Header Ads

লোকসভায় ২০১৯-২০ অন্তৰ্বৰ্তী বাজেট পেশ কেন্দ্ৰীয় ভারপ্ৰাপ্ত অৰ্থমন্ত্ৰী পীয়ুষ গোয়েলের

ছবি, সৌঃ এএনআই
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, নয়াদিল্লিঃ আয়করে ছাড় দেওয়া হবে আগে থেকে প্রত্যাশা ছিলই। শুক্ৰবার লোকসভায় অন্তৰ্বৰ্তী বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্ৰীয় অৰ্থমন্ত্ৰী পীয়ুষ গোয়েল। বাৰ্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা পৰ্যন্ত করমুক্ত করা হল। এর ফলে দেশে প্ৰায় ৩ কোটি সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। এক লাফে দু’গুণ বাড়িয়ে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৫ লক্ষ টাকা করার কথা ঘোষণা হল অন্তর্বর্তী বাজেটে। এত বড় ঘোষণা আগের কোনও পূর্ণাঙ্গ বাজেটেও হয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না প্রবীণ অর্থনীতিবিদরাও। গোয়েল তাঁর ভাষণে বলেছেন- বাৰ্ষিক সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা পৰ্যন্ত আয়কারীদের প্ৰোভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করলে সেক্ষেত্ৰে তাদের কোনও কর দিতে হবে না। স্ট্যান্ডাৰ্ড ট্যাক্স ডিডাকশন ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এরফলে সাধারণ চাকুরিজীবীদের মুখে স্বাভাবিকভাবেই হাসি ফুটেছে। ৪০ হাজার টাকা পৰ্যন্ত সুদ আয়কর মুক্ত করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক ডাকঘরে ৪০ হাজার পৰ্যন্ত সুদকর মুক্ত। মহিলা ও পেনশনভোগীরা পাবেন এই সুবিধা।
  •  বাজেটে কেন্দ্ৰীয় ভারপ্ৰাপ্ত অৰ্থমন্ত্ৰী আরও কি কি বললেন একবার দেখে নেওয়া যাক-
ভাড়া আয়ের ওপর টিডিএস থ্ৰেশহোল্ড ১.৮ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ২.৪ লক্ষ হয়েছে। গ্ৰ্যাচুইটি সীমা ১০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। পুঁজি কর লাভের রোলওভার সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। ধারা ৮০(আই) বিএ-এর অধীন বেনিফিট আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হচ্ছে। অৰ্থমন্ত্ৰী বলেছেন- ৫ মিলিয়ন ডলার ইকনোমির দিকে আগামী ৫ বছরের মধ্যে পৌঁছে যাবো। আগামী ৮ বছরের মধ্যে ১০ ট্ৰিলিয়ন ডলারের দিকে পৌঁছে যাওয়ার আশা করছে কেন্দ্ৰীয় সরকার। বাৰ্ষিক ৫ কোটি টাকার নিচে টাৰ্নওভার করা ব্যবসায়ীদের ৯০ শতাংশের ওপর জিএসটি দিতে হবে, তাদের ৩ মাস বাদে বাদে ইনস্টলমেন্টে জিএসটি রিটাৰ্নের সুবিধা থাকবে। ২০১৩-১৪ সালে ৬.৩৮ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে প্ৰত্যক্ষ কর সংগ্ৰহ হয়েছে প্ৰায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা। ৩.৭৯ কোটি থেকে ৬. ৮৫ কোটি টাকা পৰ্যন্ত কর ৯৯.৫৪ শতাংশ রিটাৰ্নস কোনও ধরনের স্ক্ৰুটিনি ছাড়াই গ্ৰহণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি জিএসটি সংগ্ৰহ হয়েছে। আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে কর সংক্ৰান্ত সমস্ত কাজ ইলেকট্ৰনিকেলি করা হবে। সেখানে কর আধিকারিকদের কোনও রকম হস্তক্ষেপ থাকবে না। উত্তরপূৰ্বাঞ্চলের জন্য ৫৮,১৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।      


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.