Header Ads

শেষপৰ্যন্ত হিমন্তও বললেন ‘ঘুসপেটিয়া’

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, দিল্লিঃ দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় সভা শনিবার শেষ হল। রামলীলা ময়দানে সেই সভায় প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং অন্যান্য কেন্দ্ৰীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী তথা নাডা-র সভাপতি হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা অমিত শাহের সুরে সুর মিলিয়ে বললেন- ‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে বাদ পড়া ৪০ লক্ষ মানুষই বাংলাদেশী। বাংলাদেশের মুসলিমরা অসমের জনবিন্যাসকে পাল্টে দিয়েছে। প্ৰধানমন্ত্ৰী অসমে বিদেশী সনাক্তকরণের জন্য এনআরসি শুরু করেছিলেন। আমি গৰ্বের সঙ্গে বলতে পাড়ি- তার জন্যে ৪০ লক্ষ অনুপ্ৰবেশকারীকে এনআরসি থেকে বাদ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। হিন্দুদের প্ৰতি বিজেপির দায়বদ্ধতা আছে। তাই নাগরিকত্ব আইন সংসদে পাস করানোর চেষ্টা হচ্ছে। হিন্দু বাংলাদেশী সহ খ্ৰিস্টান, পাৰ্সি, বৌদ্ধ, জৈন ধৰ্মাবলম্বি মানুষেরা দেশ বিভাজনের শিকার হয়েছিল। তারা কোনও দিন দেশ বিভাজন চায়নি। কংগ্ৰেস সরকার পাপ করেছিল তাদেরকে পুনরবাসন না দিয়ে। বৰ্তমান সরকার তার প্ৰয়শ্চিত্ত করছে।’ অসমিয়া ভূমিপুত্ৰ এবং খিলঞ্জিয়া মানুষের বিধানসভা, নগরপালিকা, পঞ্চায়েত প্ৰভৃতি জায়গায় আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা, এবং যুবকদের চাকরি বাকরি সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে উচ্চ পৰ্যায়ের কমিটি গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্ৰীয় সরকার। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এর আগে এনআরসি থেকে বাদ পড়া ৪০ লক্ষ্য মানুষকে ‘উইপোকা’ এবং ‘ঘুসপেটিয়া’ বলে অপমান করেছিলেন। আজ অসমেরই মন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা সেই আপত্তিকর শব্দই প্ৰয়োগ করলেন। প্ৰসঙ্গত, ৪০ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্ৰায় ২০ লক্ষ বাঙালি হিন্দু। ১০ লক্ষ বাঙালি মুসলিম। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক।     

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.