Header Ads

অগপ-বিজেপি বাহি্যকভাবে নিৰ্বাচনী সমঝোতা না করলেও গোপনে বোঝাপড়ায় লিপ্ত হয়েছে, অভিযোগ কংগ্ৰেসের

গুয়াহাটিঃ বিজেপির সরকার কেন্দ্ৰে ২০১৪ সালে এবং ২০১৬ সালে অসমে ক্ষমতাসীন হয়ে নানা মিথ্যা প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়ে জনবিরোধী কাৰ্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে। জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় সামগ্ৰীর মূল্য বৃদ্ধির ফলে আম জনতার নাভিশ্বাস উঠছে। অসমের মানুষ জীবন জীবিকার প্ৰতি এক অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছে। সেই বিজেপিকে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার আহবান জানায় কংগ্ৰেস। প্ৰদেশ কংগ্ৰেসের সাধারণ সম্পাদক অপূৰ্ব কুমার ভট্টাচাৰ্য আজ এক সাংবাদিক সন্মেলনে এই মন্তব্য করে বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, কংগ্ৰেসের ক্ৰমবৰ্দ্ধমান জনপ্ৰিয়তায় শঙ্কিত হয়ে অগপ-বিজেপি বাহি্যকভাবে নিৰ্বাচনী সমঝোতা না করলেও গোপনে বোঝাপড়ায় লিপ্ত হয়েছে। বিজেপি প্ৰথম থেকে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচন করার পক্ষপাতি ছিলনা। হাইকোৰ্টে নিৰ্দেশে বাধ্য হয়ে নিৰ্বাচনে মত দিয়েছে। গ্ৰামোন্নয়ন সভাগুলিতে বিজেপির কর্মীদের নিয়ে উন্নয়নের পরিবৰ্তে সিণ্ডিকেট রাজ গড়ে তুলেছে। মহিলা সবলীকরণ, কৃষক, শ্ৰমিকের জীবিকার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মিত্ৰ দল অসম গণ পরিষদ দল গত ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পৰ্যন্ত পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনই হতে দেয়নি। পঞ্চায়েত ব্যবস্থার বিকেন্দ্ৰীকরণের পরিবৰ্তে বিভিন্ন সামগ্ৰী কেন্দ্ৰীয়ভাবে ক্ৰয় করে লুণ্ঠন রাজ চালিয়েছে। অগপ, বিজেপি দুটো দলই ক্ষমতার বিকেন্দ্ৰীকরণ বিশ্বাস করেনা। কংগ্ৰেস দল ক্ষমতাসীন হয়ে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। মহাত্মা গান্ধীর গ্ৰাম স্বরাজের নীতি-আদৰ্শকে গ্ৰহণ করে ২৯টি বিভাগের ক্ষমতা গ্ৰাম পঞ্চায়েতগুলিতে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেছে। প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে সংবিধানের ৭৩ তম সংশোধনীর মাধ্যমে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের দু পৰ্যায় থেকে তিন পৰ্যায়ের পঞ্চায়েতী রাজের ব্যবস্থা করেছিলেন। কৰ্মহীন মানুষদের ১০০ দিনের কৰ্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সেই বিজেপি অগপকে পৰ্যু্যদস্ত করে কংগ্ৰেসকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহবান জানিয়েছে কংগ্ৰেস সাধারণ সম্পাদক অপূৰ্ব ভট্টাচাৰ্য।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.