Header Ads

প্ৰতীক হাজেলার পদত্যাগের দাবি বিরোধী দলপতি দেবব্ৰত শইকীয়ার

১৯৫১ সালের এন আর সি, ১৯৭১ সালের আগে পৰ্যন্ত নথির ভিত্তিতেই এন আর সি রূপায়ন


গুয়াহাটিঃ ১৯৫১ সালের এন আর সি এবং ১৯৭১ সালের ২৪ মাৰ্চের পূৰ্ব পৰ্যন্ত ভোটার তালিকাকে ভিত্তি বৰ্ষ হিসাবে গণ্য করেই নাগরিকত্ব আইনের ২০০৩ অনুেচ্ছদের ৪ (এ) অনুযায়ী অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর কাজ শুরু হয়েছে। জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর সমন্বয় প্ৰতীক হাজেলা সেই মৌলিক বিষয়টিকেই বাদ দিতে চেয়ে সুপ্ৰীমকোৰ্টে যে প্ৰস্তাব পেশ করেছেন তা আইন বিরুদ্ধ, এবং তার এক্তিয়ার বৰ্হিভূত, একমাত্ৰ সংসদে আইন প্ৰণয়ন করে এই মৌলিক বিষয় দুটি বাদ দিতে পারে। নৰ্থ ইষ্ট লিঙ্গুইস্টিক অ্যাণ্ড এথনিক কো-অৰ্ডিনেশন কমিটি (নেলেক)এর প্ৰধান তথা আইনজীবি ধৰ্মানন্দ দেব আজ এই প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে বলেন, প্ৰতীক হাজেলার এই প্ৰস্তাব সম্পূৰ্ণ বেআইনী এবং এক্তিয়ার বৰ্হিভূত। তিনি এই প্ৰস্তাব দিতেই পারেন না। যা নাগরিকত্ব আইন বিরোধী।কংগ্ৰেস নেতা তথা বিরোধী দলপতি দেবব্ৰত শইকীয়া প্ৰতীক হাজেলার পদত্যাগ দাবি করে বলেছেন, তিনি আইন মেনে কাজ করছেন না।বিশিষ্ট আইনজীবি হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী অভিযোগ করেছন, প্ৰতীক হাজেলা এক স্বার্থান্বেষী চক্ৰের হাতের পুতুল হিসাবে কাজ করছেন। গতকাল সুপ্ৰীমকোৰ্টে প্ৰতীক হাজেলা স্টাণ্ডাৰ্ড অপারেটিং প্ৰসিডিওর ( এস ও পি) সম্পৰ্কিত প্ৰতিবেদনে যে সব ১৫টি নথির ওপর ভিত্তি করে ২ কোটি ৮৯ লক্ষ মানুষ এন আর সিতে নাম অন্তৰ্ভুক্ত করলেন। সেই নথি থেকেই ৫ টি গুরুত্বপূৰ্ণ নথি বাদ দেওয়ার প্ৰস্তাব করেন। বংশ তালিকায় পুনরীক্ষণে ব্যাপক দুৰ্নীতি হয়েছে, নথি কেনাবেচা হয়েছে বলে অজুহাত তুলে এন আর সি প্ৰণয়নের মৌলিক বিষয় ১৯৫১ সালের এন আর সি এবং ১৯৭১ সালের ২৪ মাৰ্চের পূৰ্ব অবধি ভোটার তালিকাকেই বাদ দিতে চাইছেন। যা সম্পূৰ্ণ আইন বিরোধী বলে রাজ্যের সংখ্যালঘু সংগঠনগুলিও অভিযোগ করেছে। এই দুটি নথি ছাড়াও নাগরিকত্ব প্ৰমাণ পত্ৰ, শরনাৰ্থী পঞ্জিয়ন প্ৰমাণ পত্ৰ এবং রেশন কাৰ্ড এই ৫টি নথিকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। এদিকে বিজেপি দলের সাধারণ সম্পাদক পুলক গোহাঁই শরনাৰ্থী পঞ্জিয়ন প্ৰমাণ পত্ৰ, স্কুল সাৰ্টিফিকেট, সেনাবাহিনী নিয়োগ পত্ৰ, ১৯৫১ সালের এন আর সি ১৯৭১ সালের ২৪ মাৰ্চের আগের সব ধরণের নথিপত্ৰ, ভোটার তালিকা প্ৰভৃতি গ্ৰহণ করার দাবি জানিয়ে সমন্বয় প্ৰতীক হাজেলার কাছে স্মারকপত্ৰ দাখিল করেছেন। অসম রাজ্য বিজেপি প্ৰদেশ কমিটি নাগরিকত্ব