Header Ads

৫ দিনের চান্দডুবি উৎসব সম্পন্ন হল

দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ
পরম্পরাগত খাদ্য ও খেলাধুলোয় মুখরিত হল চান্দডুবি বিলের পার।  দক্ষিণ কামরূপের অসম- মেঘালয়ের সীমান্তে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ চান্দডুবি বিলের পারে জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু হয় চান্দডুবি উৎসব। অঞ্চলটি পর্যটন স্থল হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। এই উৎসব দেখতে দেশী বিদেশী বহু পর্যটকের ভিড়ে ভরে পড়েছিল চান্দডুবি বিলের পার। প্ৰসঙ্গত, একসময় ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্টি হয়েছিল এই চান্দডুবি বিল। এই বিলের সংরক্ষণও পর্যটনের আকর্ষণ স্থান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আঞ্চলিক রাভা ছাত্র সংস্থা ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর বছরের প্রথম জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত করছে চান্দডুবি উৎসবের। এবছরও তার ব্যতিক্ৰম হয়নি। উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যপাল জগদীশ মুখী। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাভা স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যবাহী সদস্য টংকেশ্বর রাভা। রাজ্যপাল জগদীশ মুখী স্বস্ত্ৰীক ঐতিহাসিক চান্দডুবির নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করে অভিভূত হয়ে পরেন। উৎসব স্থল থেকেই তিনি রাজ্যবাসীকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা দিয়েছেন। এই উৎসবে রাভা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বিভিন্ন জাতি জনগোষ্ঠীর বর্ণময় কৃষ্টি সংস্কৃতির আনন্দ নেওয়ার সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো ছিল। এই উৎসবে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর পরম্পরাগত খাদ্যসম্ভার, হাতি সাফারি, পরম্পরাগত খেলা ছাড়াও লোক সঙ্গীত এবং লোক নৃত্যের সঙ্গে সঙ্গে নৌক ভ্রমণের আয়োজনও করা হয়েছিল। যাতে দেশি-বিদেশী পর্যটকরা এই অপরুপ নৈসর্গিক সৌন্দৰ্য উপভোগ করতে পারেন। এছাড়াও প্রদুষণ মুক্ত অসম, তথা প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ এবং শব্দ প্রদুষণ রোধও এ উৎসবের উদ্দেশ্য ছিল।
উৎসবের প্রথম দিন  অগণন পর্যটকে ভরে পড়েছিল চান্দডুবির পার। বাঁশ, বেত,খর ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল চাং ঘর, টঙ্গী ঘর। যা আকর্ষণ করেছিল পর্যটকদের। উৎসবে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বহু সামগ্রীই খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.