Header Ads

বিসর্জনের দ্বিতীয় দিনেও পাণ্ডু ঘাটে অগণিত লোকের ভিড়




দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ  বিজয়া দশমীর দ্বিতীয় দিনও অর্থাৎ শনিবার একাদশীর দিনও পাণ্ডু ঘাটে ছিল প্ৰচুর লোকের ভিড়। এদিন একমাত্র পাণ্ডু ঘাটেই প্ৰতিমা নিরঞ্জন হয়। দুপুরের পর থেকে পাণ্ডু ঘাটে ধীরে ধীরে বিভিন্ন এলাকার বড় বড় প্রতিমাগুলি আনা হয়। ঘাটে বিসর্জন দেখতে লোকের ভিড় জমতে শুরু করে সকাল থেকেই।  শুক্রবার দুপুরের পর থেকে শুরু হয় পাণ্ডু ঘাটে বিসর্জন। চলে রাত বারোটা পর্যন্ত। রাতে রাজ্যের অৰ্থমন্ত্রী তথা জালুকবাড়ি কেন্দ্ৰের বিধায়ক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘাটে উপস্থিত হন। তিনি ঘাটে পৌঁছে কিছু সময় বিসর্জন উপভোগ করেন। শনিবার দুপুরের পর থেকে ফের শুরু হয় প্ৰতিমা বিসর্জন। কোনও ধরনের অপ্ৰীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে ঘাটে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, জালুকবাড়ি পুলিশ, জল পুলিশ, সিআরপিএফ সবাইকে তৈরি রাখা হয়েছে। পাণ্ডু ঘাট বিসর্জন সমিতির এ বিষয়ে বিশেষ নজর রেখেছে। সুরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। মহানগরের  ঘাটগুলোতে শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে ফলে প্রতিটি ঘাটেই ছিল লোকের ভিড়। ওদিকে কাছমারী ঘাটের সবচেয়ে বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয়। ওই ঘাটে ৩৩৩ টি প্রাতিমা বিসর্জন হয়। গত বছর ২৬৫টি প্রাতিমা বিসর্জন হয়েছিল। শুক্রবার বিসর্জনের সময়  স্তব্ধ হয়ে যায় এমজি রোড। শনিবার সকালে কাছমারী ঘাটে উপস্থিত হন জেলাশাসক বীরেন্দ্র মিত্তাল। ভোর রাত পর্যন্ত  বিসর্জন হবার পর চারদিকে নোংরা, প্লাস্টিক, বিভিন্ন আবর্জনা, ফুল,পাতা পরে থাকার ফলে ঘাটের অবস্থা খুব খারাপ হয়েছিল। শনিবার সকালে এনডিআরএফ বাহিনী, আভ্যন্তরীন জলপরিবহন বিভাগ, সবাই মিলে জিলা প্রশাসনের সহায়তায় স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালিয়ে পুরো ঘাটকে পরিস্কার করে। পাণ্ডু ঘাটেও  বিসর্জনের পর সাথে সাথে সমস্ত আবর্জনাকে তুলে ফেলা হচ্ছে। নদীতে যাতে কোন রকমের প্রদূষণ না হয়। প্রশাসন এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি রেখেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.