Header Ads

৭০ শতাংশের কম আসন পেলে বিধায়কদের আগামী নিৰ্বাচনে প্ৰাৰ্থীত্ব দেওয়া হবে না, এমনই কড়া বাৰ্তা অমিত শাহের


গুয়াহাটিঃ পঞ্চায়েত নিৰ্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই অগপ এবং কংগ্ৰেস মাঠে নেমে তৃণমূল পৰ্যায়ে প্ৰচারাভিযান শুরু করেছিল। পরে নিৰ্বাচন ঘোষণার পর থেকেই বিজেপি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করে। প্ৰস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে রাজ্যে ৭২ টি সংগঠন ছাড়াও সংবিধান বিরোধী শক্তি আলফাও মাঠে নামে। এ ছাড়াও সরকারের শরিক দল অগপ এবং সরকারে ঘনিষ্ঠ ছাত্ৰ সংগঠন আসুও বিলটিরে তীব্ৰ বিরোধিতা করে প্ৰচারাভিযান চালায়। রাজ্যে ব্যাপকভাবে আবেগ সৃষ্টি হয়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি ছিল ব্যাকফুটে। কিন্তু নিৰ্বাচনে বিজেপি হঠাৎই কংগ্ৰেস এআইইউডিএফকে আক্ৰমণ করার পাশাপাশি শরিক দল অগপকে আক্ৰমণ শুরু করে। আজও মুখ্যমন্ত্ৰী বলেছেন, এআইইউডিএফ, কংগ্ৰেস এবং অগপ টাকার এপিঠ ওপিঠ। আজও মন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত সহ অগপ নেতাদের তীব্ৰ ভাবে সমালোচনা করেন। অগপর পরিস্থিতি হয় টাল মাটাল। অগপর মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি হয়। তৃণমূল পৰ্যায়ের অগপ কৰ্মীরা অবিলম্বে বিজেপি ত্যাগ করার পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করে। কিন্তু তিন মন্ত্ৰী বিশেষ করে সভাপতি অতুল বরা এবং কেশব মহন্ত নানা ভাবে বিজেপির দ্বারা অপমানিত হওয়ার পরেও সরকার ছাড়তে নারাজ। কিন্তু সৎ ভাবমূৰ্তি থাকা ব্যতিক্ৰমী মন্ত্ৰী ফণী ভূষণ চৌধুরী মন্ত্ৰীত্ব ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে মত পোষণ করেছেন ঘনিষ্ঠ মহলে। তাই বিজেপির প্ৰচারাভিযানের কূট-কৌশল রাতারাতি পাল্টানোর ফলে রাজ্যে বিজেপির পক্ষে নিৰ্বাচনী হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিজেপির মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপির এক সূত্ৰ জানাচ্ছে, বিগত নিৰ্বাচনে বিজেপির স্থান ছিল চতুৰ্থ। প্ৰথমে কংগ্ৰেস, অগপ, এআইইউডিএফ তার পরে স্থান ছিল বিজেপির। বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করছে নিৰ্বাচনে তারা ৫০ শতাংশের বেশি আসনে জয়লাভ করবে। আজ ৪৩ টি কেন্দ্ৰে পুনর নিৰ্বাচন হয়। আগামী ৯ তারিখের দ্বিতীয় পৰ্যায়ের পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের পরের দিন লখিমপুর জেলায় ২৮ টি কেন্দ্ৰ পুনর নিৰ্বাচন হবে। বিভিন্ন কারণে কেন্দ্ৰগুলিতে প্ৰথম পৰ্যায়ে নিৰ্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে নি। বিজেপি সূত্ৰ থেকেই জানা গেল বিজেপির সৰ্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যের বিধায়কদের কাছে কড়া বাৰ্তা দিয়ে বলেছেন, পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে ভাল ফলতো দেখাতেই হবে। যে সব জেলায় বিজেপি পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে ৭০ শতাংশের কম ভোট পাবে সেই সব জেলার বিজেপি বিধায়কদের আগামী নিৰ্বাচনে টিকিট দেওয়া হবে না। এই কড়া বাৰ্তা পাওয়ার পর ৬১ জন বিজেপি বিধায়কের মধ্যে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল একাংশ বিধায়কের কাজ কৰ্মে খুশি নন। আগামী ১২ ডিসেম্বর পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের ফলাফলের পর রাজ্যের বিধায়কদের ভাগ্য নিৰ্ভর করেছে। দ্বিতীয়ত অগপর সঙ্গে বিজেপির নেতাদের যে ধরণের বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়েছে তাতে প্ৰতীয়মান হয় ১২ ডিসেম্বরের পর অগপ তিন মন্ত্ৰী হয়তো বা বিজেপি সরকার থেকে সরে আসবে। বিজেপির মধ্যে মন্ত্ৰীত্ব প্ৰত্যাশিদের চাপ এখনও বৰ্তমান। তিনজন অগপ মন্ত্ৰী সরে গেলে তা বিজেপির বিধায়কদের দিয়ে পূরণ করা যেতে পারে। যার ফলে বিজেপি মধ্যে আভ্যন্তরীণ ক্ষোভের বহিঃপ্ৰকাশ কিছুটা হলেও লাঘব হবে। তাই আগামী ১২ ডিসেম্বর পর বিজেপি সরকারের বেশ কিছু পরিবৰ্তনের সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই বিজেপি বিধায়কদের ভাগ্যও নিৰ্ভর করবে। আগামী বিধানসভা নিৰ্বাচনে তারা টিকিট পাবে কি পাবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.