Header Ads

দিশপুর প্ৰেস ক্লাবে বিধায়ক মামুন ইমদাদুল হক চৌধুরীর গ্ৰন্থ উন্মোচনী অনুষ্ঠান

বিধানসভা আইন প্ৰণয়ন করে তাই বিধায়কদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, গঠনমূলক চিন্তা-চৰ্চার যথেষ্ট প্ৰয়োজন আছেঃ হিতেন্দ্ৰ নাথ গোস্বামী

গুয়াহাটিঃ বিধানসভায় সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের সামাজিক এবং সাংবিধানিক দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অসম বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰ নাথ গোস্বামী আজ বলেন, বিধানসভা আইন প্ৰণয়ন করে তাই বিধায়কদের শিক্ষাগত যোগ্যতা গঠনমূলক চিন্তা-চৰ্চার যথেষ্ট প্ৰয়োজন আছে। বিরোধী দলের সদস্যদের বাক সংযম, সহিষ্ণুতা প্ৰদৰ্শনেরও প্ৰয়োজন।শাসক দলের মন্ত্ৰীরা আচরণ বিধি বা ‘কোড অফ কণ্ডাক্ট'-এর কথা বলেন। কিন্তু বিরোধী দলে বসলেই সেই আচরণের কথা বেমালুম ভুলে যান। এই প্ৰসংগে তিনি প্ৰাক্তন কেন্দ্ৰীয়মন্ত্ৰী ভেঙ্কাইয়া নাইডুর নাম উল্লেখ করেন। আজ দিশপুর প্ৰেস ক্লাবে এআইইউডিএফ বিধায়ক তথা লেখক মামুন ইমদাদুল হক চৌধুরীর ‘ভারতীয় রাজনীতিত মিত্ৰজোঁট' শীৰ্ষক এক অসমীয়া গ্ৰন্থ উন্মোচন করে মিত্ৰজোট রাজনীতির প্ৰাসঙ্গিকতা তুলে ধরে বলেন, ১৯৩৭ সাল থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে মিত্ৰজোট সরকার চলে আসছে। তিনি এই প্ৰসঙ্গে প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ১৩টি দলের মিত্ৰজোট সরকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, মিত্ৰজোট সরকারের সদস্যদের সহনশীলতা, উদারতা এবং সহিষ্ণুতার প্ৰয়োজন আছে। সাধারণত বামপন্থী দলগুলো মিত্ৰজোট সরকার গঠন করে ‘কমন মিনিমাম প্ৰোগ্ৰাম'-এর মাধ্যমে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। বাজপেয়ী সরকার মন্ত্ৰীদের কলেবর নিয়ন্ত্ৰণ করে ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে মিত্ৰজোটের দলগুলির ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন। সব দলের মধ্যেই যাতে সরকারের প্ৰতিনিধিত্ব থাকে। লেখক তথা নাওবৈসার বিধায়ক মামুন ইমদাদুল হক চৌধুরীর প্ৰশংসা করে অধ্যক্ষ গোস্বামী বলেন, বিধায়ক চৌধুরী একজন উদারমনা, সহিষ্ণু মনোভাব সম্পন্ন, বিধানসভায় তাঁর গঠনমূলক ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে। লেখকদের সম্পৰ্কে শ্ৰদ্ধা পোষণ করে অধ্যক্ষ বলেন, রাজনীতি করা আর লেখা-লেখি করা সহজ কথা নয়, নিয়মিত পড়া শুনা করা সহজ কথা নয়। কারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সময়ের বড় অভাব।অনুষ্ঠানে আমন্ত্ৰিত অতিথি বিশিষ্ট সাংবাদিক অদীপ ফুকন বলেন, মিত্ৰজোট সরকারের দীৰ্ঘ ইতিহাস আছে। ৫৬১ স্বাধীন ছোট ছোট রাষ্ট্ৰকে একত্ৰিত করে স্বাধীন ভারতবৰ্ষের জন্ম হয়েছিল। এই রাজ্যে ১৯৩৭ থেকে মিত্ৰজোট সরকারের ধারাবাহিকতা আছে। লেখক বিধায়ক ইমদাদুল হক চোধুরীর প্ৰশংসা করে বলেন, ইমদাদুল উদ্ভিদ বিজ্ঞানে প্ৰথম শ্ৰেণীর স্নাতক ও একজন আইনজীবিও এ পৰ্যন্ত ছটি গ্ৰন্থ লিখেছেন। অসমের রাজনীতিতে ধৰ্মীয় সংখ্যালঘুঃ আৰ্বিভাব এবং প্ৰভাব শীৰ্ষক গ্ৰন্থটির কথা উল্লেখ করেন অদীপ ফুকন। এআইইউডিএফ-র বিধায়ক হাফিজ বশির আহমেদ, কংগ্ৰেস বিধায়ক আব্দুল খালেক, কমল মেধি প্ৰমুখ উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন। লেখক তথা বিধায়ক মামুন ইমদাদুল হক চৌধুরী অতিথি, অভ্যাগতদের স্বাগত জানিয়ে তার নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মিত্ৰজোট সরকারের প্ৰসঙ্গ ব্যাখ্যা করেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.