Header Ads

মিজোরাম সীমান্তে আমরা বাঙালি প্রতিনিধি দল

আবুল কালাম বাহার, শিলচরঃ আজ ৪ আগস্ট ২০২১, অসম বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভূঁইয়া, "আমরা বাঙালি", অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ, খাদি গ্রাম উদ্যোগ আয়োগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শরিফুজামান লস্কর, মানবাধিকার কর্মী আজমল হোসেন চৌধুরী সন্মেলিতভাবে অশান্ত অসম-মিজোরামের লায়লাপুর সীমান্তে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন। গত ২৬ জুলাই লায়লাপুরের যে পাহাড় থেকে মিজো পুলিশ এল এম জি দিয়ে গুলি চালিয়ে ৬ জন অসম পুলিশকে হত্যা করেছিল, সেই পাহাড়ের নিচে দাঁড়িয়ে মিজোরাম সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কোন অবস্থাতে বরাকের এক ইঞ্চি জমি মিজোরামের দখলে থাকা চলবে না। ১৯৭২ সালে মিজোরাম যখন কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হয় ও পরবর্তীকালে ১৯৮৭ সালে রাজ্যের মর্যাদা পায়। তখন যে সীমানা নির্দ্ধারন করা হয়েছিল মিজোরামকে সেই জায়গায় চলে যেতে হবে।

১৯৯৪ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অসম-মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে দিল্লীতে যে সভা হয়েছিল, সেই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ছিল সীমানার স্থিতাবস্থা বজায় রাখা। কেন্দ্রীয়ভাবে সরজমিনে এসে সীমানা নির্দ্ধারন করা, কিন্তু ১৯৯৪ সালের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি উপরন্তু মিজোরাম অসমের জমি দখল করে চলেছে। এখন আবার আলোচনা হয়ে, পুরোনো কাসুন্দির কচকচানি হবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না। এদিকে, আবার আগামীকাল ৫ আগস্ট অসমের দুই মন্ত্রী মাননীয় অতুল বরা ও অশোক সিংঘল  আইজল যাবেন। মিজোরাম সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেকিন্তু আন্তরাজ্য সীমানা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে রাজ্যের দুই মন্ত্রী গিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কি এক্তিয়ার আছে? তা এক বিরাট প্রশ্ন। আমাদের স্বার্থের পরিপন্থী কোন পদক্ষেপ যদি নেওয়া হয় তাহলে বরাকের মানুষ, রাজ্যের মানুষ সেটি মেনে নেবে না। আমরা এই ব্যাপারে রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে সীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করার দাবী রাখছি।

এদিকে, প্রতিনিধিদল কাবুগঞ্জ, পুনিমুখ এলাকায় শহীদ মজরুল হক বড়ভূঁইয়ার বাড়ীতে গিয়ে শহীদ পরিবারের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পরিবারের সঙ্গে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.