Header Ads

রাজ্যের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে সংখ্যালঘু মানুষ মনুষ্যেতর জীবন কাটােচ্ছ অভিযোগ, দেশের বিশিষ্ট মানবাধিকার কৰ্মী হৰ্ষ মন্দারের

দেশের মানবাধিকার কৰ্মীরা তিনসুকিয়ার অভিশপ্ত ধলার ঘটনাস্থল পরিদৰ্শন করে আজ ফিরে গেলেন

গুয়াহাটিঃ অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নবায়নের নামে, ডিটেনশন ক্যাম্প এবং ‘ডি' ভোটারের নামে রাজ্যের ধৰ্মীয় এবং ভাষিক সংখ্যালঘু মানুষদের ব্যাপক হারে হয়রানি করা হচ্ছে। রাজ্যের ছটি ডিটেনশন ক্যাম্পে  এক হাজারের বেশি সংখ্যালঘু মানুষকে বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে। তারা মনুষ্যেতর জীবন কাটাচ্ছে, এন আর সি নবায়নের নামে লক্ষ লক্ষ মানুষকে রাষ্ট্ৰহীন করার ষড়যন্ত্ৰ চলছে। রাষ্ট্ৰ সংঘের ‘স্পেশাল রেপৰ্টিয়ার অন ফ্ৰীডম অফ রিলিজন মাইন'রিটি এ্যণ্ড কনটেম্পো'রেরী ফৰ্মস অফ রেসিজিম'-র পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে এক স্মারক পত্ৰ পাঠিয়ে অসমের এন আর সি উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্ৰকাশ করে বলেছে, এন আর সি কৰ্তৃপক্ষ চাইছেনা ঠিকমতো এন আর সি নবায়ন হোক, ৩১ ডিসেম্বর পৰ্যন্ত দাবি আপত্তির সময় সীমা বৃদ্ধির আপত্তি জানিয়েছে রাষ্ট্ৰ সংঘের ঐ কমিটি। ১৩ ডিসেম্বরের এই স্মারক পত্ৰের পর দেশের খ্যাতনামা মানবিধাকার কৰ্মী হৰ্ষ মন্দার এন আর সি উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্ৰকাশ করেন আজ। গতকাল তিনসুকিয়ায় ধলার বিসনীমূখ খেরবাড়ি গ্ৰামে গত ১ নভেম্বর দুৰ্বৃত্তদের নিৰ্বিচার গুলিবৰ্ষণের ফলে নিরিহ ৫ বাঙালি প্ৰাণ হারান, তাদের পরিবারগুলির কাছে গিয়ে তিনি খবরা-খবর নেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঐ অভিশপ্ত গ্ৰামের মানুষদের সঙ্গে কথা বাৰ্তা বলে আজ গুয়াহাটি থেকে ফিরে যান। তার সঙ্গে ছিলেন, দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক জন দয়াল এবং হৰ্ষ মন্দারের সহযোগী এবং গবেষক আব্দুল কালাম আজাদ। আজাদ আজ গতকালের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্ৰকাশ করেছেন হৰ্ষ মন্দার। আজপৰ্যন্ত দোষীদের করায়ত্ত করতে না পারায় ক্ষোভ উগড়িয়ে দিয়েছেন। গতকাল তিনসুকিয়ার ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন হৰ্ষ মন্দার। গত ১ নভেম্বরের ঘটনায় নিহত পরিবারগুলি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। আৰ্থিকভাবে দুৰ্বল পরিবারগুলিকে এককালীন সাহায্যে প্ৰদানের ফলে তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে না বলে তিনি অভিমত পোষণ করেছেন। গবেষক আব্দুল কালাম আজাদ জানান, হৰ্ষ মন্দার এর আগে অসমের কয়েকটি ডিটেনশন ক্যাম্প পরিদৰ্শন করে বন্দীদের দুভোগের কথা তুলে ধরেছিলেন। দেশের বিশিষ্ট মানবাধিকার কৰ্মী হৰ্ষ মন্দার অসমে ডিটেনশন ক্যাম্পে দুরবস্থার কথা তুলে ধরে তার প্ৰতিবাদে দেশে মানবাধিকার কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি অসমের এই বৈষম্য, অবিচার নিয়ে সুপ্ৰীমকোৰ্টের দ্বারস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.