Header Ads

রাজ্যিক কর্কট প্রতিষ্ঠানে পালিত হল বিশ্ব কর্কট দিবস

দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ অসমে কর্কট রোগীর সংখ্যা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। কর্কট  রোগে আক্রান্ত রোগীই নয় বরঞ্চ তাদের সম্পূর্ণ পরিবারটাই অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আজকের দিনে আমাদের কর্কট রোগীর সংখ্যা কিভাবে কমানো যেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। এই রোগের চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা সুলভ আছে যদিও চিকিৎসার ক্ষেত্ৰে যতখানি সুবিধা পাওয়া উচিত তা এখনও উপলব্ধ হয়নি। এ মন্তব্য করেন রাজ্যিক কর্কট প্রতিষ্ঠানের সঞ্চালক ড০ বিভাষ চন্দ্র গোস্বামী। অসম ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং রাজ্যিক কর্কট প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে সোমবার বিশ্ব কর্কট দিবস পালিত হয়। এর সাথে সঙ্গতি রেখে ভাঙাঘর স্থিত কর্কট প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজনও করা হয়। ওদিকে অসম ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশনের চিকিৎসা উপদেষ্টা ডঃ নির্মল কুমার হাজরিকা বলেন- এখনও সমাজে কর্কট রোগের প্রতি সজাগতার অভাব দেখা যায়। এবারের কর্কট দিবসের মূল বিষয় হল ‘‘আই এম, আই উইল’’। এর ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ এই যে প্রতিজন দায়িত্বশীল মানুষ কর্কট রোগীদের সহায়তা করা উচিত। কৰ্কটাক্ৰান্ত রওগীদের সাহস দেওয়া উচিত। তাদের বোঝানো উচিত -যে এটা  মৃত্যু নয় এর চিকিৎসা আছে। তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে এই রোগ সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হয়ে যায়। কিন্তু এখন অসমে ৭০ শতাংশ রোগীর এই রোগ ধরা পরে দেরীতে। এই বিষয়ে  মানুষের সজাগতার প্রয়োজন রয়েছে। অনেকে ভাবে যে রোগীর শেষ সময়ে এই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে রোগীদের শারীরিক রোগের সাথে যুদ্ধ করার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে সাহস দিতে হবে। এখানে রোগীদের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক তথা আধ্যাত্মিক দিকে চিকিৎসা করানো হয়। এই অনুষ্ঠানে ডক্টর সংঘমিত্রা বরার সাথে আরও বহু চিকিৎসক ও নার্স উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, কর্কট দিবস উপলক্ষে সোমবার প্রতিষ্ঠানের সকল রোগীর মাঝে ফলমূল এবং আহার বিতরণ করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.