ব্রহ্মপুত্রের বালুচরে রংবেরঙের বিভিন্ন আকারের ঘুড়ি উড়িয়ে পালন করা হল জীবন কাইট, রিভার ফেস্টিভ্যাল
দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ ব্রহ্মপুত্রের বালুচরে রং বেরঙের ঘুড়ি উড়িয়ে শীতের মজা লুটলেন আট থেকে আশি সকলেই। গত রবিবার থেকে ব্রহ্মপুত্রের বালুচরে শুরু হয়েছে জীবন কাইট রিভার ফেস্টিভেল, (সিলা নই) ফেস্টিভাল বৃহস্পতিবার ছিল এর শেষ দিন। পাঁচ দিনের এই উৎসবের মূল আকৰ্ষণ ছিল ঘুড়ি ওড়ানো। রংবেরঙের প্রায় এক হাজারেরও বেশি ঘুড়ি ওড়ানো হয়েছে। ঘুড়ি উড়াতে কারোর মধ্যেই উৎসাহের খামতি ছিল না। এছাড়াও এর মুখ্য আকর্ষণ ছিল অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস, লোকনৃত্য, পাপেট শো, ফিল্ম শো, আলোচনা, প্রদর্শনী ও খাবার। প্ৰসঙ্গত, এই জীবন কাইট ও রিভার উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ রঞ্জন গডুকা বলেন- এই উৎসব এবার আট বছরে পা রাখল। ২০১২ সালে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে বালুচরে প্রথম এই উৎসবের শুরু হয়। তার সাথে রয়েছে প্রায় ৪০০ উৎসাহী স্বেচ্ছাসেবক। এই উৎসব লোকদেরকে প্রকৃতির আরো কাছে নিয়ে আসবে। উৎসবের উদ্দেশ্য ব্রহ্মপুত্রকে তুলে ধরার সঙ্গে নদীর সম্ভাবনাকে ব্যবহার করা ও নদীর পাড়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা। তিনি আরো বলেন- ব্রহ্মপুত্র অসমের জীবনরেখা স্বরূপ। এই ঘুড়ি উৎসবের ছোট ছোট ঘুড়ি গুলি তৈরি করেছে স্বেচ্ছাসেবকেরা। এবং বড় ঘুড়িগুলি দিল্লি এবং মুম্বাই থেকে আনা হয়েছে। যা এমন কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অন্ধকারেও সেগুলি দেখা যায়। অনেক স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। ব্রহ্মপুত্রের বালুচরকে সম্পূর্ণ একটা গ্রামের আকার দেওয়া হয়েছে। যেখানে একটি নামঘর তৈরি করা হয়েছে যাতে নবীন প্রজন্মেরা অসমের কৃষ্টি সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারে। এই কাইট রিভার উৎসবে অংশগ্রহণ করে অনেকেই বলেছেন- অসমে প্রায় একশরও বেশি জাতি জনজাতি রয়েছে। সবারই নিজে নিজে কলাকৃষ্টি সংস্কৃতি রয়েছে। রাজ্যের এই অশান্ত সময়ে জীবন রেখা স্বরূপ ব্রহ্মপুত্র লোকের মাঝে উৎসাহ ও শক্তি যোগাবে এই উৎসবে। এবারে ৩০ হাজারেরও বেশি লোকের ভিড় হয়েছে এই উৎসবে। একথা জানালেন সুরেশ গডুকা।
কোন মন্তব্য নেই