Header Ads

বেঙ্গালুরুতে বাঙালিয়ানা


লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে আশীষ কুমার দেঃ
সার্বিকভাবে বেঙ্গালুরু বাঙালির নতুন কোলকাতা। জনসংখ্যার নিরিখে (লোক গণনা, ২০১১) প্রায় সাত লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে, এছাড়া প্রায় ১-২ লক্ষাধিক এর হিসেব সরকারিভাবে নেই, এরা হয় নতুন এসেছেন বা ছাত্র/ ছাত্রী, বিভিন্ন গৃহ নির্মাণ সংস্থায় অস্থায়ী কর্মী, পরিচারিকা ইত্যাদি। দুর্গাপুজোর সংখ্যা চল্লিশ ছুঁই ছুঁই, বিভিন্ন আবাসনে বাড়ছে নিজস্ব পুজো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোলকাতার স্টাইলে চাট/রোলের দোকান, বাঙালির প্রিয় খাদ্য মাছের বাজার ছড়িয়ে পড়েছে শহরের কোনায় কোনায়। বেঙ্গালুরের বাঙালিরা রাজনৈতিক প্রতিনিদ্ধিতের দোরগরায়, বাঙলা ভাষা বিদ্যালয়গুলিতে দ্বিতীয় সরকারি ভাষা রুপে স্বীকৃত। কোলকাতার পাড়াগুলিতে খোঁজ করলেই জানা যাবে কোনো না কোনো বাড়ির ছেলে, মেয়ে এই গার্ডেন সিটিতে, বর্তমানে পড়াশুনা, চাকরি বা বিয়ে করে পাকাপাকি দেশান্তরী। বাঙালিরা এখানে এসেছেন, থাকছেন এবং থাকবেন। বাঙালির কাছে এখন "নাম্মা বেঙ্গালুরু"। আমার দীর্ঘ প্রবাসী জীবনে বাঙালির স্বর্ণযুগ দেখেছি, বিহারের ভাগলপুর, পূর্ণিয়া, ধানবাদ, রাঁচি, পাটনা ও জামশেদপুরে। উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ ও বেনারসে যা এখন ইতিহাস। এখানে বাঙালিয়ানা এখন মধ্য গগনে, মানসিক, আর্থিক অবস্থা এদের অনুকূল। যশবন্তপুর, বেঙ্গালুরু সিটি বাঙ্গালী কৃষ্ণ রাজপুরম স্টেশনে হাওড়া থেকে আসা ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে ৭০% বাঙালি; এদের মধ্যে আছেন চিকিৎসা করাতে আসা, ছাত্র /ছাত্রী, ছুটি ফেরৎ আইটি সেক্টরের কর্মী, অধ্যাপক, ছেলে মেয়েদের সাথে সময় কাটাতে আসা বয়স্ক মা-বাবা ও নিকট আত্মীয়। আরো একদল থাকেন যারা সাধারনত অসংরখিত কামরা থেকে দলে দলে নামেন এদের মধ্যে বেশিরভাগ গৃহ নির্মাণ, সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে কাজ করেন বা কাজ খুঁজতে এসেছেন। এদের সংখ্যা প্রচুর কিন্তু কোন সরকারী পরিসংখ্যান নেই এদের সম্পর্কে, এরা থাকেন বস্তী, বা নির্মাণ সংস্থার প্রোজেক্ট সাইটে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরু মহাপালিকে এদের একটি অস্থায়ী বাসস্থান ভেঙে দেন, এর মধ্যে চারশ বাঙালি পরিবার ছিল, এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর চলছে। এবার দেখা যাক বেঙ্গালুরু শহরের ভৌগলিক তথ্য; কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী এই শহর ডেকান মালভূমি, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯০০ মিটার উঁচু। এই শহর কোন বড় নদীর তীরে অবস্থিত নয়, দেশের তৃতীয় মেগাসিটির জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি। এই মেট্রো শহরে এলাকা প্রায় ৮০০৫ বর্গ কিলোমিটার এবং গোলাকার, ফলে এর বিস্তৃতি ও বৃদ্ধি সমান। এই অঞ্চলকে দীর্ঘদিন শাসন করেছিলেন হয়সালা, চোলা ও গঙ্গা রাজবংশ, ১৫৩৭ সনে কেম্পেগৌড়া নামে এক সামন্ত এই অঞ্চলকে দখল করেন ও ব্যাঙালোরে একটি মাটির দূর্গ নির্মাণ করেছিলেন, জলের অভাব দূর করতে তিনি কয়েকশ হ্রদের খনন করান। ১৬৩৮ সনে মারঠারা কেম্পেগৌড়াকে যুদ্ধে পরাস্ত করেন ও ৬০ বছর রাজত্ব করেন। পরবর্তীতে এটি চলে আসে মুঘলদের দখলে, মুঘলেরা এটিকে বিক্রি করে দেন মহিশুরের রাজা ওয়াদিয়ারকে। ১৮০৯ সনে ব্রিটিশ শাসনকালে ব্যাঙালোর তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মহিশুরের রাজা এর প্রভূত উন্নতি করেন। ১৯৪৭ সনে এটি মহিশুরের রাজধানী (বর্তমান কর্ণাটক ) করা হয়। যদিও সঠিক তথ্য নেই তবুও সমাজ বিন্যাসের নমুনা দেখলে বোঝা যায় হিন্দুস্থান এরোনটিকস লিমিটেডকে (HAL) কেন্দ্র করেই বাঙালির আবির্ভাব যার ঐতিহাসিক সাক্ষ HAL এর বাঙালি মার্কেট। এই বাজার একটি সম্পূর্ণ বাঙালি হেঁশেলের পরিপূরক। পুঁই শাক থেকে কলমি, কই থেকে ইলিশ, এমনকি বৃহস্পতিবারের পুজোর ফুল, বেলপাতা সহ বাতাসাও পাওয়া যায় এখানে। ১৯৬০ সন থেকেই ভাড়ী ও মাঝারি পাবলিক সেক্টরের কারখানা ও তার মুখ্যালয়গুলি এখানেই প্রতিষ্ঠিত হয়, যেমন ভারত হেভি মেটাল, ভারত হেভি ইলেকট্রিকালস, আর্থ মুভার্স সহ একাধিক নামজাদা কারখানা। এর অনেক আগেই ১৯০৯ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থা গোড়া থেকেই যার নির্দেশকদের অনেকেই বাঙালি, এবং এখানে পড়াশোনা বা গবেষণা করেছেন বা করছেন তাদের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। ১৯৭২ সনে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO), প্রতিষ্ঠিত হয়, এখানেও বাঙালি বিজ্ঞানীদের অভাব নেই। যদিও বাঙালিদের এই শহরে আসা শুরু হয়েছে কয়েকদশক ধরে, তবে ১৯৯১ সনে দেশের অর্থনীতির আমূল সংস্কারের ফলে, আইটি সেক্টর উন্নয়নের মূল বাহন হয়ে পরে, উইপ্রো ও ইনফোসিসের মতন পুরানো কোম্পানিগুলি তাদের কর্মকাণ্ড কে ছড়িয়ে দেন। একে একে চলে আসে আইবিএম, একসেঞ্চার, ডেল, ডেলয়েট, মাইক্রোসফট ও ক্যাপজেমিনির ভবন আন্তর্জাতিক কোম্পানি। বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে টেকনোলজি পার্ক, ইলেকট্রনিক সিটি তার অন্যতম। বিদেশী নিবেশকারীরা বেছে নিয়েছেন বেঙ্গালুরুকে, তার কারণ রাজ্য সরকারের স্বতস্ফুর্ত ভুমিকা, কর্মস্থল রাজনীতি মুক্ত ও আবহাওয়া। প্রথমে দিকে পশ্চিমবঙ্গের নামকরা ইঞ্জিনিয়ারিং ও আইআইএমের ছাত্র, ছাত্রীদের প্রাধান্য থাকলেও পরে এখানেই কম্পিউটার বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োটেকনলজি, ও ইনফরমেশন টেকনোলজি পড়তে আসা বাঙালি সন্তানদের ভীড় বাড়তে থাকে। এখানে একাধিক উৎকর্ষ মানের বিশ্ব বিদ্যালয় যেমন; ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, বিশ্বেসরাইয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ল স্কুল, ১১ টি মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ এন্ড নিউরোসায়েন্স, ন্যাশনাল ইউরোস্পেশ রিসার্চ অর্গানাইজেশন ইত্যাদি ইত্যাদি। গত চারদশক ধরে পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থানের সংকোচন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে নৈরাজ্যের ফলে মেধাবী বা উচ্চাকাঙ্খি ছাত্র/ছাত্রীদের কাছে হায়দ্রাবাদ, পুনে, নয়ডা/গুরগ্রাম, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু