Header Ads

নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, প্ৰতিবাদ অব্যাহতঃ উচ্চ পৰ্যায়ের কমিটি অস্তিত্বহীন

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে অসমের ছাত্ৰ সমাজের প্ৰতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত। মরিগাঁও বোকাখাত, বরপেটা, তেজপুর, যোরহাট, নলবাড়ি, নগাঁও, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, নুমলিগড়, মাজুলি প্ৰভৃতি জায়গায় বিভিন্ন শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানের ছাত্ৰছাত্ৰীরা রাস্তায় নেমে বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়। গোলাঘাটের বাঙালি সমাজও এই বিল বাতিলের দাবিতে সরব হয়। গোয়ালপাড়ায় আমসু অৰ্ধউলঙ্গ প্ৰতিবাদ করে। মরিগাঁও এবং দুলিয়াজানে ছাত্ৰছাত্ৰীরা কবিতা পাঠ করে প্ৰতিবাদে সামিল হন। অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা কাৰ্যকরী করার জন্য যে উচ্চ পৰ্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেই কমিটি থেকে অবসরপ্ৰাপ্ত আইএএস অফিসার এমপি বেজবরুয়াও শনিবার পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন- এই কমিটির মাধ্যমে অসমের মানুষের স্বাৰ্থ পূরণ হবে না। এর আগে পদত্যাগ করেছেন- মুকুন্দ রাজবংশী, রংবং তেরাং এবং নগেন শইকিয়া। আসু আগেই থেকেই প্ৰতিনিধিত্ব করতে আপত্তি করেছিল। স্বাভাবিকভাবেই এই উচ্চ পৰ্যায়ের কমিটি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ল। এদিন আসু উত্তরপূৰ্বাঞ্চলের নেসোর সদস্যরা ত্ৰিপুরার মুখ্যমন্ত্ৰী বিপ্লব কুমার দেব-এর বিরুদ্ধে কালো পতাকা উড়িয়ে কালো দিবস পালন করে। কারণ সমুজ্জ্বল ভট্টাচাৰ্যের নেতৃত্বে প্ৰতিনিধি দল গিয়েছিলেন আহত প্ৰতিবাদকারীদের দেখতে। সেখানে তাঁদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুধু অসম নয়, উত্তরপূৰ্বাঞ্চলের ছাত্ৰ সংগঠনও এই প্ৰতিবাদে সামিল হয়। সদ্য পদত্যাগী মন্ত্ৰী অগপ-র কেশব মহন্ত এবং অতুল বরা তাদেরই পূৰ্বতন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ করে বলেন- এই সরকার দমনমূলক গণতান্ত্ৰিক আন্দোলনকে দমন করছে। নাগরিকত্ব বিল যদি প্ৰত্যাহার করা হয় তবে বিজেপি সরকারের সঙ্গে সমঝোতারর চেষ্টা করা হতে পারে। বরাকের বিজেপি নেতা প্ৰদীপ দত্ত রায় তাঁর আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে এদিন বলেছেন - বরাকে অসমিয়া ছাত্ৰছাত্ৰীরা নিশ্চিন্তে নিরাপদে আছে। তাদেরকে কেউ অসুবিধায় ফলবে না। এরআগে তিনি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে বলেছিলেন নাগরিককত্ব সংশোধনী বিল বিরোধী অসমিয়া ছাত্ৰছাত্ৰীদের শিলচরের অসম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে দেওয়া হবে না। বাধা দেওয়া হবে। এদিন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সঞ্জিব ভট্টাচাৰ্য এক নিৰ্দেশ জারি করে বলেছেন- অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়ণরত ছাত্ৰছাত্ৰীরা কোনও রাজনীতিতে লিপ্ত হতে পারবেন না। তাদেরকে শৈক্ষিক পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখতে হবে। প্ৰদীপ দত্ত রায় নিজের মন্তব্য থেকে সরে এলেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিন ডিগবয় থানায় আলফা নেতা জিতেন দত্ত প্ৰদীপ দত্ত রায়ের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন। গুয়াহাটি, ডিব্ৰুগড় এবং নগাঁও থানাতেও এজাহার দায়ের করা হয়েছে। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত বলেছেন- অসম চুক্তির সৰ্ত মেনেই বরাকে অসম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছিল। সেখানে অসমিয়া ছাত্ৰদের বিরুদ্ধে কথা বলে প্ৰদীপ দত্ত রায় সেই চুক্তি ভঙ্গ করেছেন। ড০ হীরেণ গোঁহাইও বলেছেন এধরণের জাতি বিদ্বেষমূলক কথা বলা উচিত নয়। অসমিয়া-বাঙালির মধ্যে সম্প্ৰীতি রক্ষা করা উচিত। গত ৬ জানুয়ারি গুয়াহাটির বিজেপির কাৰ্যালয়ে ঘেরাও করেছিল কয়েকশ মহিলা সদস্য। এর পেছনে প্ৰাক্তন আলফা নেতা অনুপ চেতিয়ার উস্কানি ছিল বলে পুলিশ অভিযোগ করেছে। এদিন আলফার প্ৰাক্তন সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া বলেন- নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল যদি গ্ৰাহ্য করা হয় তবে আলফার সঙ্গে কেন্দ্ৰীয় সরকারের আলোচনা ব্যৰ্থ হয়ে যাবে। কোনও প্ৰাসঙ্গিকতা থাকবে না। ৬ জনগোষ্ঠীকে তফশিল ভুক্ত করার প্ৰস্তাবের প্ৰতিবাদে আদিবাসী ছাত্ৰ সংস্থা এদিন উজান অসমের কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভে সামিল হয়। মেঘালয় সরকারের মতো মণিপুর সরকারও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে ক্যাবিনেটের প্ৰস্তাব গ্ৰহণ করে। বরাক উপত্যকায় সুস্মিতা দেবেব বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের প্ৰক্ষিতে সাংসদ সুস্মিতা দেব এদিন বলেছেন- অসমের বিশেষ করে বরাক উপত্যকার হিন্দু, মুসলিম ভোটারদের সপক্ষে আছেন তিনি। ২০১৪ সালের ভোটার তালিকাকে ভিত্তি করে নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে তিনি। ধৰ্মের ভিত্তিতে নয়। বরাকেরই প্ৰাক্তন কংগ্ৰেস মন্ত্ৰী সিদ্দেক আহমেদ বলেছেন- বরাকের ৭৫ শতাংশ মানুষ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.