Header Ads

তেলের বিপরীতে রাজ্য সরকারের আরোপ করা কর প্ৰত্যাহার করে নেওয়া উচিতঃপ্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত



গুয়াহাটিঃ পুনরায় ‘আচ্ছে ভারত'-এ গ্যাস এবং জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেল। গত জুলাই মাসের পর পুনরায় ভরতুকি বিহীন গ্যাস সিলিণ্ডারের দাম বাড়ল ৩০ টাকা ৫০ পয়সা এবং ভরতুকির অৰ্থাৎ রেহাই মূল্যের সিলিণ্ডারের দাম বাড়ল ১ টাকা ৪৯ পয়সা। ডিজেলের দাম বৃদ্ধি লিটার প্ৰতি ২৮ পয়সা ও পেট্ৰোলের দাম বৃদ্ধি পেলে লিটার প্ৰতি ২১ পয়সা। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত গ্যাস, জ্বালানি তেলে মূল্য বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্ৰকাশ করে বলেন, এই মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি যান বাহন থেকে শুরু করে নিত্য ব্যবহৃত সামগ্ৰীর দামও বৃদ্ধি পাবে। রাজ্যের শ্ৰমজীবি গরিব মানুষকে আরও দুভোগের মধ্যে পড়তে হবে। অসম সরকারের উচিত তেলের বিপরীতে রাজ্য সরকারের আরোপ করা কর প্ৰত্যাহার করে নেওয়া। দেশের কয়েকটি রাজ্য এই ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে। এই পদক্ষেপ গ্ৰহণ করলে আম জনতা স্বস্তি পাবে। তেল উৎপাদনকারী রাজ্য হিসাবে অসমে  ডিজেল পেট্ৰোল এবং গ্যাস সিলিণ্ডারের দাম কম হওয়া উচিত ছিল। অথচ প্ৰতিবেশী রাজ্য মেঘালয়ে তেলের দাম অনেক কম। আগামী লোকসভা নিৰ্বাচনে অগপ একাই নিৰ্বাচনে লড়বে না বিজেপির সঙ্গে নিৰ্বাচনী আঁতাত করে লড়বে তার কোনও সিদ্ধান্ত হয় নি। তবে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে অগপ একাই লড়বে। গতকাল গুয়াহাটিতে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এন আর সির প্ৰয়োজনীয়তা সম্পৰ্কে বলতে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন এ এক ‘ইউনিক' ব্যবস্থা যার ফলে অসমের ভূমিপুত্ৰের অধিকার সুরক্ষিত হবে এবং এ কথাও বলেছিলেন এন আর সি থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের বাদ পড়ার মধ্যে অস্বাভাবিকতা কিছুই নেই। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত আজ বিধানসভা ভবনের অগপ কাৰ্যালয়ে এই প্ৰতিবেদককে কাছে প্ৰায় একই কথা বললেন। মহন্ত বলেন, ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়া খুবই স্বাভাবিক। কারণ রাজ্যে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশীর অস্তিত্ব ধরা পরেছে। বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী এই রাজ্যে প্ৰবেশ করেছে। অসমের জনবিন্যাস পাল্টিয়ে গেছে। মহন্ত জনসংঘের প্ৰতিষ্ঠাতা শ্যামা প্ৰসাদ মুখাৰ্জির কথা উল্লেখ করে বলেন, শ্যামা প্ৰসাদ মুখাৰ্জি লামডিং এবং শিলচরে গিয়ে বাঙালিদের বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের ভাষা বাংলা, অসমের বাঙালিদের উচিত অসমীয়া ভাষা গ্ৰহণ করা। এই প্ৰতিবেদক শাস্ত্ৰী কমিশনের ত্ৰি ভাষার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে মহন্ত বলেন, এই রাজ্যে একাংশ বাঙালি অসমীয়া ভাষা সংস্কৃতিকে গ্ৰহণ করেনি, তিনি বলেন খিলঞ্জীয়া মুসলিমদের সম্পৰ্কে তাদের কোনও আপত্তি নেই। এন আর সি নিয়ে অযথা আতঙ্কের আবহ তৈরি করা হচ্ছে সে রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.