Header Ads

সরকারী বিদ্যালয়ের ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের পণবন্দী করে আন্দোলন করবেন না বলে কাতর আহবান আন্দোলনকারীদের প্ৰতি শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধার্থ

২০১৬ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ পৰ্যন্ত ধৰ্ষণের ঘটনা ৪৯৪৪ টি

অমল গুপ্তঃগুয়াহাটি
আন্দোলনের ফলে অসমের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম বিদ্যালয়গুলি বাদ দিয়ে কেবল সরকারী বিদ্যালয়গুলির ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের নিয়েই আন্দোলন চলছে। তাদের শিক্ষাবৰ্ষ পার হয়ে যাচ্ছে। আজ বিধানসভায় শিক্ষা বিভাগের ওপর বিতৰ্কের জবাবে শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য আন্দোলনকারীদের প্ৰতি কর জোরে আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা আন্দোলনের নামে ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের জড়াবেন না, তাদের জীবন নষ্ট করবেন না, বিগত ছয় বছরের আন্দোলনের সময় ছাত্ৰ সমাজ তাদের সোণালী দিনগুলি উৎসৰ্গ করেছে। আর যেন করতে না হয়, শুধু জিন্দাবাদ ধ্বনি দিয়ে ছাত্ৰ সমাজের ক্ষতি করবেন না, সরকারী বিদ্যালয়ের ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের পণবন্দী করে আন্দোলন করবেন না বলে কাতর আহবান জানালেন শিক্ষামন্ত্ৰী।' শিক্ষা বিভাগে ছাঁটাই প্ৰস্তাবের জবাবে শিক্ষামন্ত্ৰী শিক্ষকদের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বেসরকারী বিদ্যালয় থেকে বহু বেশি ৪০-৫০ হাজার টাকা করে সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের ‘পারফরম্যান্স' খুবই দুৰ্বল। শুধুই আন্দোলন আর আন্দোলন। ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে শিক্ষক সমাজ পথে নেমেছে। শিক্ষামন্ত্ৰী মুৰ্দাবাদ ধ্বনি দিচ্ছে। শিক্ষকদের গুণগত মান উন্নয়নের জন্য গুণোৎসব-এর ব্যবস্থা হয়েছে। জনতা ভবনে বসলে ৯০ শতাংশ শিক্ষক আসে তাদের বদলির দাবি নিয়ে। আমি কোনও বিশেষ শ্ৰেণীর মন্ত্ৰী নয়, শুধু চর-চাপরি নয় সারা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্ৰী, সবার স্বাৰ্থ দেখতে হয়, অপ্ৰিয় হ'লেও বলতে হয়, চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা শিক্ষকদের চুক্তির  নিয়ম মেনে করা হয়েছে তা স্থায়ী করা যায় না, সে কথা চুক্তিভিত্তিত শিক্ষকদের বুঝতে হবে। তার পরেও তারা আন্দোলনে নেমেছে। তিনি শিক্ষক ছাত্ৰ অনুপাতের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ৩০জন ছাত্ৰ পিছু একজন শিক্ষকের নীতি মেনে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। রাজ্য সরকার ভাষা নীতি গ্ৰহণ করেছে, কেবিনেট সিদ্ধান্ত এখনও হয় নি শীঘ্ৰই তা ঘোষণা করা হবে। শিক্ষামন্ত্ৰী শিক্ষকদের ব্যক্তিকেন্দ্ৰীক চিন্তা ধারা পরিত্যাগ করে রাজ্যের শিক্ষা জগতের স্বাৰ্থে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, শিক্ষা বিভাগকে এক অরাজকতা গ্ৰাস করেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে মাদ্ৰাসা শিক্ষকদের নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে, কিন্তু প্ৰকৃত কারণ এক সংগঠন হাইকোৰ্টে দ্বারস্ত হওয়ার পরে তা বন্ধ হয়েছে, সে কথা হয়তো কেউ জানে না। কথায় কথায় আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার ফলে শিক্ষক সমাজের ক্ষতি হচ্ছে। রূপজ্যোতি কুৰ্মি, আমিনুল ইসলাম, মহেশ ব্ৰহ্ম, সুমন হরিপ্ৰিয়া প্ৰমুখ শিক্ষা বিভাগের বিতৰ্কে আলোচনায় অংশ গ্ৰহণ করেন। আজ বিধানসভায় সংসদীয় পরিক্ৰমামন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি অগপর সদস্যদের প্ৰেশ্নর যথাযথ জবাব দিচ্ছে না। অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা নিয়ে আলোচনার দাবি জানান, প্ৰবীন্দ্ৰ ডেকা সহ অন্যান্য অগপ কৰ্মীরা এই অভিযোগ তুলে অগপ আজ বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করে। অপরদিকে সারদা কেলেঙ্কারীতে রাজ্যের বিজেপি নেতারা জড়িত তাই সারদা কেলেঙ্কারীকে নিয়ে সরকারকে জবাব দিতে হবে। এই অভিযোগে কংগ্ৰেস সদস্যরাও বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করে। আজ বিধানসভায় প্ৰেশ্নাত্তরপৰ্বে কংগ্ৰেসের কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থর এক প্ৰেশ্নর উত্তরে রাজস্ব মন্ত্ৰী ভবেশ কলিতা জানান, বিগত বন্যায় রাজ্যের ২৪টি জেলায় ১৩,২২,৫৩১ জন লোক ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়েছে। উত্তর করিমগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্ৰে ক্ষতিগ্ৰস্থ ৫৩,০১১ জন, দক্ষিণ করিমগঞ্জে ৬৯,০১২ জন, পাথারকান্দি ১০৭,০০৬ এবং বদরপুর ৭,৮৮৫জন সব চেয়ে বেশি ধেমাজি জেলায়, সেখানে ১,০৯,১৬৮ জন ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়েছে, কছাড়ে ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়েছে, ২,৯২,১৩৪জন, হাইলাকান্দি ৩,০০,০৩৪জন, রাজ্যে ১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পৰ্যন্ত ২৯,৮২৯ জন বিদেশীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ১০৩৭৬৪জনকে  ট্ৰাইব্যুনালগুলি বিদেশী ঘোষণা করেছে এবং ১০৮৮১৫ জন ভারতীয় হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিদেশী ট্ৰাইব্যুনালগুলিত ৬২৬৭৯৩টা বিদেশী নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। বিধানসভায় বিনন্দ কুমার শইকিয়ার প্ৰেশ্নর জবাবে অসম চুক্তি রূপায়ন বিভাগের দায়িত্ব প্ৰাপ্ত পরিবহনমন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি এ কথা জনান। তিনি জানান ৩৬ বিদেশী ট্ৰাইব্যুনাল থেকে বৃদ্ধি করে ১০০টি করা হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি কেন্দ্ৰীয় সরকার কেবিনেট নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে অসম চুক্তির ৬ নম্বর দফা ফলপ্ৰসূ রূপায়নের জন্য কাৰ্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে। সেই পরামৰ্শ মেনে এক উচ্চ পৰ্যায়ে কমিটি গঠন করেছে