হয়ে পরে ওয়েসিস। এর মধ্যে বেঙ্গালুরু তার আবহাওয়ার জন্য হয়ে যায় পছন্দের শহর। এই শহরে ১৯৭৮ সনে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় বায়োকন নামের বায়োটেকনলজি পার্ক যার প্রতিষ্ঠাপক শ্রীমতী কিরণ মজুমদার শাহ, ওনার পিতৃদেব স্বর্গীয় রসেন্দ্র মজুমদার, ৬০ এর দশকে ভিট্টল মালেয়ার ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজের ( ইএবি) মাস্টারব্রুয়ার ছিলেন। কিরণ মজুমদার শাহ ও প্রবাদ প্রতিম হৃদরোগ চিকিৎসক ডাঃ দেবী শেট্টীর যৌথ উদ্যোগে তৈরী হয়েছে নারায়ণ গ্লোবাল হেল্থ সিটি। এখানে এমনও প্রচুর বাঙালি আছেন যারা মোটা মাইনের চাকুরী ছেড়ে স্টার্ট আপ শুরু করেছেন। বাড়তি জনসংখ্যার চাপে সামলাতে শুরু হয় বহুতল আবাস নির্মাণ এবং তা হোয়াইটফিল্ড অঞ্চলে শুরু হলেও এখন প্রায় সারা শহরের উপকণ্ঠে বাঙালির বসবাস। একদিকে বাঙালির ঘরকুনো অপবাদ থাকলেও, বাঙালি কিন্তু এডভেঞ্চার প্রিয় সে ক্যাপ্টেন সুরেশ বিশ্বাস হোন বা দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অতিশ। বাঙালি চিরকালের বহির্মুখী দেশ দেশান্তরে এদের বাস। মুঘলদের শাসনকালেই বাঙালি দেওয়ানদের চাহিদা বাড়ে, এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে নীল কুঠি, পাটের গুদাম, কোলিয়ারি, চা বাগান চালানোর দক্ষতা সর্বজনবিদিত। বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা এবং আসামে বাঙালিদের বসতি শুরু হয় এদের দিয়েই পরবর্তীতে এদের সন্তানদের প্রভাব দেখা যায়, আইন, চিকিৎসা, ও শিক্ষায়। নামকরা উকিল, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, লেখক ও শিক্ষাবিদ এর প্রায় ৩/৪ প্রজন্ম নিজেদের পেশায় টিকে থাকলেও পরে ধীরে ধীরে এরা তাদের বৈভব ও বিত্ত হারিয়ে ফেলেন। বাঙালি থাকবে আর কালীবাড়ি,হরিসভা বা বেঙলি ক্লাব হবে না তাও কি হয়? ১৯৫৪ সনে এই শহরের কিছু উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় জয়মহল অঞ্চলে শুরু হয় 'জয়মহল চ্যারিটেবল সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি'। এই পুজোর বেশকিছু বছর পর আলুর বেঙলি এসোসিয়েশন এর পুজো। বেঙ্গালুরু বেঙলি এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৫০ সনে তখন তার নাম ছিল ভারতী পাঠাগার, এসে রোডে এদের নিজস্ব সভাগৃহ, অফিস, লাইব্রেরী আছে, আগে এখানেই সবধরনের পুজো হলেও পরে পরিধি ও দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এই পুজো প্যারেড গ্রাউন্ড ও এখন মানফো নামে একটি কনভেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এই পুজো দেখতে সারা বেঙ্গালুরুর বাঙালি উপচে পড়ে। তিনদিন ধরে পুজোর সাথে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যার মূল আকর্ষণ কোলকাতার বাঙলা ব্যান্ড, স্থানীয় ব্যান্ড তো আছেই, এছাড়া নাচ, গান ও আবৃত্তি ছোটদের বসে আঁকা খুবই জনপ্রিয়। উৎসব উপলক্ষে বসে কোলকাতার বিখ্যাত ক্যাটারার, মিষ্টি প্রস্তুতকারী, বই প্রকাশক, বাঙলার হস্তশিল্প ও তাঁতের সামগ্রী।

