিজন নাগরিকের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করবে বলে আমি নিশ্চিত। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.