Header Ads

হাফলংয়ে অখন্ড সংঘপ্রধান দাদামণির উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা



বিপ্লব দেবঃ হাফলং
এক ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী হয়ে রইলেন শৈল শহর হাফলঙের মানুষ এ যেন এক তীর্থক্ষেত্র সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভক্তবৃন্দের ঢল নেমেছে তার মধ্যে রয়েছে কাছাড় করিমগঞ্জ হাইলাকান্দি জেলা ও অসমের পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তারা। হাফলং শহরের হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অতিথিশালা ভক্তদের জন্য তৈরি করা শিবিরে তিল ধারনের জায়গা নেই। শহরের চারিদিকে শুধু উৎসবের আবাহ। এবারই প্রথম দক্ষিণ আসাম সন্মিলিত অখন্ড সংঘঠনের উদ্যোগে এবং ডিমা হাসাও জেলা অখন্ড সংঘঠন ও হাফলং অখন্ড মন্ডলীর ব্ ব্যবস্থাপনায় প্রথমবারের মত অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ের শৈল শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংস দেবের শুভ আবির্ভাব উৎসব তথা হাফলং অখন্ড শ্রী বিগ্রহ মন্দির উদ্বোধন ও সর্বভারতীয় অখন্ড সন্মেলন। এ উপলক্ষে বৃহষ্পতিবার বর্তমান অখন্ড সংঘ প্রধান তপন ব্রহ্মচারীজী ভক্তদের দাদামণির উপস্থিতে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় হাফলঙে। বাবামণি মামণি দিদিমণি ভাইদা ও অখন্ড সংহিতার রথ সহযোগে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তবৃন্দ সহ পাহাড়ি জেলার ডিমাসা জেমিনাগা রংমাইনাগা গূর্খা মণিপুরি অসমীয়া বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল সহ এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হাফলং সরকারি উচ্চতর বালক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে হরিওঁ কীর্তন সহযোগে বের হয়ে পুরো শহর পরিক্রমা করে আবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। এধরনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হাফলংবাসী কবে দেখছেন তা ঠিক মনে করতে পারছেন না। বৃহষ্পতিবার  শ্রীশ্রী বাবামণির শুভ জন্মোৎসব ও শ্রীশ্রী মামণির জন্মোৎক্রমোনীয় দিবসের অংঙ্গ হিসেবে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ভিন্নতার স্বাদ এনে দিল। এদিন শোভাযাত্রায় মুখ্য আকর্ষনের কেন্দ্র হিসেবে ছিলেন বর্তমান অখন্ড সংঘ প্রধান শ্রীশ্রী দাদামণি (তপন ব্রহ্মচারী) জী। তিনি সুসজ্জিত রথে বসে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এই শোভাযাত্রায় প্রায় তিন হাজারের উপর ভক্ত  সমাগম হয় যা কোনও ধর্মীয় সংঘঠনের কাছে এক প্রকার রেকর্ড। তার আগে কোন ধর্মীয় সংঘঠনের শোভাযাত্রা হাফলঙে অনুষ্ঠিত হয়নি।  সুসজ্জিত টোবলো, লালপায় শাড়ি পড়ে মহিলা ধূতি পাঞ্জাবি পাঞ্জাবি পড়ে পুরুষ মহিলা ও যুবতীদের হাতে বরন ডালা আবার কারো হাতে শঙ্খ এবং বিভিন্ন জাতি জনগোষ্ঠী তাদের পরম্পরাগত পোষাক পড়ে এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করে শোভাযাত্রাকে আকর্ষনীয় করে তুলেন। এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দেখতে সড়কের দুদিকের ফুটপাতে প্রচুর দশনার্থীদের ভীড়  উপচে পড়েছিল শহরের বিভিন্ন জায়গায়। তারপর দাদমণির সামনে ডিমাসা জনগোষ্ঠীর যুবক যুবতী ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর ছোটছোট ছেলে মেয়েরা নিজেদের পরম্পরাগত লোক নৃত্য পরিবেশন করে। শুক্রবার সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠিত হবে রক্তদান শিবির।  সর্বভারতীয় প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠান এবং হাফলং অখন্ড মন্ডলীর দ্বারা প্রকাশিত ম্যাগাজিন শ্রদ্ধাঞ্জলীর উন্মোচন। সঙ্গীতালেখ্য ও নাটক। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.