Header Ads

বেড়ে চলেছে হাতি-মানুষের সংঘাত, হেলদোল নেই বন বিভাগের




ফাইল ছবি
 
রিংকি মজুমদার 

দিন দিন বেড়েই চলেছে হাতি-মানুষের সংঘাত। শুক্ৰবার মহানগরে হাতির হামলায় আহত হয়েছেন চারজন।পাঞ্জাবারীর বাঘরবড়ীতে তাণ্ডব চালায় ৩টি বুনো হাতি। এই ঘটনায় একজন মহিলা সহ মোট চারজন আহত হয়েছেন। আহত ওই মহিলার নাম কাবেরী শইকিয়া বরা। বৰ্তমানে তাঁর অবস্থা সংকটজনক। বেশ কয়েকটি ঘর এবং গাড়ি ভেঙে নষ্ট করেছে বুনো হাতির দল। প্ৰসঙ্গত, একেকটি হাতি প্ৰায় এক কুইন্টালের মতো গাছের পাতা, ফল এইসব খায়। সেই মতে খাবারের সন্ধানে আমসাং থেকে নেমে আসে ওই হাতিগুলি। পৰ্যাপ্ত খাবার না পেয়ে, তাছাড়া ফিরে যাওয়ার পথ খুঁজে না পেয়ে ওই এলাকায় সমস্ত কিছু লন্ডভন্ড করে হাতিগুলি।এছাড়া বন জঙ্গল ধ্বংস হচ্ছে দিনে দিনে। হাতি মানুষের সংঘতার এটিও একটি কারণ। এমনটা চলতে থাকলে আগামী দিনে এই সংঘাত আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন প্ৰকৃতিপ্ৰেমীরা। বিগত দিনগুলিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হাতি মৃত্যুর বিচ্ছিন্ন ঘটনা প্ৰকাশ্যে আসছে। কোথাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবার কোথাও ট্ৰেনে কাটা পড়ে হাতির মৃত্যু হচ্ছে। ফলে দিনে দিনে হাতির সংখ্য উদ্বেকজনকভাবে কমে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, রানির দীপর বিল এলাকা যা গুয়াহাটি থেকে মাত্ৰ ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।মহানগরের পাশে ২৭ কিলোমিটার পৰ্যন্ত অসম সীমান্ত। তারপর মেঘালয়। তারপরেই বাংলাদেশ সীমান্ত। তারমাঝে বিশাল ঘন জঙ্গল এলাকা। এখানেই হাতিদের দীপর বিলে যাতায়াতের ৯টি করিডোর রয়েছে। সেখান দিয়ে মাঝেমাঝেই বুনো হাতির পাল যাতায়াত করে। সেখানে রেল লাইন ও রয়েছে। ট্ৰেনে দুৰ্ঘটনায় হাতির মৃত্যুকে ঠেকাতে উত্তরপূৰ্ব সীমান্ত রেল অভিনব এক পন্থা গ্ৰহণ করেছে। রেল কৰ্তৃপক্ষ মৌমাছির গুঞ্জনকে রেকৰ্ড করে লাউডস্পিকারে দেওয়ার একটি ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে। তার কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাতি নাকি মৌমাছির গুঞ্জনকে ভয় পায়। এলিফেন্ট করিডোরে ট্ৰেন ঢোকার আগেই রেল বিভাগের তরফ থেকে মৌমাছির গুঞ্জন লাউডস্পিকারে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু করেছে রেল কৰ্তৃপক্ষ। এন এফ রেলওয়ের পিআরও নৃপেন ভট্টাচাৰ্য জানান, রঙিয়া ডিভিশনে অভিনব এই পন্থা শুরু করা হয়েছে এবং তা খুবই ফলপ্ৰসু হয়েছে। সারা রাজ্যে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। ‘এই ব্যবস্থা যদি কাৰ্যকর হয় তাহলে তো ভালো কথা’- ‘নয়া ঠাহর’এর কাছে কিছুদিন আগে এই মন্তব্য করেন রাজ্যের বিশিষ্ট প্ৰকৃতিপ্ৰেমী ড০ আনোয়ার উদ্দীন চৌধুরী। প্ৰসঙ্গত, নুমলিগড় রিফাইনারির দেওয়ালও বারে বারে ভাঙছে বুনো হাতি। তেজপুর এলাকায় পতঞ্জলি ফুড পাৰ্কেও  হাতিরা গিয়ে হামলা করছে। হাতির এই করিডোরগুলো খুলে দিতে সংশ্লিষ্ট কৰ্তপক্ষ কোনও ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেননি অভিযোগ রয়েছে। হাতি মৃত্যুর মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঠেকাতে বন দফতরের কাছেও কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলত স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ প্ৰকাশ করছেন প্ৰকৃতিপ্ৰেমীরা। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.