Header Ads

বিবেন্দ্র কেম্প্রাইর মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে না পেরে কেস বন্ধ করে দিল হাফলং পুলিশ

বিপ্লব দেবঃ হাফলং
একবছর পার হয়ে গেলে বিবেন্দ্র কেম্প্রাইর মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে না পেরে অবশেষে কেসটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় হাফলং পুলিশ। এনিয়ে বিবেন্দ্র কেম্প্রাইর পরিবারের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে বিবেন্দ্র কেম্প্রাই ও তার বন্ধু  আপনি কেম্প্রাইকে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের গ্যারেজের কাছে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাফলং সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিবেন্দ্রর মাথার পিছনে গুরুতর আঘাত থাকায় তাকে সঙ্গে সঙ্গে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় চিকিৎসকরা কিন্তু গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়ার পথেই বিবেন্দ্র মৃত্যু ঘটে রাস্তায় তারপরই বিবেন্দ্র কেম্প্রাইর বাবা দিহন কেম্প্রাই হাফলং থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন কিন্তু গত এক বছর বিবেন্দ্রর মৃত্যুর তদন্ত করে এই মামলার তদন্তকারী অফিসার নীরজ আলম চৌধুরী হাফলং সি জে এম কোর্টে যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন এতে তিনি উল্লেখ করেন ২ সেপ্টেম্বর রাতে দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বিবেন্দ্র কেম্প্রাইর। কিন্তু দূর্ঘটনায় বিবেন্দ্রর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে কোর্টে তা মানতে রাজি নয় বিবেন্দ্র কেম্প্রাইর পরিবার তাই বিবেন্দ্রর মৃত্য রহস্যের জট খুলতে তার পরিবারের লোকরা আজ ডিমা হাসাও জেলার জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া ও পুলিশসুপার প্রশান্ত শইকীয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই মামলাটি পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছেন। বিবেন্দ্র কেম্প্রাইর বাবা দিহন কেম্প্রাই বৃহষ্পতিবার এই প্রতিবেদককে বলেন ২ সেপ্টেম্বর রাতে তার ছেলেকে খুন করা হয়। মাথার পিছনে আঘাত করে বিবেন্দ্র ও আপনকে পার্বত্য পরিষদের গ্যারেজের সামনে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন সেই রাতে বিবেন্দ্রর সঙ্গে থাকা আপন কেম্প্রাই ভিলেজ কাউন্সিলের সামনে যে স্বীকারোক্তি দিয়েছে এতে আপন উল্লেখ করেন বিবেন্দ্রকে মাথার পিছনে আঘাত করে খুন করা হয় তবে কে বা কারা তা করছে তাদের সে চিনতে পারেনি। তারপর ও পুলিশ এই ঘটনাকে নিছক দূর্ঘটনা বলে মামলাটিকে ধামাচাপা দিতে চাইছে অভিযোগ তুলে তদন্তকারী অফিসার নীরজ আলম চৌধুরীর তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেন দিহন কেম্প্রাই। এদিকে বৃহষ্পতিবার জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া বিবেন্দ্র কেম্প্রাইর পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন এ ব্যাপার নিয়ে তিনি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন এবং বিষয়টি তিনি রাজ্যের গৃহ বিভাগকে অবগত করবেন। ডিমা হাসাও জেলার পুলিশসুপার প্রশান্ত শইকীয়া সাংবাদিকদের বলেন ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে এই ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর প্রথমে পুলিশ একটি দূর্ঘটনার মামলা দায়ের করেছিল পরে মৃত বিবেন্দ্র কেম্প্রাইর পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে খুনের মামলা বলে এজাহার দাখিল করার পর হাফলং পুলিশ এক মামলা রেজিষ্টার করে এক বছর তদন্ত করে বিবেন্দ্র কেম্প্রাইকে খুন করা হয়েছে বলে কোনও তথ্য প্রমান পায়নি। যার ফলস্বরূপ গত ৩১ আগষ্ট এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট হাফলং সি জে এম কোর্টে জমা দেওয়ার পাশাপাশি বিবেন্দ্রর মৃত্যু দূর্ঘটনায় হয়েছে বলে তার পরিবারকে জানানো হয়। পুলিশসুপার বলেন তবে কোর্ট যদি এই মামলা নিয়ে পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেয় পুলিশকে তাহলে পুলিশ এ মামলার তদন্ত করতে প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে মৃত বিবেন্দ্রর পরিবার জানিয়েছেন পুলিশ যদি এই খুনের মামলা নিয়ে তদন্ত না করে তাহলে তারা গুয়াহাটি হাইকোর্টের দারস্থ হবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.