অসম সরকার। এই কমিটি অসমীয়া মানুষের চাকরি-বাকরি সরক্ষণ, বিধানসভা এবং স্থানীয় পৌরনিগম টাউন কমিটির আসন সংরক্ষণ, অসমীয়া ভাষা-সংস্কৃতি-কৃষ্টি সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করা হবে। আব্দুল খালেকের এক প্ৰেশ্নর জবাবে গৃহ বিভাগের দায়িত্বপ্ৰাপ্ত মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়ালের পক্ষে সংসদীয় পরিক্ৰমা মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি জানান, ১৯৯৭ সালে ভোটার তালিকায় ২,০২,০৯২ জন ‘ডি' ভোটার ছিল। ২০০৫ সালের ভোটার তালিকায় ১,৬০,০৫১ এবং ১৫-০৯-২০১৮ পৰ্যন্ত আছে ১,১৯,৫৫৯ বিপরীতে ‘ডি' ভোটার ছিল, সৰ্বমোঠ ২,৪৪,১৪৪ ‘ডি' ভোটারের বিরুদ্ধে বিদেশী ট্ৰাইব্যুনালগুলিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তারমধ্যে ১,১৮,৩২৮টা অভিযোগ ৩১ আগষ্ট ২০১৮ সালের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে এবং নিষ্পত্তি হওয়া অভিযোগগুলির মধ্যে ২৩,৪৩৭ জনকে বিদেশী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিদেশী আইন, পাসপোট ইত্যাদি শনাক্ত করে সৰ্বমোঠ ২৯,৮২৯জন বিদেশীকে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বিদেশী বলে শনাক্ত হওয়া মাত্ৰ একজনই ‘ডি' ভোটার ছিল। নিজানুর রহমানের এক প্ৰেশ্নর জবাবে, সংসদীয় পরিক্ৰমা মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি জানান, ধুবুড়ি জেলায় আন্তঃরাষ্ট্ৰীয় সীমান্ত উন্নয়নের জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকার ২০১৭-১৮ অৰ্থ বৰ্ষে ৭৩৩.৫০ কোটি (কেন্দ্ৰীয় শেয়ার) এবং ১০৯.০০ কোটি রাজ্য শেয়ার বরাদ্দ করা হয়েছিল, এবং ২০১৮-১৯ সালে ৩৮৪.০০ কোটি টাকা (কেন্দ্ৰীয় শেয়ার) এবং ৫৮.০০ কোটি টাকা রাজ্য শেয়ার বরাদ্দ করা হয়েছিল। রমেন্দ্ৰ  নারায়ণ কলিতার এক প্ৰেশ্নর জবাবে রাজস্ব মন্ত্ৰী ভবেশ কলিতা জানান, দেশের অবসর প্ৰাপ্ত নিৰ্বাচনী কমিশনার হরিশঙ্কর ব্ৰহ্ম-এর নেতৃত্বে কমিটি এক প্ৰতিবেদন দাখিল করেছে, সেই প্ৰতিবেদন অনুযায়ী সমান্তরালভাবে ভূমি আইন সংশোধনের কাজ চলছে। গুয়াহাটি মহানগরে সুদীৰ্ঘকাল ধরে বসবাস করা মানুষদেরই মাটির পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্ৰে অগ্ৰাধিকার দেওয়া হবে। তবে পাহাড় অঞ্চলে বসবাস করা পরিবারদের মাটির পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্ৰে ভূমি নীতি গ্ৰহণ করার পরই তা চূড়ান্ত হবে। বিরোধী দলপতি দেবব্ৰত শইকিয়ার এক প্ৰেশ্নর জবাবে গৃহ বিভাগের দায়িত্ব প্ৰাপ্ত মুখ্যমন্ত্ৰীর পক্ষে সংসদীয় পরিক্ৰমামন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি জানান, ২০১৬র ২৬ মে' বিজেপি নেতৃত্বাধীন মিত্ৰজোট সরকার ক্ষমতসীন হওয়ার পর দেশ বিরোধী কাৰ্যকলাপের পর ২৫১টি দেশদ্ৰোহীতার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আলফা, এনডিএফবি, কে এল ও ছাড়াও মনজিত মহন্ত, অখিল গগৈ, ড০ হীরেন গোহাঁই প্ৰমুখদের বিরুদ্ধে ঐ সময়ের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছ। নজরুল