Header Ads

৩২ তম গুয়াহাটি গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী


সাহিত্যের উদ্দেশ্য হলো ভালো মানুষ এবং ভালো সমাজ গড়ে তোলা। মুখ্যমন্ত্রী

গুয়াহাটিঃ ৩২ তম গুযাহাটি গ্রন্থমেলার শনিবার থেকে শুরু হয়েছে চাঁদমারীর আসাম অভিযান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ময়দানে। প্রদীপ জ্বালিযে আনুষ্ঠানিকভাবে বইমেলার উদঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী । মেলাতে এবার মোট  ৯২ টি প্রকাশন সংস্থা এবারে অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ১২ টি প্রকাশন সংস্থা এসেছেন। এবার এই প্রথম এত বেশি সংখ্যক বাংলাদেশের থেকে প্রকাশন গোষ্ঠী বই মেলাতে অংশগ্রহণ করেছে ।এছাড়াও দিল্লি থেকে ১০ টি প্রকাশনা সংস্থা। কলকাতা থেকে ১০ টি ,ও ঝাডখন্ড থেকে একটি প্রকাশন সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে সাহিত্যের উদ্দেশ্য হলো ভালো মানুষ এবং ভালো সমাজ গড়ে তোলা। আগামী দিনের আসামের বসবাসকারী বিভিন্ন ভাষাভাষী লোকদের মধ্যে সদ ভাবনা, আন্তরিকতা, শান্তি ও সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ব বোধ রক্ষা করতে পারার মত গ্রন্থ রচনা করতে লাগবে।

এবার জনগোষ্ঠীর সাহিত্যের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর তিওয়া জনগোষ্ঠীর ওপরে এবং ২৭ ডিসেম্বর নেপালি সাহিত্যের ওপর  বিশেষ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও  রাষ্ট্রীয় যুব লেখক সমারোহ ও শিশু ওপর বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আসাম ও বাইরের রাজ্যের অনেক সাহিত্যিক রা এবারের বইমেলাতে অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিদিন বইমেলাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা, চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা ,ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শেষ দিনে পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা দেশ শালা দেশ পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

 উল্লেখনীয় যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে বইমেলাকে পঞ্চায়েত পর্যায়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালিয়েছে আসাম প্রকাশন পরিষদ বইমেলাতে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করা হয়েছে,ও অনেক নতুন বইয়ের সাথে ,সাথে পুরনো বই এর পুনঃ নির্মাণের কাজও করা হয়েছে। শনিবারে মুখ্যমন্ত্রী ৪ টি গ্রন্থ ও স্মৃতি গ্রন্থের উন্মোচন করেন । এছাড়াও আসাম  প্রকাশন পরিষদের উদ্যোগে সাহিত্যিক গবেষক ডঃ নগেন শইকীয়া কে জীবন জোরা সাধনা পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় ।তাকে একটি স্মারক পত্রের সাথে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয় । গ্রন্থমেলা তে ২৪ টি নূতন এবং ৪০ টি পুরানো গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে।

গ্রন্থমেলার মঞ্চটি কে দীপালি বরঠাকুর এর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য বলেন যে বইমেলাকে আসামের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাবার একটা চেষ্টা করা হয়েছে ।বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সাহিত্যের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে ।এবার বাংলাদেশ থেকে  বারটি প্রকাশন সংস্থা এসেছে ।এতে আসাম ও বাংলাদেশের বৌদ্ধিক চিন্তার আদান প্রদানের একটি নতুন মাত্রা প্রদান করেছে। ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচলন বেশি হলও গ্রন্থের আকর্ষণকে তা কম করতে পারেনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন তার শৈশব কাল আসামে কেটেছে। তিনি আরো বলেন যে পৃথিবীর অনেক ভাষা ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ,সেটা অনেক চিন্তার বিষয়.।  বই মেলা সবার মধ্যে বইয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। তিনি।আরো বলেন যে  সাহিত্য বাঁচতে শেখায়, ভাবতে শেখায় ও আত্মদর্শন ঘটায়।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিশিষ্ট অতিথি শাহ মহম্মদ তানভীর মনসুর বলেন যে  বিগত কয়েক বছর ধরে সাউথ ইস্ট এশিয়ান দেশের সাথে যোগাযোগের একটা প্রক্রিয়া চলছে। বিশেষ করে জলপথ এবং বিমানের দ্বারা যোগাযোগের ব্যবস্থার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ সুগম হয়, এবং তাতে অর্থনৈতিক উন্নতী হয় ,এবং সাংস্কৃতিক ও ভাষা সাহিত্যের আদান-প্রদান হয়।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল বুক ট্রাস্টের সঞ্চালক এবং বিশিষ্ট লেখিকা রিতা চৌধুরী, বিধায়ক কিশোর নাথ,অসম প্রকাশন পরিষদের অধ্যক্ষ সুমন চালিহার সাথে অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.