Header Ads

সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ডের নামে বিজেপি সরকারের দিনেও বঞ্চনার ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে

গুয়াহাটিঃ সৰ্বানন্দ সনোয়াল নেতৃত্বধীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার বছরখানিকের মধ্যে রাজ্যের বাঙালি হিন্দু ছাড়াও অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ড গঠন করা হয়েছিল। পাশাপাশি ২০১৫ সালে বাংলাভাষী উন্নয়ন পরিষদ নামে অন্য এক উন্নয়ন পরিষদ গঠন করে বাঙালি যৌথ সমন্বয় সমিতির সভাপতি সুকুমার বিশ্বাসকে চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়। বাজেট কত জানেন? রাজ্যর প্ৰায় ৫০ লক্ষাধিক ভাষিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্ৰ ২৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। স্বয়ং বিশ্বাস এ কথা জানিয়ে বলেন, এই সামান্য টাকায় জাগিরোড, মাৰ্ঘেরিটা, মরাণ, গুয়াহাটি প্ৰভৃতি জায়গায় কম্পিউটার প্ৰশিক্ষণ, বিউটি পাৰ্লার প্ৰভৃতির জন্য কয়েক শ সংখ্যালঘু যুবক-যুবতীকে অৰ্থ দেওয়া হয়েছে। এত গেল বাংলাভাষী উন্নয়ন পরিষদের কথা।ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ড গঠন করা হল। গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অমলেন্দু চক্ৰবৰ্তীকে চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে রামকৃষ্ণ ঘোষকে বসানো হল। লাভজনক প্ৰতিষ্ঠানে কাজ করা এক অধ্যাপককে এই মৰ্যাদা সম্পন্ন পদে বাসানো হল। আজ পৰ্যন্ত এই বোৰ্ড কাৰ্যকরি হলো না। নাম কে ওয়াস্তে এক কাৰ্যনিৰ্বাহক কমিটি গঠন করা হয়েছে কিন্তু সরকার এক পয়সার বাজেটও দেয় নি। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার মতো রাজ্যে বহু উপযুক্ত ব্যক্তি থাকা সত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে এই পদে বসানোই সচেতন মহলেপ্ৰশ্ন উঠেছে। এর আগে হিতেশ্বর শইকীয়া, এবং তরুণ গগৈ নেতৃত্বাধীন কংগ্ৰেস সরকার ভাষিক সংখ্যালঘু বোৰ্ড গঠন করে ভাষিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সঙ্গে প্ৰতারণা করার নান অভিযোগ করেছে সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি। প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত নেতৃত্বাধীন ১০ বছররে অগপ সরকার ভাষিক সংখ্যালঘু বোৰ্ডের অস্তিত্বই স্বীকার করে নি। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী হিতেশ্বর শইকীয়া তেজপুরের বাঙালি নেতা নৃপেন সাহাকে বোৰ্ডের চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন।তারপর তরnণ গগৈ সরকার, বাঙালি নেতা চন্দন সরকার, যুগশংঙ্খগোষ্ঠীর কৰ্ণধার বি.কে. নাথকে চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় কিন্তু কোনও বাজেট বরাদ্দ তো হয় নি, চেয়ার, টেবিল, অফিস কিছুই কিছুই ছিল না। তারপর নগাঁওয়ের সঞ্জয় চক্ৰবৰ্তীকে এই পদে বসানো হয় তখন ৫-৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল বরাদ্দকৃত টাকার এক বৃহৎ অংশ নয়-ছয় হয়েছে। পাশাপাশি সংখ্যালঘু উন্নয়ন পরিষদ (ভাষিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীসহ) উন্নয়ন পরিষদ গঠন করে প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী ডাঃ অৰ্ধেন্দু কুমার দেকে বসানো হয়। একশ কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল শেষ পৰ্যন্ত কিছুই দেওয়া হয় নি। বিজেপি সরকারের দিনেও বঞ্চনার ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। আজই তিতাবরে অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা ক্ষুদ্ৰ উপজাতি গোষ্ঠী ঠেঙাল কাছাড়ি স্বায়িত্ব শাসিত পরিষদের সচিবালয় নিৰ্মাণের জন্য ৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে আরও ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সরকারের এই বৈষম্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.