Header Ads

মোদী বনাম মমতা, সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশ সংঘাত অব্যাহত


ছবি, সৌঃ নিউজ১৮.কম
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, কলকাতাঃ সিবিআই কাণ্ডে রবিবার রাত ৮ টা ৪০ মিনিট থেকে রাজ্যের ওপর কেন্দ্ৰের হস্তক্ষেপ নিয়ে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধরনায় বসেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি জানিয়েছেন এই ধরনা চলবে ৮ ফেব্ৰুয়ারি পৰ্যন্ত। তবে সেইসঙ্গে তিনি এও জানান ৯ ফেব্ৰুয়ারি থেকে পরীক্ষার জন্য ধরনা মঞ্চে মাইক বাজবে না । তিনি আরও জানিয়েছেন-  ধরনা চলাকালীন অন্য কোথাও যাবেন না। সরকার বা দলের কোনও কর্মসূচিও বাতিল করা হবে না। শুধুমাত্র হুগলিতে একটি কর্মসূচিতে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা পরে করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘সাংবিধানিক অধিকার, ব্যক্তিগত অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। সারা দেশ থেকে এই আন্দোলনে সমর্থন জানানো হয়েছে। যাঁরা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক কাঠামোয় বিশ্বাস করেন, তাঁরাই এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এটা কোনও একার আন্দোলন নয়।’’ এদিন ধরনা চলাকালীন ধরনা মঞ্চের পেছনে অস্থায়ী কক্ষে ক্যাবিনেট বৈঠকও সারেন তিনি। প্রায় আধ ঘণ্টার বৈঠকে মূলত আলোচনা হয় বাজেট নিয়ে। বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করার আগে মন্ত্রিসভার অনুমতি নিতে হয়। তার জন্যই এই বৈঠক। বৈঠকের পর মন্ত্রীরা বিধানসভায় যান। সেখানে বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তার আগে এই ধরনা মঞ্চ থেকেই এদিন  কৃষক সমাবেশে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন প্ৰতিহিংসার রাজনীতি করছে মোদী সরকার। সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতেই বেজিপি বিরোধী দলগুলির প্ৰায় সমস্ত নেত তৃণমূল নেত্ৰীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এদিন মমতাকে ট্যুইট করে সমৰ্থন জানিয়েছেন কংগ্ৰেসের সৰ্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। নরেন্দ্ৰ মোদীর সরকারকে ফ্যাসিবাদী বলে উল্লেখ করেন গুজরাতের দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণী। এরআগে মমতার ডাকে ব্ৰিগেডের সমাবেশেও হাজির হয়েছিলেন বিরোধী নেতারা। সিবিআই ও কেন্দ্ৰের সঙ্গে সংঘাতেও তৃণমূল নেত্ৰীর সমৰ্থনে এগিয়ে এসেছেন তাঁরা। তবে বিজেপির শরিক দলগুলির কোনও নেতাকে মোদীর সমৰ্থনে সেভাবে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। কলকাতার ঘটনার তীব্ৰ নিন্দা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্ৰী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তৃণমূল নেত্ৰীকে সমৰ্থন জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাও। সমাজবাদী পাৰ্টির নেতা অখিলেশ যাদব বলেছেন- দেশে উৎপীড়ন চালাচ্ছে বিজেপি সরকার। সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে। দেশের সংবিধান ও মানুষের স্বধীনতা বিপন্ন হতে বসেছে। জেডিএস এনতা এইচডি কুমারস্বামী বলেছেন- সংবিধানে প্ৰতিটি রাজ্যকে যুক্তরাষ্ট্ৰীয় অধিকার দেওয়া হয়েছে। আজ বাংলায় তার ওপর আঘাত হানা হল। রাষ্ট্ৰীয় জনতা দল নেতা লালুপ্ৰসাদ যাদব, তেজস্বী যাদব সকলেই ট্যুইট করে তৃণমূল নেত্ৰীর পক্ষে কথা বলেছেন। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন সকলেই তৃণমূল নেত্ৰীর পক্ষে ট্যুইট করে সমৰ্থন করেছেন। মহারাষ্ট্ৰ নবনিৰ্মাণ সেনা নেতা রাজ ঠাকরে বলেছেন- ‘কেন্দ্ৰীয় সরকারের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের পদক্ষেপে আমাদের সমৰ্থন আছে। ওঁর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব আমরা।’ অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্ৰীর দিকে তোপ গেদে কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী রবিশংকর প্ৰসাদ বলেন- ‘ রাজনিতিকদের সঙ্গে ধরনায় বসেছেন একজন পুলিশ কমিশনার। এর অৰ্থ কী? আসলে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অনুসরণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ধরনায় বসেছেন। এদিন বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়ে তৃণণমূল নেত্ৰীকে তীব্ৰ আক্ৰমণ করেন পশ্চিমবঙ্গের প্ৰাক্তন আইপিএস এফিসার ভারতী ঘোষ। বলেন- এই ধরনা সত্যাগ্ৰহ নয় অসত্যাগ্ৰহ। প্ৰসঙ্গত, এদিন সিবিআই কাণ্ড নিয়ে লোকসভায় শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে তীব্ৰ হুলুস্থুলের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।    

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.