প্রায় প্রতিটি পুজো সমিতি তাদের নিজস্ব পত্রিকা বা স্মরণিকা প্রকাশ করেন যার গুনগতমান প্রশংসনীয়। এই পুজো কমিটিগুলি সারা বছর ধরে তাদের মতন করে কিছুনা কিছু সামাজিক কাজকর্মে জড়িত থাকেন, রক্তদান শিবির, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সাহায্য, নিম্ন আয়ের ছাত্র, ছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য করে থাকেন। রবীন্দ্র চর্চা, নাটক, ও ফিল্ম উৎসব নিয়মিত হয়ে থাকে। সত্যজিৎ রায় ফিল্ম উৎসব হয় স্থানীয় কন্নড় ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে। এখানকার পুজোগুলিতে কোলকাতার মতন থীম থাকে না, তার কারণ উদ্যোক্তাদের সকলেই চাকুরী করেন বেসরকারী সংস্থায় এবং কিছু অবসরপ্রাপ্ত প্রফেশনাল থাকলেও তাদের পক্ষে এত বড় একটি ব্যাপার সামলানো হয়ত সম্ভব নয়। স্থানীয় পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে ছুটি পাওয়া একটি সমস্যা। শনি, রবি হলে কথা নেই, সপ্তাহের মাঝে পুজো পরে গেলে খুব কষ্ট করে সামলাতে হয়। এই পুজো এবং তার পারিপার্কশিকতায় এই সময়ে নব প্রজন্মের বাঙালিদের যাদের বয়স ২৫-৪০ বেঁচে থাকার অক্সিজেন পাচ্ছেন। ১৯৭৬ সনে কৃষ্ণরাজপুরমে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম কালীবাড়ি এবং ২০১৬ সনে আরো একটি কালীবাড়ি তৈরি হয়েছে ইলেকট্রনিক সিটিতে পুরোহিত ডাঃ শিবশঙ্কর ভট্টাচার্যের উদ্যোগে। এই শহরে মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে বাঙলা সিনেমার প্রিমিয়ার হয় কোলকাতার সাথেই যেটা খুবই তাৎপর্যপুর্ন, যখন বাঙালি অধুষ্যিত রাঁচি, ধানবাদ, এলাহবাদ, আসামের একাধিক শহরে কোনো ভাবেই আর বাঙলা সিনেমা চলেনা, তখন এই শহরের বাঙালিদের সাংস্কৃতিক রুচি ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রশংসনীয়। নিয়মিত ভাবে কোলকাতার নামকরা নাট্যদলগুলি এখানে মঞ্চস্থ করেন তাদের নাটক। সারা বিশ্বে যেমন বেঙলি এসোসিয়েশন আছে তেমনই শ্রীহট্ট সম্মেলনিও আছে। পূর্ব বাংলার একটি বর্ধিষ্ণু জেলা হিসাবে পরিচিত শ্রীহট্ট বা সিলেট, দেশভাগের অনেক আগেই এরা আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগালেন্ডের বিভিন্ন বিভাগের উঁচু পদে কাজ করেছেন, বিদেশেও এরা সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত। ২০০৫ সনে প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গালুরু শ্রীহট্ট সম্মেলনি বছরে প্রায় ৪/৫ টি অনুষ্ঠান করেন, উদ্দেশ্য সিলেটি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসার, এর মধ্যে নববর্ষ, রবীন্দ্র জয়ন্তী, বিজয়া দশমী ও পিকনিক এদের সদস্য সংখ্যা প্রায় চারশতাধিক। ভোজনবিলাসী বাঙালির রসনা তৃপ্ত করতে আছে একাধিক রেস্তোরাঁ, তার মধ্যে জনপ্রিয় হলো, ভজহরি মান্না, ওহ কোলকাতা, এসপ্ল্যানেড, পাঁচফোড়ন, বাঙালিয়ানা, সরষে, বাঞ্ছারাম, লাজিজ, কে সি দাস, কান্তি সুইটস সহ একাধিক খাওয়ার জায়গা। ছুটির দিনে এই রেস্তোরাঁগুলিতে খেতে গেলে লাইন দিতে হয়। এতক্ষণ ধরে যা লিখলাম তা এক বিশেষ শ্রেণীর বাঙালিদের কথা, কিন্তু থেকে গেল আরো এক শ্রেণীর কথা যারা এখানে রোজ সংঘর্ষ করে বেঁচে আছেন। পরে শোনাব "তাহাদের কথা"।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.