Header Ads

রণ গ্রাম সেতু কান্দি বহরমপুর লাইফ লাইন, রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার

অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল রোড  কান্দি  - বহরমপুর লাইফ লাইন   রণ গ্রাম সেতু  থমকে দিয়েছে। সেই সেতু অতিক্রম করে সাধারণ মানুষ কি যন্ত্রণা  ভোগ করে সদর শহর  বহরমপুর   যাতায়াত করে তার    অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এলাম। যেখানে ৩০কিলোমিটার যেতে বাসে ২৫টাকা সেখানে   অটো, টো টো তে পড়ে  দেড়শো   দুশো টাকা।সকালে কান্দি জেল রোড  থেকে কান্দি  বাস স্ট্যান্ড দশ টাকা,ওখান থেকে রণ গ্রাম  সেতু পর্যন্ত ৩০,৪০টাকা যার কাছে যেমন পাওয়া   যাই। আমি  পত্নী  দুটি আসনের বদলে তিনটি টিকিটের দাম দিলাম। নতুবা  গা ঘেঁষা  ঘেষি করে যেতে হবে।বাসষ্ট্যান্ডে এক  ভ্যান দাঁড়িয়ে ছিল , সে জানালো পুলিশ  যাত্রী  তুলতে দেই না।  সেই  টো টো চালক জানালো বহরমপুর হাই রোড পযন্ত গেলে ৩০০টাকা লাগবে।  রাজনীতির শিকার  রণ গ্রাম সেতু পেলাম।  অটো র চালক জানালো ১০জন যাত্রী ছাড়া বহরমপুর যাবে না।৪৫ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর ১০ যাত্রী হল। ভাড়া ৩০টাকা আমি  তিনটি টিকিটের দাম  দিলাম  কারণ সেই এক গা ঘেঁষা ঘেঁষি করে বসতে হবে।সরকার বলছে   মাস্ক বাধ্যতা মূলক আর দু গজ কি দুরি বসতে হবে।  দু  চার ঘণ্টা ব্যবধানে বাস  আধা রাস্তা পর্যন্ত সেতু পর্যন্ত বাসে গ্রামের  বসে   কখন বাস ছাড়বে ভগবান ভরসা।এই গরীব বাস শ্রমিকদের ইনকাম  বন্ধ ,পুজোর সময় হাতে কানা কড়ি নেই ছেলে মেয়েদের নতুন জামা কাপড়  কিনে দিতে  পারলো না। বছর দুয়েক থেকে  দুয়ারে সরকারের গরীব শ্রমজীবী  মানুষ  উপসী জীবন কাটাচ্ছেন।বাস শ্রমিকদের  পাশে কেউ নেই।  অবশেষে বহরমপুর পেলাম,বাসষ্ট্যান্ডে থেকে কাদাই   ১০ টাকা। ফিরলাম বিকাল চারটায়   অটো গুলি র ডাক কান্দি কান্দি।একটা   অটো পেলাম পিছনের সি টে একজন ভালভাবে বসতে পারবে না।দুজন করে বসালো। ছোট সিটে দুজন আমি আর  পত্নী  সান্তনা বসলো। ভাড়া কান্দি পযন্ত  মাথা পিছু ৫০টাকা। ১১জন যাত্রী তুললো।পিছনে দাঁড়িয়ে এক জন। মোট ১২জন ,ভাবুন দু গজ কি  দুরী র কি প্রহসন।আর মাস্ক কারো   দেখলাম না। কেন্দ্র  বলছে  করোনা সংক্রমণ  শেষ  হইনি। আজ দৈনিক   যুগশঙ্খ র হেড লাইন পুজো কার্নিভালে না,মাস্ক ছাড়া পুজো মণ্ডপে  যাওয়া নিষেধ।  দূরত্ব বিধি মানতে হবে।দু গজ দূরে থাকতে হবে।কিন্তু অটো বাসে টা না মানলেও হবে?  সরকার বাহাদুর কি বলেন। যেতে যেতে দেখলাম  রণ গ্রাম সেতুর পাশে  নির্মাণ  কাজ জলে ডুবে।কবে হবে কোনো   ভরসা নেই।পুজোর সময়  বহরমপুর কান্দির ব্যবসায়ীদের  মাথায় হাত বিক্রি বাটা নেই।   গত দুই পুজতেও একই দুরবস্থা। দুয়ারে সরকার কান্দি বাসির   দুয়ারে আসেই নি।এলে অন্তত সেতু টি নির্মিত  হত। নাট বল্টুর ইস্পাতের রণ গ্রাম  সেতু   সেনা বাহিনী  যুদ্ধ ক্ষেত্রে যা২,৩ ঘন্টাই নির্মাণ করে দিতে পারে।অস্থায়ীভাবে হলেও কল্যাণকামী সরকার  পুজোর কথা চিন্তা করে  গরীব শ্রজীবীদের কথা চিন্তা করে অস্থায়ীভাবে বাস চালাবার ব্যবস্থা করে দিতে পারে।  আজ কান্দিতে নাগরিক মঞ্চ অবিলম্বে সেতু টি নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।কান্দির মানুষের দুর্ভোগ  যন্ত্রণা কে মূল ধন করে   বি জে পি,তৃণমূল  কংগ্রেস দলের তরজা চলছে। সবাই চোখের জল ফেলছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.