Header Ads

জিতেন দত্ত, মৃণাল হাজরিকারা বিচ্ছিন্নতাবাদী, মন্তব্য কংগ্ৰেস নেতা কমলাক্ষের


নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক সরাসরি মুখ খুললেন আলোচনাপন্থী আলফা নেতাদের বিরুদ্ধে। বাঙালিদের বিরুদ্ধে তাঁদের সাম্প্ৰদায়িক বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্ৰেক্ষিতে কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, ‘জিতেন দত্ত, মৃণাল হাজরিকাদের অতীত দেখতে হবে। তাঁরা তো আদতেই মূল স্ৰোতের মানুষ নন। তাঁরা বিচ্ছিন্নতাবাদী। ফলে তাঁদের মুখে এসব কথা শোভা পায় না। তাঁদের কোনও অধিকার নেই কথা বলার। তাছাড়া, সবচেয়ে বড় কথা, বাঙালির ইতিহাস সম্পৰ্কে সামান্যতম জ্ঞানও নেই এইসব আলোচনাপন্থী আলফা নেতার।’ এতেই থেমে না থেকে তিনি আরও বলেন, ফের আগ্নেয়াস্ত্ৰ তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন জিতেন, মৃণালরা। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যাবস্থা গ্ৰহণ করা হচ্ছে না। প্ৰশ্ন তোলেন তিনি। সরাসরি বাঙালিদের আক্ৰমণের লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে। চরম সামপ্ৰদায়িক এবং বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার বা পুলিস প্ৰশাসন তাদের তরফে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দুৰ্ভাগ্যের বিষয় কেনও হিন্দু বাঙালি অথবা মুসলমান ছেলে ফেসবুকে কিছু লিখলেই তাঁকে গ্ৰেফতার করে জেলে পাঠানো হচ্ছে। একইভাবে উস্কানিনমূলক মন্তব্যের জেরে সুবোধ বিশ্বাসকে গ্ৰেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল। তখন তো আমরা কিছু বলিনি। দোষ করলে শাস্তি পেতই হবে। কিন্তু আলোচনাপন্থী আলফা নেতা বারবার উস্কানিমূলক মন্তব্য করলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হচ্ছে না। রাজ্য সরকারকে কাঠগড়য় দাঁড় করিয়ে কমলাক্ষ বলেন, হিন্দু বাঙালি, মুসলমান, বোড়ো, রাভা সকলের ভোটেই সরকার গঠন হয়েছে। মন্ত্ৰী বিধায়করা শপথ নিয়েছেন সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার। কিন্তু এখন কী হচ্ছে? কিছু অসংগঠন লাগাতার বাঙালিদের আক্ৰমণ করে চলছে। ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন আলোচনাপন্থী আলফা নেতারা। অথচ বিষ্ময়করভাবে নীরব ভূমিকা গ্ৰহণ করেছে রাজ্য সরকার। তিনি এদিন রাজ্য সরকারের কাছে মৃণাল এবং জিতেনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বলেন, আইন নিশ্চয়ই সুবোধ বিশ্বাসের জন্য এক, আর আলোচনাপন্থী আলফা নেতাদের জন্য আলাদা হতে পারে না। মোদ্দা কথা অসমের পরিবেশটা নষ্ট করার জন্য কিছু একটা চক্ৰান্ত চলছে। আগামী ১৭ নভেম্ভর বাঙালি সমাবেশ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন কমলাক্ষ। বলেন, এরাজ্যে যারা বসবাস করেন সকলের অধিকার রয়েছে মিছিল-মিটিং করার। অন্যন্য দল সংগঠন নিজেদের ইচ্ছেমতো সমাবেশ করতে পারে। তাহলে বাঙালি সংগঠনগুলি কেন পারবে না? প্ৰশ্ন তোলেন তিনি। সকলেরই গণতান্ত্ৰিক অধিকার রয়েছে নিজেদের বক্তব্য, দাব- দাওয়া তুলে ধরার। এতে সরকার বা কেউ বাধা দিতে পারে না। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.