Header Ads

সমগ্র দেশের সাথে রাজ্যে বিভিন্ন বর্ণময় অনুষ্ঠানের দ্বারা পালন করা হলো ৭০ তম প্রজাতন্ত্র দিবস


দেবযানী পাটিকরঃ গুয়াহাটি
আজ প্রজাতন্ত্র দিবস। সমগ্র দেশ জুড়ে পালন করা হয় ৭০সংখ্যক প্রজাতন্ত্র দিবস। দেশের রাজধানী দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ জাতীয় পতাকা উত্তলন করেন। শঙ্খ বাজিয়ে শুরু করেন এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত  ব্রিটিশের প্রবর্তন করা সুরই বাজানো হতো এবার প্রথমবার ব্রিটিশের সুরকে বাদ দিয়ে শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এইবার প্রজাতন্ত্র দিবসের মুখ্য অতিথি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি মাটামেলা সিরিল রামাকোসা। এদিন অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয় বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগের ২৬ টা প্রতীকপট। অসমের প্রতীকপটে দেখানো হয়েছে বস্ত্র নগরীর শুয়ালকুচির বস্ত্র শিল্প। এদিন সৈন্যর দ্বারা প্যারেড প্রদর্শন করা হয়। রাজপথে প্রদর্শন করা হয় মহিলাদের পেরেড।সেনাবাহিনীর তিনটা অঙ্গের সুন্দর প্যারেড প্রদর্শন এর সাথে এই প্রথমবার আসাম রাইফেলস মহিলাদলে রাজপথে প্যারেড প্রদর্শন করেন। জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর নামে ছিল এবারের মূল প্যারেড। মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে এই বর্ষের মূল বিষয় ছিল জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী।

ওদিকে সমগ্র রাজ্যে উদযাপন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। খানাপারা পশু চিকিৎসালয় মহাবিদ্যালয়ের ময়দানে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজন করা হয়েছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের পূর্বে প্রথমে সুধাকণ্ঠ ভুপেন হাজারিকারকে স্মরণ করে রাষ্ট্রীয় পতাকা উত্তোলনের পূর্বেই তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়। এ দিন পতাকা উত্তোলন করলেন রাজ্যপাল জগদীশ মুখী। পতাকা উত্তলন করে তিনি বি আর আম্বেদকরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন যে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত বিকাশের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চল হলো নতুন ভারতের ইঞ্জিন। এছাড়াও  আন্তঃ গাথানী বিকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কার্যকরী হবে ৬নং দফা। ৬ জনগোষ্ঠী জনজাতির মর্যাদা পাবে বলেও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। প্রজাতন্ত্র দিবসকে নিয়ে সমগ্র রাজ্যে  নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা সদরে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। 

ওদিকে প্রজাতন্ত্রের দিনে ৯৪ জন ব্যক্তিকে পদ্মশ্রী সম্মান এবং ১৪ ব্যক্তিকে পদ্ম ভূষণ সম্মান  প্রদান করা হয়। আসামের দু জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করা হয় উদ্ধাবক উদ্ভব কুমার ভারলী ও  বিশিষ্ট চিকিৎসক ইলিয়াস আলী।

উল্লেখনীয় যে উদ্ধভ কুমার ভারালী আবিস্কার করেছিলে একশোরও বেশি যন্ত্রপাতি আর জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রকল্পে ইলিয়াস আলী লাভ করেছেন বিশেষ সাফল্য। ওদিকে ড০ ভূপেন হাজারিকা কে মরণোত্তর ভারতরত্ন  সম্মান প্রদানের সাথে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে ও প্রায়ত নানাজি দেশমুখকে ভারত রত্ন সম্মান প্রদান করা হয়। এর ফলে সমগ্র রাজ্যে খুব উৎসাহের বন্যা বয়ে গেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.