Header Ads

তিন তালাক বিল পাশ লোকসভায়




নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদনঃ গতকাল বৃহস্পতিবার বিপক্ষের বিরোধ ওয়াক আউটের মধ্যেই লোকসভায় বহুচৰ্চিত মুসলিম মহিলা বিল পাশ হয়ে যায়। গত বছরের ডিসেম্বরে প্ৰথমবার লোকসভায় পাশ হয়েছিল তিন তালাক বিল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে রাজ্যসভায় আটকে যায় মোদী সরকারের এই উদ্যোগ। গতকাল লোকসভায় টানা চারঘণ্টার ম্যারাথন আলোচনা, শাসক-বিরোধী  দুই যুযুধান পক্ষের তীব্ৰ বিতণ্ডার পর এদিন রাতে ধ্বনিভোটে সংসদের নিম্ন কক্ষে পাশ হল তিন তালাক বিলটি।   লোকসভায় শাসক জোটের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় শেষমেষ ধ্বনি ভোটের মাধ্যমেই পাশ হয়ে যায় বিলটি। এর আগেই কেন্দ্ৰের এই উদ্যোগের বিদ্ধে প্ৰতিবাদ সাব্যস্ত করতে সদন থেকে ওয়াকআউট করে কংগ্ৰেস ও এআইএডিএমকে সাংসদরা। সুপ্ৰিম কোৰ্টেও তিন তালাক নিয়ে তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করায় গত সেপ্টেম্বরেই অৰ্ডিন্যান্স এনে একে ফৌজদারি অপরাধ ঘোষণা করা হয়। এই অৰ্ডিন্যান্সকেই চূড়ান্ত র+প দিতে এদিন নতুন করে তিন তালাক বিল লোকসভায় উত্থাপন করে মোদি সরকার।
কিন্তু বিলটিকে যৌথ সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে অনড় কংগ্ৰেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো। তাই তাদের বিরোধিতার জেরে আর এ নিয়ে ঐক্যমত্য গড়তে পারেনি সরকার। তাৎপৰ্যের বিষয় হল, গত বছরের ডিসেম্বরে লোকসভায় কংগ্ৰেসের সমৰ্থনেই তিন তালাক বিল পাশ করিয়ে নিয়েছিল মোদি সরকার। যদিও রাজ্যসভার গণ্ডি পেরোতে পারেনি বিলটি। আজ পুনরায় লোকসভায় মুসলিম মহিলা বিল, ২০১৮ উত্থাপন করে কেন্দ্ৰীয় সরকার।লোকসভায় কংগ্ৰেসের সংসদীয় দলনেতা মল্লিকাজুন খাগড়ে এই বিলটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্ৰণোদিত বলে তীব্ৰ আক্ৰমণ করেন। তাঁর মতে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটকে সামনে রেখেই তড়িঘড়ি বিলটি লোকসভায় পেশ করা হয়েছে। তাই এটিতে প্ৰচুর ত্ৰুটি-বিচু্যথি রয়ে গেছে। তাই বিস্তারিত পৰ্যালোচনার জন্য এটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে তিনি সোচ্চার।
তিন তালাক বিলটি নিয়ে গঠনমূলক আলোচনার পরিবৰ্তে বিলটির বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিরোধী পক্ষ। তাদের অভিযোগ, বিলটি মুসলিম মহিলাদের সুৰক্ষার স্বাৰ্থে নয়, বরং মুসলিম পুষদের শাস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে বিলটি তৈরি করা হয়েছে।  অনেকেই এটিকে সংবিধান বিরোধী বলেও আক্ৰমণ করেছেন। বিজেপি-বিরোধী দলগুলো এই তিন তালাক বিলটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাইয়ের জন্য সংসদের যৌথ সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলে। এই নতুন আইনে তিন তালাকে অভিযুক্ত ব্যক্তির তিন বছরের  সশ্ৰম কারাদণ্ড সহ জরিমানার কথাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। স্ত্ৰীকে ক্ষতিপূরণ দিতে স্বামী রাজি হলে তারপর ম্যাজিস্টে˜টের মধ্যস্থতায় স্বামী জামিন পাবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.