করিমগঞ্জ জেলায় অনুন্নয়নের মাঝে উজ্জ্বল ছবি ‘সহচরী, কৃতিত্ব কেবল সুব্ৰত দেবের
গুয়াহাটিঃ অসমের বরাক উপত্যকায় বড় কোনও শিল্প উদ্যোগ নেই। কাছাড় চিনি কল কবেই বন্ধ হয়ে গেছে। দুগ্দ্ধ উৎপাদনকারী এক শিল্প উদ্যেগ ছিল তাও বন্ধ। কাছাড় পেপার মিল প্ৰায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ। প্ৰায় ২০০০ শ্ৰমিক বেতনের অভাবে ধূঁকছে। বাংলাদেশ সীমান্তবৰ্তী করিমগঞ্জ জেলা সদরে বিশেষ কোনও উন্নয়ন লক্ষ্য করা গেল না। প্ৰধানমন্ত্ৰীর স্বচ্ছ ভারত শহরে থমকে গেছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্ৰ বসুর প্ৰতিমূৰ্তির পিছনে আবৰ্জনার স্তূপ, আবৰ্জনাময় শহরের ভাঙাচোরা রাস্তা ঘাট, পরিকাঠামোর কোনও উন্নয়ন লক্ষ্য করা গেল না। এই অনুন্নত শহরে উন্নয়নের রাস্তা যেমন নেই, কৰ্মসংস্থানের পথও বন্ধ। এই পরিস্থিতির করিমগঞ্জ শহরে ষ্টেশন রোডে ‘দ্য করিমগঞ্জ হোলসেল কোঅপারেটিভ ষ্টোৰ্স লিমিটেড।' ডিপাৰ্টমেণ্টাল ষ্টোর খুলে স্থানীয় বেকার যুবকদের কৰ্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। করিমগঞ্জ শহরের পর পাথারকান্দিতেও এক ডিপাৰ্টমেণ্টাল ষ্টোর খুলে লাভজনক প্ৰতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই প্ৰতিষ্ঠান ৮০জন স্থানীয় যুবক-যুবতীকে কৰ্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। যা এক ছোট্ট মফস্বল শহরে ভাবা যায়না। এই সব কিছুর কৃতিত্ব কিন্তু চেয়ারম্যান সুব্ৰত দেবের। তিনি তারই চেষ্টাতে মৃত প্ৰায় কোঅপারেটিভ আন্দোলন প্ৰাণ ফিরে পেয়েছে। রাজ্য সরকার ‘সহচরী' নামে এই লাভজনক প্ৰতিষ্ঠানকে দু'দুবার আৰ্থিক পুরস্কার দিয়ে সন্মানিত করেছে। ডিষ্ট্ৰিক লেভেল কনজিউমার কোঅপারেটিভ সোসাইটি হিসাবে ভাল কাজ করার জন্য রাজ্য সরকারের কাজ থেকে পুরস্কার লাভ করেছে। এক সাক্ষাৎকারে সুব্ৰত দেব জানান, বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পরা আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তার পরেও এই প্ৰতিষ্ঠান আজ লাভের মুখ দেখছে। কৰ্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়মিত দেওয়া হয়। কৰ্মচারীরা সৎ ভাবে কাজ করার ফলে লাভের অংক বেড়ে চলেছে। ভবিষ্যতে করিমগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন জায়গায় ডিপাৰ্টমেণ্টাল ষ্টোর খোলার ইচ্ছা আছে। সমবায় বিভাগের মন্ত্ৰী রিহন দৈমারী এই সহচরীর কাজ-কৰ্ম দেখে সন্তোষ প্ৰকাশ করে গেছেন। সুব্ৰত দেব কংগ্ৰেস ঘরানার মানুষ হলেও বিজেপি এআইইউডিএফ সহ বিভিন্ন বিরোধী দলও তার কাজ-কৰ্ম দেখে সমৰ্থন যুগিয়ে আসছে।
কোন মন্তব্য নেই