হকের এক প্ৰেশ্নর জবাবে চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি জনান, অসম সচিবালয়ে প্ৰথম শ্ৰেণীর অফিসারের সংখ্যা ১৬৭ টি শূণ্য হয়ে আছে ৯৪টি, দ্বিতীয় শ্ৰেণীর কৰ্মচারির সংখ্যা হচ্ছে ৭৩৭টি শূণ্য হয়ে আছে ৪৪টি, তৃতীয় শ্ৰেণীর কৰ্মচারির সংখ্যা হচ্ছে ৮৪৬টি খালী হয়ে আছে ১৯১টি এবং চতুৰ্থ শ্ৰেণীর কৰ্মচারির সংখ্যা হচ্ছে ৭১৫জন খালী হয়ে আছে ১৬১টি। রেকিবুদ্দিন আহমেদের এক প্ৰেশ্নর জবাবে চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি জানান, অসমীয়া বা খিলঞ্জীয়া অসমীয়ার সংজ্ঞা এখনও নিরূপন করা হয় নি। এই সংজ্ঞা নিরূপনের জন্য প্ৰাক্তন বিধানসভার অধ্যক্ষ প্ৰনব গগৈ ৫৩ টি দল সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে ২০১৫ সালে এক প্ৰতিবেদন দাখিল করেছিলেন বিধানসভায়। কিন্তু সেই প্ৰতিবেদন নিয়ে কোনও ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হয় নি। বৰ্তমান সরকার এন আর সি এবং অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা রূপায়ন এবং তদারক করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার নেতৃত্বে এক কেবিনেট সাব কমিটি গঠন করে দিয়েছে। এই কমিটি অসমের খিলঞ্জীয়া জনগোষ্ঠীর আৰ্থ সামাজিক রক্ষা কবচ নিয়ে নানা পরামৰ্শ দেবে। বৰ্তমান সরকার উদ্যেগে আধার কাৰ্ড প্ৰস্তুত কাজ চলছে। রাজ্যের ৩৩ টি জেলাতেই ডেপুটি কমিশনাররা এনরোলমেণ্ট এজেন্সী হিসাবে গণ্য করে নাম নথিভূক্ত করা হচ্ছে বলে জানান চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি। প্ৰশ্ন ছিল নুরুল হুদার। রমেন্দ্ৰ নারায়ণ কলিতার এক প্ৰেশ্নর জবাবে চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি জনান, ২০১৬ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতসীন হওয়ার পর থেকে ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ পৰ্যন্ত ধৰ্ষণ, বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে ৪৯৪৪ টি, ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৪২৫টি, চুরির ঘটনা ঘটেছে ৩৮, ১৪২, অপহরণের ঘটনা ১৭,৩৩১টি, ডাইনী হত্যার ঘটনা ঘটেছে ১৯টি, যৌতুক জনিত হত্যার ঘটনা ২০,০৮৮টি এবং পথ দূৰ্ঘটনা ঘটেছে ২১,০১১টি, ২৪-০৫-২০১৬ থেকে ২৮-০১-২০১৯ পৰ্যন্ত উগ্ৰপন্থী সংগঠনের হাতে ৩৬জন নিহত হয়েছে সাধারণ মানুষ এবং নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে ৬১জন উগ্ৰপন্থী নিহত হয়েছে। নারী জনিত অপরাধ রোধ করার জন্য প্ৰতি জেলায় ষ্টেট ওমেন সেল এবং সাইবার ডোম প্ৰকল্প স্থাপন করা হয়েছে। অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা বিধানসভায় আজ ২০১৮-১৯ অৰ্থ বছরের ব্যয় করার জন্য সাত হাজার ছশ ত্ৰিশ কোটি, সাতেরো লক্ষ, উনসত্তর হাজার টাকা (৭৬৩০,১৭,৬৯,০০০) এপ্ৰোপ্ৰিয়েশন বিল মঞ্জুরির জন্য পেশ করেন। রাজ্যের ৭৮টি বিভাগে ব্যয় করার জন্য এই টাকার জন্য আবেদন জানানো হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.