Header Ads

বিবাহ বিচ্ছেদে সময় লাগে কিন্তু মৈত্ৰী ভাঙতে এক সেকেণ্ডও সময় লাগবে নাঃ অতুল বরা

প্ৰচারাভিযান শেষ দিনে মুখ্যমন্ত্ৰী, হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা কঠোর ভাষায় অগপর সমালোচনা করলেন

অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি,
অসমে আগামী ৫ ডিসেম্বর ১৬টি জেলার প্ৰথম পৰ্যায়ে  পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের প্ৰচারাভিযানের আজ ছিল অন্তিম দিন। আজ শেষ দিনে অগপ-বিজেপির মধ্যে পারস্পরিক তীব্ৰ বাক-বিতৰ্কের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে অগপ-বিজেপির মৈত্ৰীজোটের মধ্যে ফাটল চূড়ান্ত পৰ্যায়ে পৌঁছিয়ে গেছে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। আজ মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল পৰ্যন্ত অগপকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন। তিনি গুপ্তহত্যার প্ৰসংগও তুলেছেন। গণ্ডারের চোরা শিকারীদেরকেও অগপ পঞ্চায়েতে  প্ৰাৰ্থীত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। অগপ সভাপতি তথা কৃষি মন্ত্ৰী অতুল বরার নিৰ্বাচন কেন্দ্ৰে গোলাঘাট এমনই অভিযোগ করেছেন। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তের নিৰ্বাচন কেন্দ্ৰ বঢ়হমপুর, জখলাবান্ধা নিৰ্বাচনী সভা করে অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মাও গুপ্ত হত্যার প্ৰসংগ উত্থাপন করে প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তের সমালোচনা করেছেন। তিনি মহন্তের নিৰ্বাচন কেন্দ্ৰ বঢ়হমপুরের রাস্তা-ঘাট দুরবস্থার কথা তুলে ধরে হিমন্ত  মন্তব্য করেন, ‘বঢ়হমপুরের মানুষের ধৈৰ্য্য অসীম, এতো বাজে রাস্তা-ঘাট থাকার পরেও মহন্তকে ছয় ছয় বার বিধায়ক পদে জিতেয়েছেন। আমাদের জালুকবাড়ি কেন্দ্ৰ হলে মহন্তকে পঞ্চায়েত সদস্য পদেও কেউ নিৰ্বাচিত করতো না।' ‘মহন্ত শুধু অসমীয়া জাতির সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গেও প্ৰতারণা করছে।' মহন্ত অগপর সঙ্গে কংগ্ৰেসের সম্পৰ্ক গড়তে চাইছেন। এই উদ্দেশ্য অন্ধপ্ৰদেশের মুখ্যমন্ত্ৰী চন্দ্ৰবাবু নাইডুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অগপ-কংগ্ৰেসকে কাছা-কাছি এনে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্ৰীর অগপ বিরোধী স্থিতির সমালোচনা করে অগপ সভাপতি অতুল বরা বলেছেন, বিবাহ বিচ্ছেদের সময় লাগে, কিন্তু আমাদের বিজেপির সঙ্গে মিত্ৰতা ভাঙতে এক সেকেণ্ডও লাগবেনা। অতুল বরা বলেন, অগপর জনভিত্তি দেখে বিজেপি ভয় পেয়ে গেছে। অগপর প্ৰাক্তন সাংসদ কুমার দীপক দাস বলেন, আমরা বিজেপিকে পরিত্যাগ করেছি।কেবল সময়ের অপক্ষো।এআই ইউডিএফ, বিজেপি, কংগ্ৰেস প্ৰভৃতি দল নিৰ্বাচনে শিশু ছাত্ৰদেরও প্ৰচারাভিযানের কাজে লাগিয়েছে বলে রাজ্য নিৰ্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ এসেছে। কংগ্ৰেস দল নিম্ন অসমে প্ৰচারাভিযান জোরদার করেছে। আজ বিহপুরিয়াতে কংগ্ৰেস দল এক কিলোমিটার দীৰ্ঘ দলীয় পতাকা তৈরি করে প্ৰচার চালিছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নিৰ্দেশে এক ঝাঁক মন্ত্ৰী নেতা অসমের বাঙালি প্ৰধান সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলিতে প্ৰচারাভিযান জোরদার করেছে। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, মমতাবালা ঠাকুর, মন্ত্ৰী সিদ্দিকউল্লা চৌধুরী, এবং তৃণমূল নেত্ৰী রুণু খাতুন, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি গোপীনাথ দাস প্ৰমুখ প্ৰচারাভিযান শুরু করেছে। শতাব্দী রায় গতকাল বকোতে এক বিশাল জনসভায় অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ায় তীব্ৰ ক্ষোভ প্ৰকাশ করে বলেছেন, বিজেপি বাঙালি বিরোধী স্থিতি গ্ৰহণ করেছে। এন আর সি থেকে বাদ পড়া মানুষদের পশ্চিমবঙ্গ সাদরে গ্ৰহণ করবে। বাঙালিদের বিরুদ্ধে নিৰ্যাতন, অত্যাচার তৃণমূল কংগ্ৰেস কোনভাবেই মেনে নেবে না। সভাপতি গোপীনাথ দাস আজ জানান, তৃণমূলের সভাগুলিতে হাজার হাজার মানুষের ভীড় জমছে। তৃণমূলের প্ৰতি প্ৰত্যাশা বেড়ে গেছে অসমের সংখ্যালঘু মানুষের। পশ্চিমবাংলার মন্ত্ৰীরা বরাক উপত্যকায় যাচ্ছেন প্ৰচারের জন্য। তৃণমূল দুই শোর বেশি আসনে প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে গোপীনাথ জানান। এআইইউডিএফ প্ৰধন বদরুদ্দিন আজমল আজ অভিযোগ করেছেন, তাদের প্ৰচার অভিযান জোরদার করার সময় ষড়যন্ত্ৰ শুরু হয়েছে। তার প্ৰচারে বাধা দেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার উড়তে পারলো না। আজ খারুপেটীয়া, তিনসুকিয়া প্ৰভৃতি জায়গায় হাজার হাজার মানুষ অপক্ষো করেছিল। কিন্তু হেলিকপ্টার উড়েনি। আজ পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের প্ৰচারের শেষ দিন ছিল। প্ৰথম পৰ্যায়ে শিবসাগর, ডিব্ৰুগড়, চরাইদেও, তিনসুকিয়া, যোরহাট, মাজুলি, গোলাঘাট, নগাঁও, ধেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর, দরং, মরিগাঁও, কামরূপ মহানগর এবং কামৰূপ জেলায় নিৰ্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর। জেলা পরিষদের ২৫১ জন, আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের ১৩০৪, গাঁও পঞ্চায়েত সভাপতি ১৩০৪ এবং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সদস্য ১৩০৪০ জন মোট ১৫,৮৯৯ টি পদে নিৰ্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.