Header Ads

নিজগৃহে গৃহহীন মানুষের পাশে দাঁড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবিরা

দেব কিশোর চক্রবর্তী, কলকাতাঃ অসমের পাশে দাঁড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবিরা। মনোজ মিত্ৰ, বিভাস চক্ৰবৰ্তী, শুভাপ্ৰসন্ন, শাঁওলি মিত্ৰ, প্ৰতুল মুখোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, গৌতম ঘোষ, সুবোধ সরকার, নৃসিংহ প্ৰসাদ ভাদুড়ি, কল্যাণ রুদ্ৰ, আবুল বাশার প্ৰমুখ গত ৮ আগষ্ট এক যৌথ বাৰ্তা দিয়ে বলেছেন, ৪০ লক্ষ মানুষ রাতারাতি রাষ্ট্ৰহীন, নিজের পাড়ায় নিজের উঠোনে নিজের বাড়িতে শরণাৰ্থী। তাদের নাম নেই জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে। তাঁরা কোথায় যাবেন, কোন দেশে যাবেন, কেউ জানে না। এই ভয়ঙ্কর অমানবিক ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী তাঁদের জবাব দিতে হবে। এবার সময় হয়েছে পথে নামার। রাস্তাই একমাত্ৰ রাস্তা। আজ এই সব বুদ্ধিজীবিরা কলকাতা প্ৰেস ক্লাবে যৌথভাবে এক সভা ডেকে বুদ্ধিজীবিরা আসামের নিজগৃহে গৃহহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেন। বুদ্ধিজীবিরা কেন্দ্ৰের বিজেপি সরকারের তীব্ৰ সমালোচনা করে বলেন, গুজরাটের গণ হত্যার থেকেও অসমের সমস্যা ভয়াবহ, অসমের ৪০ লক্ষ মানুষের হৃদয়কে হত্যা করেছে। অনুপ্ৰবেশকারিদের সমৰ্থন তাঁরা করে না। কিন্তু বাংলায় কথা বলা হিন্দু-মুসলিম মানুষ দেশ বিভাজনের বহু দিন আগে থেকে অসমে পাশাপাশি বসবাস করছে। তাদেরকে রাতারাতি রাষ্ট্ৰহীন করে দেওয়া হবে তা তাঁরা সহ্য করবে না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ৰতি পূৰ্ণ সমৰ্থন জানিয়ে বলেন, ভারতের বাংলাভাষী মানুষ যেখানেই বিপদের মুখোমুখি হেচ্ছন সেখানেই মমতা বেনাৰ্জি প্ৰতিবাদ করছেন। বুদ্ধিজীবিরা প্ৰশ্ন তোলেন কোন পদ্ধতিতে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি প্ৰস্তুত করা হচ্ছে? ছিন্নমূল অবস্থায় নিৰ্যাতিত হয়ে পূৰ্ব পাকিস্তান থেকে এ দেশে এসে বহু কষ্টে শরনাৰ্থী রেজিষ্ট্ৰেশন কাৰ্ড সংগ্ৰহ করেছিলেন বাঙালিরা। সেই রেজিষ্ট্ৰেশন কাৰ্ডের মতো মূল্যবান নথিও অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি কৰ্তৃপক্ষ গ্ৰহণ করে নি। অদ্ভুত নিয়ম!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.