নবায়নের নামে ব্যাপক দুৰ্নীতি ও অসংগতির অভিযোগ উত্থাপন করে কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের গোচরে বিষয়টি উত্থাপন করেছে। সুপ্ৰীমকোৰ্ট ১৫সেপ্তেম্বরের বদলে ১৯ সেপ্তেম্বরে পরবৰ্তী শুনানির দিন ধাৰ্য করা হয়েছে। রাজ্যের সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি আশংঙ্খা ব্যক্ত করেছে যে ১৫টি নথির ওপর ভিত্তি করে ২কোটি ৮৯ লক্ষ মানুষের নাম এন আর সিতে অন্তৰ্ভুক্ত হল নতুন করে দাবি আপত্তি এবং পুনরীক্ষণের ফলে তালিকায় অন্তভূক্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে। ১০ শতাংশ তালিকা নমুনা পরীক্ষার সময়েও লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ার আশংঙ্খা আছে। কারণ ১৫টির বদলে মাত্ৰ ১০টি নথির উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা হবে। যে ১০ নথি গ্ৰাহ্য করার কথা বলা হয়েছে তার অধিকাংশ রাজ্যের সংখ্যালঘু হিন্দু-মুসলিম মানুষের হাতে নেই। ১৯৭১ সালের ২৪ মাৰ্চের মধ্য রাত্ৰি পৰ্যন্ত পঞ্জীয়নকৃত জমির দলিল, জমির অধিকার সাব্যস্ত করার মতো নথি, ঐ সময় পৰ্যন্ত বৰ্হিরাজ্য থেকে ইস্যু করা পাৰ্মানেণ্ট রেসিডেন্স সাৰ্টিফিকেট (পিআরসি), ঐ সময় পৰ্যন্ত  ইস্যু করা পাসপোৰ্ট,  ইস্যু করা এলআইসি পলিসি, কোনও সরকারি কৰ্তৃপক্ষ থেকে  ইস্যু করা লাইসেন্স / সাৰ্টিফিকেট, সরকারি / রাষ্ট্ৰায়ত্ত সংস্থায় চাকরি করা নথি, ব্যাঙ্ক / পোষ্ট অফিসের একাউণ্ট, উপযুক্ত কৰ্তৃপক্ষের  ইস্যু করা জন্মের প্ৰমাণ পত্ৰ, বোৰ্ড / বিশ্ববিদ্যালয়  ইস্যু করা শিক্ষাগত যোগ্যতার সাৰ্টিফিকেট এবং ঐ সময়ের আগে বিচার বিভাগীয় অথবা রাজস্ব আদালতের নথিপত্ৰ এই ১০টি প্ৰামাণ্য নথি থাকলে এন আর সি তালিকায় নাম অন্তভূক্ত হবে। সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলার এই ফরমানের ফলে রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষদের অস্তিত্বের প্ৰশ্ন উঠছে। বিশেষ করে হিন্দু বাঙালিদের বিপন্ন করে তুলেছে। রাষ্ট্ৰীয় স্বয়ং সেবক সংঘের উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের প্ৰচার প্ৰমুখ শঙ্কর দাস এই প্ৰতিবেদকে জানিয়েছেন, রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে যাদের নাম এন আর সিতে অন্তৰ্ভুক্ত হয় নি তাদের উচিত ব্যক্তিগতভাবে সুপ্ৰীমকোৰ্টের দ্বারস্ত হওয়া। রাজ্য থেকে লক্ষ লক্ষ আবেদন যদি সুপ্ৰীমকোৰ্টে পাঠানো হয় তবে তারা সুবিচার পাবেই বলে তার বিশ্বাস। জাতীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পৰ্কে বলেন, বিষয়টি আপাতত ধামাচাপা পড়েছে। ২০১৯ লোক সভা নিৰ্বাচনের আগে আর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.