Header Ads

আন্তৰ্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইতিহাসবিদ নিরোদ কে বরুয়া গোপীনাথ বরদলৈর অবদান তুলে ধরলেন


অমল গুপ্ত
গুয়াহাটিঃ আন্তৰ্জাতিক প্ৰথিতযশা ইতিহাসবিদ নিরোদ কে বরুয়া আজ গুয়াহাটি, দিশপুর পি ডব্লিও ডি কনভেনশন সেণ্টারে এক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে অংশ গ্ৰহণ করে অসমের প্ৰথম মুখ্যমন্ত্ৰী (প্ৰিমিয়ার) লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বরদলৈর জীবনাদৰ্শ তুলে ধরে তাঁর প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জ্ঞাপন করে অসমকে পাকিস্তানের হাত থেকে কি ভাবে রক্ষা করেছিলেন, তার বিস্তৃত তথ্য তুলে ধরেন। দিশপুর প্ৰেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আর এস এস-এর উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের শীৰ্ষ স্থানীয়নেতা শঙ্কর দাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জাৰ্মান প্ৰবাসী নিরোদ কে বরুয়া স্যার সাদুল্লাহ সরকার যে অসমকে পাকিস্তানের সঙ্গে সামিল করতে চেয়েছিলেন, তাঁর উদ্দেশ্য যে ভালো ছিল না, তার নানা ঘটনা প্ৰবাহ তুলে ধরে বলেন, তদানীন্তন কয়েক জন কংগ্ৰেস নেতাকে হাতে করে মুসলিম লীগের সদস্যদের একজোট করে অসমকে পাকিস্থানে সামিল করার গভীর ষড়যন্ত্ৰে লিপ্ত হয়েছিলেন সাদুল্লাহ। সেই ষড়যন্ত্ৰের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করে রাজ্যের বামপন্থী মতাদৰ্শে বিশ্বাসী বুদ্ধিজীবিদের দিকে এবং তদানীন্তন উপজাতি নেতাদের দিকেও আঙুল তোলেন তিনি। প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী জওহরলাল নেহেরু, মহাত্মা গান্ধী, তৈয়ুবুল্লাহ প্ৰমুখদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে মৃদু সমালোচনা করে বলেন, একমাত্ৰ লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বরদলৈ একক প্ৰচেষ্টায় অসমকে পাকিস্তানেসামিল করার গভীর ষড়যন্ত্ৰথেকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি তদানীন্তন সৰ্বভারতীয় কংগ্ৰেস সভাপতি নেতাজি সুভাষচন্দ্ৰ বসুর অবদানের কথা উল্লেখই করলেন না। ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য সূত্ৰ বলছে, ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্ৰ দ্বিতীয় বারের জন্য শিলং এসে ছিলেন কংগ্ৰেস সভাপতি হিসাবে, শিলংয়ের আৰ্ল স্যানেটিরিয়ামের পাশে থাকা অ্যাসলি হল-এ আশ্ৰয় নিয়েছিলেন, সেখানে গোপীনাথ বরদলৈও উপস্থিত ছিলেন। নেতাজীর উদ্যোগে তৎকালীন করিমগঞ্জের বিধায়ক মাহমুদ আলি সাদুল্লাহর পক্ষ ত্যাগ করে কংগ্ৰেসে যোগ দিয়েছিলেন। তদানীন্তন অসম রাজ্য কংগ্ৰেস সভাপতি বিষ্ণুরাম মেধি, লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বরদলৈ প্ৰমুখ নেতাদের সঙ্গে পরামৰ্শ করে সুভাষচন্দ্ৰ বসু দিল্লীর প্ৰখ্যাত আইনজীবি ভুলাভাই দেশাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে বলেন, অসমের রাজ্যপাল বিরোধী মুসলিম লীগকে সরকার গঠনের সুযোগ করে দিয়ে বেআইনী কাজ করছেন। নেতাজী ৩৮জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে কংগ্ৰেস মন্ত্ৰীসভা গঠনের পরামৰ্শ দেন গোপীনাথ বরদলৈকে। নেতাজীর দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছিলেন– 'Assam must have a ministry led by the Congress, other wise Assam will be finished.' নেতাজীর পরামৰ্শ ক্ৰমে ১৯৩৮ সালের ১৮ সেপ্তেম্বরে গোপীনাথ বরদলৈ চারজন নিৰ্বাচিত মন্ত্ৰীকে নিয়ে শপত নিলেন। সুভাষচন্দ্ৰের ডাকে সাদুল্লাহ গোষ্ঠী ছেড়ে কয়েকজন মুসলিম বিধায়ক সহ অনেকে কংগ্ৰেসে যোগ দেন। শিলংয়ের উপজাতি নেতা জয়মোহন নিকলস রয় সঙ্গ ছাড়লেন সাদুল্লার। সুভাষচন্দ্ৰ অসমের স্বাৰ্থে একক ভাবে লড়ে পাকিস্তানের হাত থেকে অসমকে রক্ষা করেছিলেন, ইতিহাস সে কথায় বলছেন। কিন্তু আজকের বক্তৃতানুষ্ঠানে আন্তৰ্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইতিহাসবিদ নিরোদ কে বরুয়া সেই নেতাজি সুভাষের কথা উল্লেখই করলেন না। 
আজকের বক্তৃতানুষ্ঠানে গোপীনাথ পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে সম্বৰ্ধনা জানানো হয়। গোপীনাথ বরদলৈয়ের পুত্ৰ বিনোদ বরদলৈ আন্তৰ্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইতিহাসবিদ নিরোদ কে বরnয়াকে সম্বৰ্ধনা দিতে গিয়ে আবেগিক হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, নগাঁও নিবাসী নিরোদ কে বরnয়া গোপীনাথ বরদলৈর জীবনাদৰ্শকে গভীর অধ্যয়ন করে ইতিহাস তুলে ধরেছেন, যা তাঁর তুলনা মেলা ভার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.