Header Ads

প্রভাতসংগীত শ্রোতার মনে সুসমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ভাবের অনুরণন জাগিয়ে তুলুক






                        ফাইল ছবি
খগেন চন্দ্র দাসঃ আজ ১৪ সেপ্টেম্বর প্রভাতসংগীত দিবস। যে অর্থে  নারীদিবস,মাতৃদিবস ইত্যাদি শব্দগুলি চলছে ঠিক সে অর্থে প্রভাতসংগীত দিবস নয়।১৯৮২ সনের আজকের দিনটিতেই শ্রদ্ধেয় দার্শনিক,ভাষাবিদ,নৃতত্ত্ববিদ,অর্থনীতিবিদ, সংগীতজ্ঞ আরও বহু বিষয়ে প্রাজ্ঞ প্রচেতা প্রভাতরঞ্জন সরকার সংগীত রচনার সূচনা করেন। তাই এই দিনটিকে তাঁর অনুগামীরা  প্রভাতসংগীত দিবস হিসেবে বিশ্বের সর্বত্র উদযাপন  করেন। প্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর পিতৃদত্ত নাম কিন্তু ধর্মগুরু হিসেবে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজী নামেই বেশি পরিচিত। তাঁর সৃষ্ট  সংগীতের সংখ্যা ৫০১৮টি। মোট আটটি ভাষায় রচিত এই সুবিশাল সংগীত তিনি রচনা করেছেন অন্যূন  আট বছরে, জীবনের শেষ পৈঠায় ১৯৮২ র ১৪সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯০এর ২০শে অক্টোবর পর্যন্ত সময় কালের মধ্যে। সুরের এই বিচিত্র সমাহারের স্রষ্টাও তিনি। গীতিকার সুরকার শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচিত সংগীত শুধু এই অর্থে গানগুলির নাম প্রভাতসংগীত একথা সত্য। কিন্তু এই নাম করনের অন্য গভীর তাৎপৰ্যও রয়েছে। গণমাধ্যমের ব্যাপকতা  বর্তমানে সংস্কৃতি এবং সংগীতের জগতকে যতটা আলোকিত করে মোহময় রূপে দেখাচ্ছে বাস্তব তার সম্পূর্ণ বিপরীত।  সংগীতের জগতে বিরাজ করছে সীমাহীন অন্ধকার। কারণ সংগীত শুধুমাত্র সুর আর তালের সমষ্টি নয়।সংগীতের কাজ কোন সুউচ্চ ভাবকে অনুরূপ ভাষা দিয়ে ব্যক্ত করা। সেদিক থেকে বর্তমানের চলচ্চিত্র নির্ভর গান শুধু   নরনারীর দৈহিক মিলন সম্পর্কিত কিছু স্থূল শব্দাবলিকে সুর দিয়ে গাওয়া। সংগীত ও সংস্কৃতির জগতের এই অন্ধকারকে দূর করে নূতন প্রভাতের সূর্যোদয়কে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য সামনে রেখেই প্রভাতসংগীতের সৃষ্টি। প্রভাতসংগীত গায়ক, শ্রোতার মনে সুসমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ভাবের অনুরণন জাগিয়ে তুলুক এই প্রার্থনা জানাই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.