Header Ads

দুদিনের বাণিজ্য সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুৰ্নিশ জানালেন শিল্পপতিরা

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, কলকাতাঃ  দুদিনের বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে অন্যান্য শিল্পপতিরা। এসেছে বেশ কিছু বিনিয়োগও। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান তাঁর বক্তৃতায় কুর্নিশ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, 'দিদির নেতৃত্বে বাংলা এখন মিষ্টি বাংলায় পরিণত হয়েছে। সিটি অফ জয় কলকাতা এখন আশার শহর। মাত্র এক বছরে সবকিছু কতটা বদলে দিয়েছেন মমতা। উন্নতির দিকে পোল ভল্ট দিয়ে এগোচ্ছে বাংলা ও তার রাজধানী। বাংলার GDP ১০ লক্ষ কোটি ছাড়িয়েছে। কৃষি সমৃদ্ধ হয়েছে। কৃষকদের আয় বেড়েছে। এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর আত্মবিশ্বাসী নেতৃত্ব ও তাঁর দল এবং অন্যান্য মন্ত্রী-আমলাদের একনিষ্ঠতায়। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে শিল্পদ্যোগের উন্নয়েনর প্ৰচুর সম্ভাবনা রয়েছে। সম্মেলনে ভাষণে শিল্পপতিদের রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন- ‘বৰ্তমানে বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী, কৃষক এবং বেকার যুবকদের লক্ষ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ।’ তিনি আরও বলেন- আমরা চাই ভারতবৰ্ষ উন্নতির পথে এগিয়ে যাক, তার জন্য প্ৰত্যেকটি রাজ্যকে উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে হবে।’ সমাজে আৰ্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষের উন্নতির জন্য এই মন্তব্য করেন তিনি। প্ৰসঙ্গক্ৰমে তিনি আরও বলেন- নিম্নস্তরের মানুষগুলো খুশি হলে, প্ৰতিষ্ঠানের উন্নতি হবে। কৃষকরা খুশি হলে সকলের মঙ্গল হবে। এদিন বাণিজ্য সম্মেলনের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতালি, জাৰ্মানী এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি মউ সাক্ষর করে। এদিন ভাষণের সময় মুখ্যমন্ত্ৰী আরও বলেন- ‘২০১১ সালের মে মাসে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে শিল্প ক্ষেত্ৰে প্ৰচুর উন্নতি হয়েছে। প্ৰাতিষ্ঠানিক উন্নতির হার ৬৫ শতাংশ থেকে বেড়ে গত ৭ বছরে ৯৮ শতাংশ হয়েছে।’ তাছাড়াও রাজ্যে সরকারী হাসপাতালগুলিতে হাৰ্ট হোক লিভার কিংবা কিডনি সংস্থাপন সব ধরনের চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। যেসময় সংসদে ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের দাবি উঠছে, ঠিক সেসময় পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত কিংবা নগর পুরসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। রাজ্যের লক্ষাধিক কিশোরীকে স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। বাল্যবিবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। সংখ্যালঘু এবং পিছিয়ে পড়া শ্ৰেণীর মানুষকেও স্কলারশিপ সহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.