Header Ads

বদরদ্দিন সাহেব তার আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলেন, দুঃখ প্ৰকাশ করলেন, সাংবাদিকদের আন্দোলন অব্যাহত


গুয়াহাটিঃ  ধুবড়ি মানকাচরে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের আমন্ত্ৰণ করে নিয়ে এসে তাদের সঙ্গেই অভদ্ৰ আচরণ করলেন এআইইউডিএফ-এর সভাপতি তথা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল। এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর এই বাদানুবাদ, সাংবদিকদের প্ৰতি তাঁর এই আচরণ সারা রাজ্যে এমনকি সারা দেশেও ‘ভাইরাল' হয়ে যায়। দিল্লী থেকে গুয়াহাটি পৰ্যন্ত সাংবাদিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনার কয়েক ঘ°টার মধ্যেই বদরুদ্দিন সাহেব তার এই আচরণের জন্য ‘টুইট' করে ভুল স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘সংবাদ পত্ৰ গণতন্ত্ৰের চতুৰ্থস্তম্ভ সাংবাদিকদের প্ৰতি তাঁর শ্ৰদ্ধা আছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর শ্ৰদ্ধার সম্পৰ্ক, আকস্মিকভাবে অনিইচ্ছাকৃত কিছু ভুল হয়ে গেছে এর জন্য তিনি ক্ষমা প্ৰার্থী এবং মৰ্মাহত। তাঁর এই ক্ষমা প্ৰাৰ্থনা এবং দুঃখ প্ৰকাশের পরেও আজ শদিয়া থেকে ধুবড়ি এমন কি দিল্লীতেও সাংবাদিকরা প্ৰতিবাদ বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। তাঁকে অবিলম্বে গ্ৰেফতারের দাবি জানিয়ে সাংবাদিকরা রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দিশপুর  প্ৰেস ক্লাবে আজ বৈদ্যুতিন মাধ্যম এবং ছাপা মাধ্যমের সাংবাদিকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান ধৰ্মঘট করে এবং প্ৰতিবাদ মিছিল বার করে। কংগ্ৰেস অভিযোগ করেছে বিগত নিৰ্বাচনে বিজেপিকে জেতানোর জন্য এমন কোনও কাজ নেই বদরুদ্দিন সাহেব করেন নি। উজান অসম সহ কয়েকটি জায়গায় এআইইউডিএফ-এর কোনও অস্তিত্বই ছিল না। তা জানা সত্বেও এআইইউডিএফ সেখানে প্ৰাৰ্থী দেয় ভোট বিভাজনের চেষ্টা যাতে কংগ্ৰেসের ভোটে ভাঙন ধরে, বিজেপির জয়লাভ সহজ হয়। কংগ্ৰেসের বিরোধী দলপতি দেবব্ৰত শইকিয়া সহ অন্যান্য নেতারা এমনও অভিযোগ করেছেন, দিল্লীতে বদরুদ্দিন সাহেব কংগ্ৰেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের মাধ্যমে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সম্পৰ্ক রেখে চলছেন, রাজ্যে বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার সঙ্গে গোপন আঁতাত রাখছেন, একটাই লক্ষ্য বিজেপিকে আগামীলোকসভা ভোটে জিতানো। এখন রাজ্যের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈর সঙ্গে বিরুদ্ধাচারণ করছেন। তাঁর কোনও নীতি নেই আদৰ্শ নেই, রাজ্যেরমুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিভ্ৰান্তের মধ্যে ফেলে কুসংস্কারছন্ন ধৰ্মান্ধ নেতা বদরুদ্দিন আজমল মন্ত্ৰপূত বোতলের জলে ঝার-ফুক করে সেই জল ভোটারদের খাওয়াচ্ছেন, সেই নেতার কোনও অধিকার নেই রাজনীতির অঙ্গনে থাকা। বিজেপি সংখ্যালঘু নেতা মমিনুল আওয়াল বদরুদ্দিনকে নীল শিয়ালের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘তিনি তাঁর ব্যবসা বাঁচানোর জন্য টাকার রাজনীতি করেন'। তিনি সাংবাদিকদের অপমান করে সমগ্ৰ রাজনীতি জগতকে কলুষিত করলেন। আসু, আমসু সহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংগঠন বদরুদ্দিনের সমালোচনা করেন। কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতির প্ৰধান অখিল গগৈ অভিযোগ করেন, ‘সাংবাদিকদের হত্যার অভিযোগে তাকে গ্ৰেফতার করা উচিত'। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.