Header Ads

রেল সুরক্ষা বাহিনী এক বছরে উদ্ধার করেছে ৬৯৯ কিশোর কিশোরী


প্ৰতীকী ছবি
দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ অসম সাহিত সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভীষণ ভাবে সক্রিয় মানবপাচারকারী। বিশেষ করে যে সমস্ত অঞ্চল রাজ্যের মধ্যে উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে রয়েছে। দারিদ্রতা, অশিক্ষা, যোগাযোগের ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান, এই সব দিক দিয়ে স্থানগুলো অন্যান্য স্থানের থেকে পিছিয়ে পড়ে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু দালাল চক্র নারী পাচার, শিশু পাচার সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে করে চলেছে। যদিও পুলিশ প্রশাসন তাদের এই কর্মকাণ্ডকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য প্রতিনিয়ত নানান ব্যবস্থা নিচ্ছে তথাপি তারা খুবই সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন স্থানে কাজ করে চলছে। মানব পাচারের ক্ষেত্রে ট্রেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। এই ট্রেনের সাহায্যে দালালদের খপ্পরে বহু শিশু, কিশোর কিশোরী রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ওদিকে রেল সুরক্ষা বাহিনী পালিয়ে যাওয়া শিশুদের উদ্ধার করা সহ মানবপাচারকারির কবল থেকে শিশু তথা কিশোর কিশোরীদের উদ্ধারের পাশাপাশি আরপিএফ কর্মীরা মানব পাচারকারীকে নিয়মিত গ্রেপ্তার করার পর, উদ্ধার করা শিশুদের সাধারণত তাদের পরিবার অথবা চাইল্ড লাইনের কাছে সমঝে দেয়। আরপিএফ এর বিভিন্ন স্কোয়ার্ড এই ধরনের ঘটনাকে প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে আসছে। আরপিএফএর গত ২০১৮ সালের রিপোর্ট অনুসারে গত এক বছরে ৬৯৯ অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর কিশোরীকে উদ্ধার করে আরপিএফ বাহিনী। স্টেশন, ট্রেন ও রেলওয়ে চত্বর থেকে নানা ধরনের অসামাজিক উপাদানের দ্বারা প্রলুব্ধ হওয়ার আগেই এই কয়েকজন অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীকে সফল ভাবে উদ্ধার করতে পেরেছে রেল সুরক্ষা বাহিনী। এর পাশাপাশি ট্রেনে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর কিশোরীদের পাচার করার জন্য ৯ জন মানব দেহ পাচারকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দালালরা গ্রামে গিয়ে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের বহু কিশোরী কিশোরীকে বাইরের রাজ্যে যেমন- দিল্লী, মুম্বাই, পঞ্জাব সহ দেশের অন্যত্র নিয়ে গিয়ে তাদের অন্ধকার জগতে ফেলে দিচ্ছে। কিশোর কিশোরীদের সেদিকে পা বাড়ানোর পর তাদের শেষ পরিনতি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় নিষিদ্ধ পল্লীতে। কারণ দালালরা তাদের প্রচুর টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিচ্ছে নিষিদ্ধ পল্লীতে। পরে মেয়েরা যখন সেটা ভালোভাবে বুঝতে পারে তখন তাদের কিছুই করার থাকে না। অসম সহ সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলে মানব পাচারকারীরা অত্যন্ত সক্রিয়। উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গ্রেপ্তার করা সমস্ত মানব পাচারকারীকে জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওদিকে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য উদ্বিগ্ন পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য বর্তমান সময়ে উত্তরপূর্বে ভীষণভাবে সক্রিয় মানব পাচারকারী। বিশেষ করে যে সকল অঞ্চল রাজ্যের মধ্যে উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে রয়েছে। মানব পাচারকারীর মত বিপজ্জনক আর কিছু। এক্ষেত্রে লোকদের এবং অভিভাবকদের খুবই সতর্ক থাকা উচিত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.