Header Ads

পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে এএসডিসি-র ডাকা বনধ ছিল সর্বাত্মক


বিপ্লব দেবঃ হাফলং 
পৃথক হিল স্টেট গঠনের দাবি নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার অটোনমাস স্টেট ডিমান্ড কমিটির সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় বসার দাবি সহ ডিমা হাসাও কার্বি-আংলং ও পশ্চিম কার্বি-আংলংকে নিয়ে সংবিধানের ২৪৪ (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে অটোনমাস স্টেট ডিমান্ড কমিটি (এএসডিসি)-র ডাকা ২৪ ঘন্টার পাহাড় বনধ ছিল সোমবার সর্বাত্মক ও শান্তিপূর্ণ। বনধকে কেন্দ্র করে ডিমা হাসাও জেলার কোন জায়গা থেকে অপ্রিতিকর কোনও ঘটনা সংগঠিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার বনধকে কেন্দ্র করে ডিমা হাসাও জেলার জনজীবন ছিল সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। পাহাড়ি জেলার সদর শহর হাফলং মাইবাং লাংটিং হাতিখালি মাহুর হারাঙ্গাজাও উমরাংশু দিয়ুংমুখ দিহাঙ্গী প্রভৃতি এলাকায় বনধ ছিল সর্বাত্মক। বিশেষ করে সদর শহর হাফলঙে বাজার হাট দোকান পাট অফিস আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাঙ্ক পোষ্ট অফিস এলআইসি সবই বন্ধ ছিল। এমনকি উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ সচিবালয়ও বন্ধ ছিল। তবে জেলাশাসকের কার্যালয় খোলা থাকলেও কর্মচারী অফিস মুখো হয়নি। এদিকে শৈল শহর হাফলঙে সরকারি বেসরকারি কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি মঙ্গলবার। এমনকি দূরপাল্লার কোনও যানবাহন চলাচল করে নি। তবে পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। এদিকে জেলার মহকুমা সদর মাইবাং উমরাংশু মাহুর হারাঙ্গাজাও দিয়ুংমুখে দোকান পাট সরকারি কার্যালয় সবই বনধের আওতায় ছিল। এদিকে মঙ্গলবার জেলার কোনও জায়গায় পিকেটারসের দেখা মেলে নি। পিকেটারস ছাড়াই বন্ধ ছিল সর্বাত্মক। কারন পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি এই পাহাড়ি জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের। এনিয়ে দুই দশকের বেশী সময় ধরে আন্দোলন করে আসছে অটোনমাস স্টেট ডিমান্ড কমিটি (এএসডিসি) ও অসমের দুটি পাহাড়ি জেলার মানুষ এবার এতে সামিল হল অসমের নতুন জেলা পশ্চিম কার্বি-আংলংয়ের মানুষ। তাই পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে এএসডিসির ডাকা মঙ্গলবার ২৪ ঘন্টার ডিমা হাসাও কার্বি-আংলং ও পশ্চিম কার্বি-আংলং জেলা বনধে সাধারন মানুষের ব্যাপক সমর্থন ছিল তাই পিকেটারস ছাড়াই বনধ সর্বাত্মক পালিত হয় অসমের তিনটি পাহাড়ি জেলায়। এদিকে মঙ্গলবারে ২৪ ঘন্টা পাহাড় বনধকে সমর্থন জানায় কার্বি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (কেএসএ) ও নিমসো চিংথে আসং নামের সংগঠন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.