Header Ads

রাজ্যজুড়ে বনধের সৰ্বাত্মক প্ৰভাব, রাজপথে টায়ার জ্বালিয়ে প্ৰতিবাদ বনধ সমৰ্থকদের


 ছবি, সৌঃ জি প্লাস
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ রাজ্যজুড়ে এই প্ৰথম সৰ্বাত্মকভাবে বনধের প্ৰভাব পড়তে দেখা গেল। অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধীতা করে ৪০ টির ও বেশি সংগঠন মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে বনধ ডেকেছিল। সৰ্বানন্দ সনোয়ালের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের প্ৰধান শরিক দল অগপ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিজেপি সরকারের স্থিতির বিরোধীতা করে। দলের ৩ নেতা মন্ত্ৰী সহ প্ৰায় দশ হাজার কৰ্মী সদস্য পথে নামেন। এদিন মহানগর সহ বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই রাস্তাঘাট জনশূন্য ছিল। বন্ধ ছিল যানবাহন চলাচল, দোকানপাট, বাজারহাট সমস্ত কিছুই। সরকারী স্কুলগুলিতেও শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতি ছিল না। সরকারী অফিস খোলা থাকলেও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সরকারী কৰ্মীরা অফিসে যেতে পারেননি। তাছাড়া পথে কোনও ধরনের অপ্ৰীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে এই ভয়েও অনেকে এদিন বাড়িতেই বসেই সময় কাটিয়েছেন। বনধ চলাকালিন এদিন বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে রাজপথে বেড়িয়ে এসেছে বিভিন্ন দল সংগঠনের সদস্যরা। টায়ার জ্বালিয়ে প্ৰতিবাদ দেখিয়েছে বনধের সমৰ্থকরা। মহানগরের বেলতলা, চানমারি, বশিষ্ট সহ বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে প্ৰতিবাদ করেছে বনধের সমৰ্থকরা। গোলাঘাটে ভাঙচুর করা হয়েছে এএসটিসির বাস। গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন বাসের চালক। এছাড়াও এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঢিল ছুড়ে গাড়ি ভাঙচুর করেছে প্ৰতিবাদকারীরা। ফলে আটকও হয়েছে শতাধিক প্ৰতিবাদকারী। বনধকে সমৰ্থন করার জন্য বঙাইগাঁওয়ে সারা অসম কোচ রাজবংশী ছাত্ৰ নেতাদের গ্ৰেফতার করা হয়েছে। তবে বনধের কোনও প্ৰভাবই পড়েনি বরাক উপত্যকায়। এদিন বনধ ডাকা ৪৬ টি সংগঠনের আরেক দাবি, আগামী ১৭ নভেম্বর মহানগরে বাঙালি সংগঠনের প্ৰস্তাবিত জনসমাবেশকে বাতিল করতে হবে।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.